ঢাকা মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫

শেরপুরের ফার্মেসির মালিকরাই যখন ডাক্তার


শেরপুর প্রতিনিধি   photo শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮-১১-২০২১ দুপুর ৪:২৯
বগুড়ার শেরপুরে ফার্মেসির মালিকরা নিজেই অহরহ দিয়ে চলেছেন চিকিৎসাসেবা। সামান্য জ্বর হলেই নিজের পেশার কৃতিত্ব নেয়ার জন্য দিয়ে দেন অ্যানটিবায়োটিক, ফলে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। শহর এলাকার চেয়ে শহরের কাছাকাছি বাজার এবং পল্লীর হাট-বাজারে অহরহ চলছে এমন ঘটনা।  
 
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই শেরপুর উপজেলা এলাকার সদর এবং পল্লীতে অলিগলিতে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফার্মেসি, যার অধিকাংশেরই আবার নেই ড্রাগ লাইসেন্স। কোনোটির থাকলেও করা হয়নি নবায়ন। শুধু ট্রেড লাইসেন্সের ওপর ভিত্তি করেই চলছে এসব ফার্মেসি। ফার্মাসিস্ট ছাড়া জনসাধারণের কাছে ওষুধ বিক্রির নিষেধ থাকলেও ফার্মেসি মালিকরা তা মানছেন না। ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই জনসাধারণকে হাতুড়ে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তারের মতোই বলে অভিযোগ রয়েছে। যদিও এসব  ব্যবসায়ীদের কারোই প্রতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই।
 
সাধারণ রোগীদ্র প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরামর্শ প্রদান এবং জটিল ও স্পর্শকাতর রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট যাবার পরামর্শ দেবার কথা অথচ পল্লী চিকিৎসকরা নিজেরাই চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। অতি মুনাফার আশায় নিম্নমানের ঔষধ, নিষিদ্ধ বিদেশি ঔষধ এমনকি এমবিবিএস ডাক্তারের ব্যবস্থা পত্রে লেখা ঔষধ কোম্পানি বদল করে অন্য কোম্পানির ঔষধ অবলীলায় মানুষদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন ফার্মেসীর ব্যবসায়ীরা। চটকদার সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে নিজেদের নামের আগে ডাক্তার উপাধি দেদারছে অপচিকিৎসার বানিজ্য চালাচ্ছেন তারা।   
 
জানা গেছে, এসব ফার্মেসিতে প্রশাসনিক অভিযান চালানোর খবর পেলেই তাৎক্ষণিক তালাবদ্ধ করে মালিকরা পালিয়ে যান। এছাড়া যেসব দোকানকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরিমানা করা হয় সে জরিমানার টাকা বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির পক্ষ থেকে ফার্মেসির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্কুল শিক্ষক জানান, অধিকাংশ ফার্মেসি মালিক রোগীদের ঔষধ বিতরণ করে থাকেন। এদের ডাক্তারি কোনো অভিজ্ঞতা বা সার্টিফিকেট নেই। তারপরও তারা ডাক্তার নামে পরিচিত। ঔষধ বিতরণ পদ্ধতি আর কার্যকলাপ দেখলে মনে হয় ফার্মেসি মালিকরাই বড় ডাক্তার। তিনি বলেন শেরপুরে অনেক ফার্মেসিতেই ফার্মাসিস্ট আছেন, তবে কিছুতে নেই। যাদের নেই তাদের জন্য অনেক সময় আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়।’ ফার্মাসিস্ট রাশেদ জানান দেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অসংখ্য নামসর্বস্ব ও ভুয়া ডিপ্লোমা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। যারা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে অনেক ফার্মেসিওয়ালাদের ভুয়া ডিপ্লোমা ডিগ্রি সার্টিফিকেট দেয়। এসব ফার্মেসি থেকে ভুল ঔষধ দেওয়া হয়। ফলে অনেক সময় দেখা যায় একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে অ্যান্টিবায়োটিক তার শরীরে কাজ করে না।
 
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাঃ আবু হাসান জানান, বি এম ডি সি ( বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল) এক্ট অনুসারে কেবল এমবিবিএস পাশ করা চিকিৎসকরাই তাদের নামের আগে ডাঃ(ডাক্তার) লিখতে পারবেন কিন্তু আমাদের দেশে রুরাল মেডিকেল প্রাক্টিশনার (আর, এম,পি) মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট, ও ফার্মাসিস্টরাই এমবিবিএস ডাক্তারের মতোই করছেন সব রোগের চিকিতসা। ফার্মেসি মালিকদের অনেকেরই  প্রশিক্ষণ নেই। সামান্য জ্বর, ঠাণ্ডাতেও তারা রোগীদের ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দেন। যেহেতু এটা ঔষধ প্রশাসনের আওতায়, তাই অবৈধ ফার্মেসিগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের করার তেমন কিছু থাকে না। সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ সবাই যেন মানসম্মত ফার্মেসি থেকে অর্থাৎ যেগুলোতে ফার্মাসিস্ট আছেন সেখান থেকে ঔষধ কেনেন।’

এমএসএম / জামান

মধুখালীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সৌরভ গ্রেফতার

রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন

বেনাপোল ঘিবা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে বাড়ছে বসন্তের কোকিলের আনাগোনা

বড়লেখায় প্রাথমিকে পাঠদানের অনুমিত পেল শিশু শিক্ষা একাডেমি

জামালপুরে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় নিহত ৫, আহত ৩

মাগুরায় ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবীতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার

নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হলো সমৃদ্ধি কর্মসূচির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ

পটুয়াখালীর জনদুর্ভোগ নিয়ে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন

সুবর্ণচরে বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করছেন আওয়ামিলীগ নেতা