ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

কলাপাড়ায় পানীয়জলের তীব্র সংকট : জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বলছে ভিন্ন কথা


হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া photo হাবিবুর রহমান মাসুদ, কলাপাড়া
প্রকাশিত: ১০-৬-২০২১ রাত ৯:২৭

ত্রিশোর্ধ্ব মনোয়ারা বেগম তার মেয়ে আয়শা বিবিকে নিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে বানাতি বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিক এলাকার একটি গভীর নলকূপ থেকে খাবার পানি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি গভীর নলকূপ না থাকায় প্রতিদিন দুবার ছয় কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় তাকে। কেবলমাত্র মনোয়ারা বেগমই নন, কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বড় ৫নং গ্রামের মানুষের একই অবস্থা। কিছুদিন আগেও বেশকিছু গভীর নলকূপ সচল ছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের কারণে এলাকার অধিকাংশ গভীর নলকূপ অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় দুর্ভোগ বাড়ছে সাগরপাড়ের মানুষের।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসূত্রে জানা যায়, কলাপাড়ার ১২টি ইউনিয়নে মোট ৩ হাজার ৯২৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ১৫৯টি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এদের মধ্যে চাকামইয়া ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৩২৬টি এবং অকেজো ১২টি, টিয়াখালী ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৫৩২টি এবং অকেজো ২২টি, লালুয়া ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ২৮৩টি এবং অকেজো ১৩টি, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ২৪৮টি এবং অকেজো ১০টি, নীলগঞ্জ ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৪১২টি এবং অকেজো ১৩টি, মহিপুর ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ২৫৯টি এবং অকেজো ১৪টি, লতাচাপলী ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৪৩১টি এবং অকেজো ১৫টি, ধানখালী ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৩৫৫টি এবং অকেজো ১৬টি, ধূলাসার ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৩৪৬টি এবং অকেজো ১৬টি, বালিয়াতলী ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ২৫৮টি এবং অকেজো ৯টি, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ২০৪টি এবং অকেজো ৯টি ও চম্পাপুর ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ২৭১টি এবং অকেজো ১০টি।

অপরদিকে বেসরকারি সংস্থা আবাস জানিয়েছে ভিন্ন চিত্র। তাদের জরিপের তথ্যানুসারে কলাপাড়া উপজেলার  লালুয়া ইউনিয়নে ১৮ হাজার ৭৫০ জন বাসিন্দার জন্য মাত্র ২৭২টি গভীর নলকূপ, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের ১০ হাজার ৫৫৬ জন জনসাধারণের জন্য ১১৩টি গভীর নলকূপ এবং  চম্পাপুর ইউনিয়নের ১৫ হাজার ২০৮ জনের জন্য ১১৮টি গভীর নলকূপ রয়েছে, যাহা ওই এলাকার জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। সংস্থাটি আরো জানায়, এই সকল এলাকায় কৃষিজমির মধ্যে যেসব খালের পানি এলাকাবাসী কৃষি, গৃহস্থালি এবং গবাধিপশু লালন-পালনে ব্যবহার করত, সেগুলোও অধিকাংশ ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া এবং মাত্রাতিরিক্ত লবণ পানি প্রবেশের কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শহর এলকার মতো এসব ইউনিয়ন ও গ্রামাঞ্চলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বাধ্য হয়ে পুকুর, খাল-বিল এবং জলাশয়ের দূষিত পানি ব্যবহার করছেন। ফলস্বরূপ নানান রোগবালাই যেমন- ডায়রিয়া, পেটেব্যথা এবং চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। আর চলমান বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির সংকট এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। প্রায় প্রতিদিনই এসব এলাকার জনসাধারণকে ডায়রিয়াজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. জিহাদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জোয়ারের প্রভাবে কিছু নলকূপ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ওয়াশ করে তা ঠিক করা হয়েছে। 

এমএসএম / জামান

দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ফেনীতে এলজিইডির প্রকল্পে অনিয়ম, নেপথ্যে দীপ্ত বাবু

আদমদীঘিতে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের দুই কোচ লাইনচ্যুত

লাকসামে শিক্ষক সমিতির ভবনে গরু-ছাগলের বসবাস

কাউনিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিস্কুট জুস ব্যাগ সহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

দাউদকান্দিতে নদী পুনরুদ্ধার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মা‌নিকগঞ্জ প্রেসক্লা‌বের সভাপ‌তি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক শাহানুর ইসলাম

দোহারে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় হেল্প ডেস্ক চালু

জয়পুরহাটে ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্রের সহায়তাকারী ও কম্পিউটার কর্মীদের প্রশিক্ষণ

পরিবেশ রক্ষায় ট্যুরিস্ট পুলিশের মতবিনিময় সভা ও বৃক্ষরোপণ

শান্তিগঞ্জের ইমা যাচ্ছেন হকি খেলতে চীনে

জলবায়ু সংকটে বাস্তুহারা বাড়ছে, সমাধান খুঁজতে রাজশাহীতে কর্মশালা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা শুরু