সরকারি জায়গায় বেনওসেন হোল্ডিংয়ের কুনজর!

নগরীর নতুন ব্রিজসংলগ্ন ফুটপাত ঘিরে অর্ধশতাধিক ঝুপড়ি দোকান রয়েছে। সেখানে নানা পসরা সাজিয়ে বিক্রি হয় পণ্যসামগ্রী। তবে প্রায় সময় চট্টগ্রাম ডেপুটি কমিশনার (ভূমি) অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় এসব অবৈধ স্থাপনাগুলো। নতুনভাবে আবারো কেউ না কেউ সে জায়গা দখলে যায়। অনেকেই সরকারের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়ে নিজেদের দাবি করে বসে সরকারি এ জায়গাগুলো। এমন একটি প্রতিষ্ঠান বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা ১০, তাহের চেম্বর, আগ্রাবাদ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকায় সড়কের উত্তর-পশ্চিম পাশে ডিসি অফিসের উচ্ছেদের পর দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকা জায়গায় নতুন করে গড়ে উঠেছে ১০টি স্থায়ী দোকান। সেমি পাকা ও মজবুত শার্টার দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দোকানগুলো। প্রতিটি দোকানের দৈর্ঘ ১২ ফিটের। ফুটপাত লাগেয়া দোকানগুলোর উপরে বিজ্ঞপ্তি দেয়া আছে বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেডের নামে। তাতে লেখা আছে, ‘এত দ্বারা সর্ব সাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, বন্দর থানার বাকলিয়া মৌজার বিএস ১নং খাস থতিয়ানের বি এস ৬৭০৯,৬৭১০ ও ৬৭২৮ দাগের ৭৭.৫৫ শতাংশ জমি যথাক্রমে বিজ্ঞ সাবজজ ২য় আদালত চট্টগ্রাম হতে অপর মামলা নং-১৩৭/৯৯২ পরবর্তী মিছ মামলা নং -১৬/১৯৯৯ এবং মহামান্য হাইকোর্টের মিছ আপীর মামলা নং-৩৩/২০০৫ ডিগ্রীমূলে প্রাপ্ত সম্পত্তি খরিদ সূত্রে মালিক বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড ১০ তাহের চেম্বর আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম।
এই জমিটি সম্পর্কে সড়ক ও জনপথের পরিদর্শক আবু তাহের বলেন এগুলো আমাদের জায়গা আমরা লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছি যদি কেউ অবৈধ অনু প্রবেশ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেডের সাইনবোর্ডে থাকা ম্যানেজার জসিম উদ্দিন শিকদারের কাছে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের কিছু জায়গা আছে স্বীকার করে তিনি বলেন যেহেতু সরকারি দফতর তাদের জায়গা বলে দাবি তুলছে তাই এখন আমরা কাউকে ভাড়া দিচ্ছিনা। তবে ওষানে কেয়ারটেকার আছে বিস্তারিত সে বলতে পারবে।
এদিকে চট্টগ্রাম ডিসি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার বন্দর থানার বাকলিয়া মৌজার খতিয়ান নম্বর-১, জে এল নং-৮ এ উল্লেখ রয়েছে বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেডের টাগানো বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া বি এস ৬৭০৯,৬৭১০ ও ৬৭২৮ এর মালিক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার চট্টগ্রাম। এ দাগগুলো ছাড়াও ৬৬৮৫, ৬৬৮৬, ৬৭৫৪, ৬৭৫১, ৬৭৫২ দাগের জায়গাগুলোর মালিক সরকার।
একাধিক এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি জায়গা দখলের জন্য বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটেড আদালতকে হাতিয়ার বানিয়ে মামলা দায়ের করে। পরে আদালতের আদেশ নিয়ে আশে-পাশের বেশ কিছু সরকারি জায়গা দখলে নেয়।
জানা গেছে, নতুনভাবে গড়ে তোলা দোকানগুলোর প্রতিটি ৫/৬ লাখ টাকা অগ্রীম নিয়ে প্রায় ১৫ হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ইমাম গ্রুপের মালিকের ছেলে মুন্না, চান্দগাঁও কসাইপাড়া এলাকার নুর বক্সের ছেলে রফিক আলম ও কেয়ারটেশার বেলাল এসব দোকান ভাড়া দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বেনওসেন হোল্ডিং লিমিটিডেরে কেয়ারটেকার মো. বেলালও সরকারি জমি আছে বলে স্বীকার করে বলেন এখানে স্থায়ী দোকান তোলাটা আমাদের উচিৎ হয়নি তবে আমরা সড়ক ও জনপথের সাথে যৌথ সার্ভে করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ভাড়া দিচ্ছিনা।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নূর ও শাহাব উদ্দিনের অভিযোগ, দোকানগুলো নতুন করে গড়ে তোলার আগে সেখানে ঝুঁপড়ি দোকান ছিল। জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে তা ভেঙ্গে দেয়। এরপর নতুন করে তাদের কাছে দোকান ভাড়া দেয় ইমাম শিল্প গ্রুপের লোক বলে দাবি করা ব্যক্তিরা।
এমএসএম / জামান

গাজীপুর-৩ আসনে আলোচনায় বিএনপির ৪ প্রার্থী, একক প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত অন্য দল

আদালতের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা হত্যা মামলার আসামির

রায়পুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে এস এম মামুন মিয়া

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

জুড়ীতে কৃষ্ণনগর বাছিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপহার প্রদান

গাছে ঝুলন্ত লাশ, পা মাটিতে-শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখে গোলচত্বর ও ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে নবযোগদানকৃত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রাণীশংকৈলে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

হাটহাজারী নাগরিক সেবা নিয়ে বিপাকে পৌরবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
