চন্দনাইশে জায়গা দখল করার প্রতিবাদে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকায় প্রভাবশালী চক্রের জোরপূর্বক জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী উপজেলার বৈলতলী গ্রামের জাফর আহমদের ছেলে মো. ইলিয়াছ বলেন, বৈলতলী ইউনিয়ন পরিষদের বিপরীতে ইউনুচ মার্কেটের পাশে জাফরাবাদ মৌজার আর এস ৭১৬ নং খতিয়ানের আর এস দাগ নং ৫৭৩ আন্দর ৯ শতক জমির মালিক ছিলেন, আতর আলীর ছেলে হামিদ বক্সু। হামিদ বক্সু মারা যাওয়ার সময় ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান রেখে যান। পরবর্তীতে তার রেখে যাওয়া উল্লেখিত দাগ, খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত জায়গা ভুলবশত তার পুত্র সন্তানদের নামে জরিপ না হয়ে তার ভাতিজা সামশুল আলম ও বদিউল আলমের নামে জরিপ হয়। যার প্রেক্ষিতে উক্ত জায়গাতে উভয় পক্ষকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু বিবাদীগণ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অজ্ঞাত ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আধারে মো. ইলিয়াছ গং এর দোকান পাট ভাংচুর করে জায়গা দখল করে নেন। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকেসহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন।
এ ব্যাপার অভিযুক্ত জসীম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে জানান।
অপরদিকে অভিযুক্ত ইদ্রিস মিয়া জানান,তিনি কফিল প্রোফাটিস এন্ড বিল্ডাস লিমিটেড এর স্বত্বাধিকারী ২০১৭ সালে রেজিট্রি কবলা মুলে রেজাউল করিম গং থেকে ক্রয় করে মার্কেট নির্মাণ করার কাজ শুরু করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর কাজ বন্ধ রাখার কথা ও স্বীকার করেন তিনি।
রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা পাওযার পর সেখানে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে চন্দনাইশ থানার ওসি নাছির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আদালতের কোনো কপি পাননি বলে জানান।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মো. ইলিয়াছ, মো. আরিফ হোসেন, মো. আমান উল্লাহ।
এমএসএম / জামান