ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরে শ্রমিকের পোশাকের টাকা আত্মসাৎ!


চট্টগ্রাম ব্যুরো photo চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ২৬-১২-২০২১ দুপুর ১২:৩৬

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপরারেটর ও শিপ হ্যান্ডেলিং অপরেটারদের অধীনে নিয়োজিত কর্মচারীদের নির্ধারিত ইউনিফর্ম  যথাসময়ে প্রদান না করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে মালিকদের বিরুদ্ধে। যদিও এই সিজনাল পোশাকের (ইউনিফর্ম) টাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঠিকই উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে গত ৯ ডেিসম্বর ১৫ দিনের মধ্যে ইউনিফর্ম প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের একটি সার্কুলেশন (বন্দর নথি নং ১৮.০৪.০০০০.০৩০.২০.০০২.১৭./২৬৬৯.) জারী করে বন্দরের ট্রাফিক বিভাগ। তারপরেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (২৫ ডিসেম্বর ২০২১) তাদের ইউনিফর্ম দেওয়া হয়নি বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন একাধিক শ্রমিক।   

ট্রাফিক বিভাগের চিঠির সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৫ অক্টোবর এক সভায় বন্দরে কর্মরত বার্থ টার্মিনাল ও শিপ হ্যান্ডেলিং অপরেটারদের অধীনে নিয়োজিত কর্মচারীদের গ্রীষ্মকালীন, বর্ষাকালীন ও শীতকালীন আলাদা আলাদা নির্ধারিত ইউনিফর্ম  সরবারহ করার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। ৮ হাজার শ্রমিকের জন্য জনপ্রতি ৪ হাজার ২ শ টাকা করে মালিকদের পরিশোধ করবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শর্ত মোতাবেক নির্ধারিত সময়ে মালিকেরা টাকা উঠিয়ে নিলেও শ্রমিকদের  ইউনিফর্ম প্রদান না করে নিয়মিত আত্মসাৎ করে চলেছেন মালিকেরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিকেরা জানান, আমরা গ্রীষ্মকালীন ও বর্ষাকালীন পোশাক এখনো পাইনি আর এখন শীতের শেষের দিকে এখনো আমরা পোশাক পাইনি। তাহলে শীতের পোশাক আর কখন পাব ? এসব কাগজে কলমে আছে কিন্তু বাস্তবে তার ছিটেফোঁটাও নেই। শ্রমিকদের সকল সুবিধা দেওয়ার জন্য ২০০৭ সাল থেকে চুক্তি হওয়ার পর কোন বছরই আমাদের নিয়মিত পোশাক দেওয়া হয়না। ২/৩ বছরে একবার দেওয়া হলেও তা খুব নিম্নমানের।

এ বিষয়ে শ্রমিক প্রতিনিধি চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহাকারী শ্রমিক কর্মচারী লীগ সিবিএর সভাপতি মীর নাওশাদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০০৭ সালে একটি চুক্তি হয় চুক্তিতে সকল শ্রমিক কর্মচারী ও উইন্সম্যানদেরসহ সকলকে গ্রীষ্মকালীন, বর্ষাকালীন ও শীতকালীন পোশাক দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে না। বন্দর যে সার্কুলেশন দিয়েছে সে মোতাবেক সকল পোশাক দিতে হবে, অন্যথায় বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীর মাঝে শ্রমঅসন্তোষ দেখা দিলে তার দায় মালিকদেরকেই নিতে হবে।

এ বিষয়ে  চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন গত বছর একটি বোর্ড সভায় পোশকে দেওয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এই বিষয়ে মালিকদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে তবে আমি এখন ঢাকায় আছি তাই শেষ পর্যন্ত মালিকদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এই মুহুর্তে পরিস্কার করে বলতে পারছি না। 

এ বিষয়ে শিপ হ্যান্ডলিং ওনার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম রাশেলের মোবাইলে কল দিলে নাম্বারটি ব্যবহৃত হচ্ছে না না বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন ও জোনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিকবার কল ও বার্তা দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ৮ হাজার শ্রমিক কর্মচারী রয়েছেন, যারা দিনে রাতে সপ্তাহে ৭ দিন কঠোর পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখেন। এসব শ্রমিকের বছরে জনপ্রতি ৪২০০ টাকা করে পোশাকের জন্য বরাদ্দ রয়েছে, যার পরিমান দাঁড়ায় প্রায় ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

জামান / জামান

জিন তাড়াতে গিয়ে মা-মেয়েকে হত্যার মূল আসামী কবিরাজ গ্রেপ্তার

গাজীপুর-৩ আসনে আলোচনায় বিএনপির ৪ প্রার্থী, একক প্রার্থী নিয়ে নিশ্চিন্ত অন্য দল

আদালতের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা হত্যা মামলার আসামির

রায়পুরে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষে এস এম মামুন মিয়া

চাঁদপুরে কল্যাণ ট্রাস্টের চেক পেয়েছেন ১৯ সাংবাদিক

জুড়ীতে কৃষ্ণনগর বাছিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উপহার প্রদান

গাছে ঝুলন্ত লাশ, পা মাটিতে-শ্বশুরবাড়ি থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশমুখে গোলচত্বর ও ফ্লাইওভারের দাবিতে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে নবযোগদানকৃত কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রাণীশংকৈলে গরু ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৫

হাটহাজারী নাগরিক সেবা নিয়ে বিপাকে পৌরবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের দ্রুত সমাধানের আশ্বাস