টাকায় এক লিটার বিশুদ্ধ পানি মিলছে কুতুবদিয়ায়

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় টাকায় এক লিটার বিশুদ্ধ পানি বিক্রি হচ্ছে। তীব্র পানীয়জলের সংকটে থাকা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৌঁছে যাচ্ছে বিশুদ্ধ এই খাবার পানি। নিজস্ব পরিবহনে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন খাবার হোটেল-রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকান, ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এনজিও ব্র্যাকের ওয়াশ কর্মসূচির সহযোগিতায় উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উপজেলার বড়ঘোপ ছৈয়দপাড়া প্রবাসী মার্কেট ও ধুরুং বাজার ব্র্যাক অফিসের সামনে ভূগর্ভস্থ পানি বিশুদ্ধকরণের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে সকলের জন্য স্বল্পমূল্যে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচির কর্মকর্তা এমাম উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে ব্র্যাক ওয়াশ প্রকল্পের আওতায় প্রথমে স্থান বাছাই করে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা হয়। আগ্রহী উদ্যোক্তকে ৫ লাখ টাকা ঋণ ও যাবতীয় কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়। উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে বিশুদ্ধ খাবার পানি নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত নভেম্বরের শুরুতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দুটি উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে একদিকে স্থানীয় উদ্যোক্তরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার যেমন সুযোগ রয়েছে, তেমনি স্থানীয় জনসাধারণও কম খরচে বিশুদ্ধ পানি পানের সুফল ভোগ করতে পারবেন।
বড়ঘোপ প্রবাসী মার্কেটে স্থাপিত নিরাপদ ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্বাধিকারী উদ্যোক্তা আবদুল মান্নান জানান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করে বিশ লিটার বোতলে বাজার জাত করে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় বড়ঘোপ বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় দৈনিক ১ হাজার লিটার সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছে। বাজারে পাওয়া বোতলজাত অন্যান্য পানির চেয়ে এই পানি অধিক নিরাপদ এবং দামেও কম। মানুষ সাড়া দিলে তিনি সফল হবেন বলে আশাবাদী।
একই ভাবে ধুরুং বাজার ব্র্যাক অফিসের সামনে স্থাপিত ইকরা পিউর ড্রিংকিং ওয়াটারের স্বত্বাধিকারী ছাবের আহমেদ বলেন , ব্র্যাক ওয়াশ কর্মসূচির আওতায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের এই উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। আয়-ব্যায়ের হিসাব নিকাশ করে প্রথমে কেউই এগিয়ে আসেনি। পরে অনেক চিন্তাভাবনা করে এলাকার মানুষের সেবার উদ্দেশ্যে প্রস্তাবটি আমি গ্রহণ করি। তবে পরিবহন খরচ ও কিস্তির পরিমানটা বেশি হওয়ায় প্রতি লিটার দেড় টাকা নিতে হবে বলে জানান তিনি।
উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল আযাদ জানান, বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি রয়েছে উপজেলায়। তারমধ্যে উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং, লেমশীখালী ইউনিয়নে প্রকট। কৈয়াবিল ও বড়ঘোপ ইউনিয়নে কয়েকটি গ্রামে খাবার পানির সংকট রয়েছে।
একই কথা জানিয়েছেন লেমশীখালী ইউপির চেয়ারম্যান আকতার হোছাইন। তিনি বলেন, শীতকালে সুপেয় পানির সংকট তীব্র হয়। পানির লবণাক্ত ভাব বেড়ে যায়।
এদিকে, শীতকালে পানির স্তর নেমে যাওয়া এসব এলাকায় বসানো নলকূপগুলোতে পানি পাওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতোপূর্বে এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বেশিদিন টিকেনি। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে এসব এলাকায় লবণাক্ত পানি বিশুদ্ধকরণ ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ২টি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। কিন্তু কোনটাই সফল হয়নি। ভেস্তে গেছে অনেক আগেই।
এমএসএম / জামান

বাগেরহাট জেলায় সর্বদলীয় অবরোধ কর্মসূচি

রাণীশংকৈলে বালু উত্তোলনের সময় গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু

লোহাগড়ায় নিখোঁজের চার দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার

পাঁচবিবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

অনির্বাণের আয়োজনে লেখক ও কবিদের চলনবিল ভ্রমণ ও সাহিত্য আড্ডা

জয়পুরহাটে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী

ভূঞাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত

পাঁচবিবিতে উপজেলা স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন

তাড়াশের ২ জন পাচারকারী র্যাব-১২’র অভিযানে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূতিসহ গ্রেফতার
Link Copied