ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

হেমন্তের হাওয়া বইলেও সংকীর্ণ হয়ে আসছে নবান্ন উৎসব


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ২৮-১১-২০২১ দুপুর ১১:৪৪

ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। নতুন ধানের আগমন ঘটে হেমন্তকালে। বলতে গেলে এক রকম চাদের হাসি কৃষকের মুখে। উৎসবে মুখরিত থাকে গ্রামের সব বাড়িগুলোতে। ফসল কাটার পর থেকে ধান ভানার আয়োজন পর্যন্ত এক আনন্দময় সময় সকলের কাছে। এই উৎসবই নবান্ন উৎসব। নতুন ধানের চাল দিয়ে মুখরোচক খাবারের আয়োজন হয়এই উৎসবে। পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের একটি উৎসব।

বাংলাদেশের কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরদিনই নতুন ধানের নতুন চালে ফিরনি-পায়েস অথবা ক্ষীর তৈরি করে আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়। নবান্নে জামাইকে নিমন্ত্রণ করা হয়, মেয়েকেও বাপের বাড়িতে ‘নাইওর’ আনা হয়।

নবান্নে নানা ধরনের দেশীয় নৃত্য, গান-বাজনাসহ আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়। লাঠিখেলা, বাউলগান, নাগরদোলা, বাঁশি, শখের চুড়ি, খৈ, মোয়ার পসরা বসে গ্রাম্য মেলায়।

কিন্তু আজ ঝিমিয়ে গেছে হেমন্ত ঋতু।ঝিমিয়ে গেছে কৃষকেরা।যারা আমাদের চাল উৎপাদন করে দিচ্ছেন তারা তিনবেলার জায়গায় দু বেলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছে।কৃষকেরা তাদের কষ্টের মূল্য পাচ্ছে না। নবান্নের উৎসব তো দূরে থাক, এই সময়ে ভালোমন্দ রান্না করাও এখন তাদের কাছে দুষ্কর। নবান্ন উৎসব শুধু মুখে শোনা যায়।

কৃষকদের তাদের চলমান গতি অব্যাহত রাখতে আমরা পারি নি কোন উদ্যোগ নিতে।সময়ের সাথে শুধু তারা পিছিয়ে পড়েছে।প্রতিটি মানুষের জানা উচিত আমাদের পুরানো ঐতিহ্য সম্পর্কে,উৎসাহ দেওয়া উচিত কৃষকদের। তাহলে আমাদের এই ঐতিহ্য বহমান থাকবে যুগ যুগ ধরে।

এমএসএম / জামান