ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

গোবিন্দগঞ্জে সবুজ মাঠের বুকে দিগন্তজুড়ে বিছানো হলুদরাঙা কার্পেট


গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি photo গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪-১২-২০২১ দুপুর ২:১

দিগন্তে যতদূর চোখ যায় যেন হলুদ আর হলুদ যেন প্রাকৃতি হলুদ শাড়ী পরেছে। অথবা সবুজ মাঠের বুকে দিগন্তজুড়ে বিছানো কোনো হলুদরঙা কার্পেট। শীত আর সরিষাফুল যেন একে অন্যের পরিপূরক। পৌষের রোদমাখা কোনো একদিনে আপনিও চলে যেতে পারেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শালমারা ইউনিয়নের হাবিবের বাইগুণীর পাথারে। যেখানে চোখে পড়বে হলুদ-সবুজের নয়নাভিরাম দৃশ্যপট। সরিষা ক্ষেতের কাছে গিয়ে দেখতে পাবেন ফুলে ফুলে মৌমাছি, প্রজাপতি ও ছোট ছোট পাখিদের ওড়াওড়ি।

ফুলের গন্ধে, আবেশে চোখ বুজে মুহূর্তেই আপনি হারিয়ে যেতে পারবেন শৈশব-কৈশোরে মাঠে  দুরন্তপনার দিনগুলোতে। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করার পাশাপাশি একটুখানি নিজেকে শরির ভিঝিয়ে নিতে পারেন যেন ফসলের ক্ষতি না হয়। শালমারা ষ্টেশন পেরিয়ে হাবিবের বাইগুনী থেকে কয়েক কিলোমিটার  শুধু সবুজ ও হলুদের দেখা পাওয়া যাবে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত।

সরিষা ফুলের বর্ণনা : হলুদ রঙের এই ফুলটিতে চারটি পাপড়ি থাকে। একটি সরিষাগাছের জীবনধারায় আনুমানিক ২০০টির মতো ফুল ফোটে এবং একটি গাছ এক হাজার শস্যবীজ তৈরি করতে সক্ষম হয়। সরিষাগাছ ক্রুশিফেরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত তেল উৎপাদক একবর্ষজীবী প্রজাতির উদ্ভিদ। বাংলাদেশের কৃষকেরা রবি মৌসুমে অর্থাৎ মধ্য কার্তিক থেকে অগ্রাহায়ণ মাসের প্রথম সপ্তাহ (মধ্য নভেম্বর) পর্যন্ত সরিষার বীজ বপন করে থাকেন। শীতকালে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে তাই গ্রামের মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায়।

সরিষা যে কাজে লাগে : সরিষা দিয়ে ভোজ্যতেল তৈরি করা হয়। দেশের ঐতিহ্যগত ঘানির খাঁটি সরিষার তেল সবাই পছন্দ করেন। সরিষাক্ষেতে কৃত্রিমভাবে মৌমাছির চাক বানিয়ে মধু আহরণ করা হয়। যা আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌমাছির চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে মধু উৎপাদন করা হয়। এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছে বাইগুনী গামের কৃষকরা।

এমএসএম / জামান