ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেয়া বাড়তি দামে সার কিনতে গিয়ে বিপাকে কৃষক

বগুড়ার শেরপুরে ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেয়া বাড়তি দামে সার কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন আলুচাষিরা। বাজারে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম সংকট। আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন অনেকেই।
শেরপুর উপজেলার আমইন গ্রামের হারেজ আলী আকন্দ ১৫০ বিঘা জমিতে আলু লাগানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। জমি তৈরি শেষ। স্থানীয় এক ডিলারকে ১৫ দিন আগে সরকারি দামের চেয়ে অধিক টাকা পরিশোধ করেছেন সার ক্রয়ের জন্য। এখন প্রহর গুনছেন সারের জন্য। কিন্তু সার না পাওয়ায় প্রতিদিন শ্রমিক বাবদ তার লোকসান হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা। শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।
সরেজমিন দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ প্রস্তুত হয়ে আছে। কিন্তু সারের অভাবে মাঠ যেতে পারছেন না কৃষকরা। কোনো সংকট নেই ও সরকার নির্ধারিত দামেই সার বিক্রি হচ্ছে; কৃষি অফিস এমনটি দাবি করলেও খোদ খুচরা বিক্রেতারাই স্বীকার করছেন বেশি দামে সার বিক্রির কথা। একাধিক খুচরা বিক্রেতা জানিয়েছেন, ডিলাররা তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দাম রাখছেন আর তারা বস্তাপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কিংবা কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। অন্যদিকে কৃষকরা বলছেন, প্রকারভেদে বস্তায় এবার তাদের সারের জন্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি খরচ করতে হচ্ছে।
বেলঘরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি স্থানীয় চৌমহুনী বাজার থেকে প্রতি বস্তা ইউরিয়া ৮৫০ টাকা, এমওপি ১ হাজার ১৭০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩০০ টাকা ও ডিএপি ৯০০ টাকা করে কিনেছেন। সরকারি দামের সঙ্গে পার্থক্যের হিসাব জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কৃষক মানুষ, এসব খবর আমরা জানি না।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১২ জন বিসিআইসি, ২০ জন বিএডিসি অনুমোদিত এবং উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়োগকৃত ১০টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় মোট ২৫ জন খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছেন। এসব বিক্রেতার খুচরা পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ মূল্য বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ৮০০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ১০০ টাকা, ডিএপি ৮০০ টাকা ও এমওপি ৭৫০ টাকা রাখার কথা।
তবে ডিলারদের কাছ থেকে ইউরিয়া ৮৩০ টাকা, টিএসপি ১ হাজার ৩৫০ টাকা, ডিএপি ৮৩০ টাকা ও এমওপি ৯৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে বলে দাবি করেন মেলা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. আহমদ আলী। এজন্য প্রতি বস্তায় ২০ টাকা লাভে কৃষকদের কাছে বিক্রি করছেন বলে তিনি জানান।
এদিকে ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলারদের সার মজুদ ও বিক্রয় কেন্দ্র থাকার নিয়মও জানেন না কোনো কৃষক। কারণ সব ডিলারেরই ব্যবসা এখন শহরে।
এ বিষয়ে কুসুম্বী ইউনিয়নের কাশিপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের ইউনিয়নে কোনো ডিলার আছে কি-না জানি না। বাজারের দোকান থেকেই সার কিনি।
তবে অধিক দামেও সার মিলছে না বলে অভিযোগ করেছেন অনেক কৃষক। আলু লাগানোর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সারের অভাবে মাঠে যেতে পারছেন না বলে জানালেন কৃষক খয়বর আলী মণ্ডল। তার দাবি, সারের পাশাপাশি আলুর বীজও বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে।
বাজার নজরদারি ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অফিসের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। অফিস থেকে তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয় না। অফিসে গিয়ে সার বীজের বিষয়ে কোনো পরামর্শ চাইলে স্থানীয় দোকানে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় বলে জানান কাশিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমাদের ডিলার পর্যায়ে সারের পর্যাপ্ত মজুদ আছে। কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি রেটের চেয়ে বেশি দাম নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা মাঠপর্যায়ে তদন্ত করছি। কোনো অনিয়ম পেলে ডিলারশিপ বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান

খালিয়াজুরীতে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার আওয়ামীলীগ নেতা, দাবী পরিবারের

টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কার্ড উদ্ভোদন

মহেশখালীতে ডাকাত সর্দার মঞ্জুর পুলিশের হাতে আটক

হাইব্রিডদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান শুরু হবে: শেখ সাদী

শ্রীপুরে মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে সপ্তাহব্যাপী ফুটবল উৎসব

পুকুর ও খালে ভেঙ্গে পড়েছে সড়ক, ১ লাখ মানুষের দুর্ভোগ

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত
