ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

সবকিছু স্বাভাবিক হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেনো নয়?


মো. ইমন photo মো. ইমন
প্রকাশিত: ১৪-৬-২০২১ বিকাল ৫:৩৯

মহামারী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) ছোবলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। ১৫ মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। এর ফলে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থী মারাত্মক সমস্যায় পড়েছে। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকে ঘাটতি নিয়ে ওপরের ক্লাসে উঠছে। তারা পড়াশোনার সাথে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হওয়ার সুযোগই পাচ্ছে না। কতটুকু শিখল, সেটাও যাচাই করা যাচ্ছে না। বিশেষ করে এখন শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে হতাশা, ক্ষোভসহ মানসিক সমস্যা। মহামারীতে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কথাগুলো তুলে ধরেছেন দৈনিক সকালের সময় । 

বিপর্যস্ত শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা- আরাফাত হোসেন, শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

করোনার ভয়াল থাবার কবলে প্রায় দেড় বছরের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাই শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের দূরে রেখে করোনা শঙ্কামুক্ত রাখা সরকারের প্রধান প্রয়াস। কিন্তু সবকিছু নিয়ম মেনে, সামাজিক বিধিনিষেধ মেনে সরকারী প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, রেস্তোরা, পরিবহন স্বাভাবিক ভাবে চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেলায় কেন এত অবহেলার শিকার হতে হচ্ছে। তবুও এটা ঠিক, বাড়ি থেকে শিক্ষার্থীরা কিছুটা করোনা শঙ্কা মুক্ত থাকলেও প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রতিনিয়ত মৃত্যু হচ্ছে মানসিক অবস্থার। কে দায় নেবে এ মানসিক মৃত্যুর? সরকার নাকি অন্য কেউ। অনেকে শেষ বর্ষ বা শেষ পরীক্ষা কিংবা ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্টের ধোঁয়াশার মধ্যে আটকে আছে। পারছে না শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে। যে সময়ে তার পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতা তাঁর ঘাড়ে চলে আসে। ফলশ্রুতিতে, প্রতিদিন হাজার বার মৃত্যু হচ্ছে তার মানসিক অবস্থার। এ মানসিক মৃত্যু শুধু শিক্ষার্থীদের বিপথে চালিত করছে না। একই সাথে একটি রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ধাবিত করছে।

তাছাড়া, একটা বড় সংখ্যক ছাত্র,ছাত্রী ঝরে পড়ছে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে। জীবনের প্রয়োজনে, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকে পড়েছে জীবিকা নির্বাহ দিকে। ফলে, শিক্ষাকার্যক্রম থেকে তারা অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা অনলাইন ব্যবসা,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেকে যুক্ত করে নিজের ও পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে চলতে হচ্ছে তাদেরকে।

শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে চাই। সেটা হতে পারে অন্যান্য স্বাভাবিক ভাবে চলমান প্রতিষ্ঠানের মতো সামাজিক নিয়ম মেনে। আমরাও সবার মতো নিয়মের বাইরে নয়। দীর্ঘ বন্ধে সবার সময় কাটছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে,অনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থেকে।বিশেষ করে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়েছে ফ্রি ফায়ার,পাবজি গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে। গেম খেলতে মেগাবাইটের টাকা পরিবার কাছ থেকে না পেয়ে কেউ কেউ পিতা মাতার উপর অভিমানে বেছে নিচ্ছে মৃত্যুকে,বেছে নিয়ে অনৈকিক কার্যক্রমের মাধ্যমে খেলার টাকা জোগার করার। মাদকের আসক্তির থেকে ফি ফায়ার গেমের আসক্তি শিক্ষাথীদের জোকের মতো লেপটে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, "গেম বন্ধ করাই এটার সমাধান না। একটা বন্ধ করলে অন্য একটি তাঁরা বেছে নেবেন। আসক্তি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার চাপ তাদেরকে গেমের আসক্তি থেকে মুক্ত করতে পারে"।
শিক্ষার্থীরা বিষাদগ্রস্থ মন নিয়ে না পারছে বইয়ের পাতাই চোখ রাখতে, না পারছে কর্মক্ষেত্রে সুনিপুণ ভাবে কাজ করতে। অর্থাৎ দোদুল্যমান অবস্থায় দন্ডায়মান আছে দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা এখন দৃশ্যমান সংকট থেকে মুক্তির স্বপ্নে বিভোর। তারা সংকটকে জয় করে আবার অতিদ্রুত সরকারের সদিচ্ছার মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরতে চাই। তাই শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী নিয়ম মেনে হবে শিক্ষাকার্যক্রমের দিপ্ত যাত্রা।

পড়াশোনা, ক্যারিয়ার যেখানে ঝুলে আছে, জীবন যেখানে অনিশ্চিত- নাদিয়া আফরীন তন্দ্রা, শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সবার মনেই দারুণ একটা ধারনা থাকে। ২০১৭ তে এইচএসসি র পর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ২ টা বছর ২০১৮, ২০১৯ ভালমতই পার করি। ২০২০ এ তৃতীয় বর্ষে ২ মাস ক্লাস করার পরই শিক্ষার্থী জীবনের অভিশাপ করোনা নেমে আসে। জুলাই থেকে থেমে থাকা পড়াশোনা অনলাইনে শুরু হলেও ততটা আশানুরূপ হয়নি বিভিন্ন কারণে। কোনমতে ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্লাস করিয়ে ৩য় বর্ষের সিলেবাস শেষ করা হলেও পরীক্ষা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। কথা ছিল ক্যাম্পাস খোলার পর সশরীরে নেওয়া হবে। যেহেতু অনলাইন ক্লাস অতটা সফলতার মুখ দেখেনি, তাই অনলাইন পরীক্ষার কথা ভাবাও হয়নি। কিন্তু তাও হলো না। জানুয়ারি ২০২১ এ থেমে থাকা ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া শুরু হলেও সেটাও মাঝ রাস্তায় আটকে যায়। ৩য় বর্ষের পরীক্ষার রুটিন ৪র্থ বর্ষের শেষ হওয়ার পর নির্ধারণ করা ছিল স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার স্বার্থে। সে আশায়ও গুড়ে বালি। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই থেমে গেল। হল বন্ধ থাকার দরুণ অনেক ঝক্কি ঝামেলা পেরিয়ে নিজের থাকা - খাওয়ার ব্যবস্থা করার পর পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত আসায় কুল-কিনারাহীণ আমরা দূর দূরান্ত থেকে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা। অর্থনৈতিক আর মানসিক অবস্থার কথা আর নাই বা বলি! তার উপর এখন পর্যন্ত সেই অবিবেচকের মত সিদ্ধান্তহীনতা। ১৫দিন এক মাস করে করে রোজা গেল, কোরবানি ও সামনে। এরপর তো আবার বন্ধ ইদের। ইদের পর আবার সংক্রমণ ঝুঁকি। এর শেষ কোথায়?

এখন বর্তমানে ঘরে বসে অপেক্ষা করা, টুকটাক অনলাইন লার্নিং এবং আর্নিং করা ছাড়া আর উপায় নেই। পড়াশোনা, ক্যারিয়ার সব যেখানে ঝুলে আছে, জীবন যেখানে অনিশ্চিত সেখানে এই মহামারীর সময়ে যে সুস্থভাবে সৃষ্টিকর্তার দয়ায় বেঁচে আছি এই হয়ত অনেক! মনের সান্ত্বনা!

এরই মধ্যে দুর্বিষহ এ সময়ে নিজ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বর্ষের ৪ জন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর মনকে আরও বিষন্ন ও অস্থির করে তোলে। এছাড়া এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী নানান কারণে হতাশায় আক্রান্ত হয়ে নিরুপায় হয়ে আজ না ফেরার দেশে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি শুধুই লেখাপড়ার জন্য? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীরা একটা বন্ধু সমাজ পায়, নিজের সুখ দুখের কথা শেয়ার করে, না করলেও ব্যস্ততার কারনে ভুলে থাকতে পারে। এতে কিছুটা হলেও মানসিক স্বস্তি পাওয়া যায়। আর তাছাড়া এ অনলাইন ক্লাসের নামের ছোট ছোট বাচ্চাদের হাতে আজ ডিভাইস, সমাজ বিমুখতা মারাত্নকভাবে লক্ষণীয়। কয়টা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয় বাচ্চাটাকে সার্বক্ষণিক নজরে রাখা?

সারা দেশ যেখানে সচল নাম মাত্র লকডাউন দিয়ে সেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যে কোন রকম যুক্তিই বাস্তবিকপক্ষে অগ্রহণযোগ্য। কর্মজীবি, পেশাজীবী, দিনমজুর থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কর্মযজ্ঞ বিদ্যমান যে দেশে, দিনরাত যে দেশে প্রতিটা যানবাহন সেক্টরে, রাস্তায়, দোকানে ভীর লেগেই আছে, সে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু না করার যৌক্তিকতা কতখানি? উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য যদি সব চালু রাখা দরকার হয়ে থাকে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ছাড়া কি আদো উন্নয়ন সম্ভব? আর তাছাড়া শিক্ষার্থী সমাজ যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে, নিজেদের ভাল বুঝে চলতে না পারে, তাহলে কারা পারবে? আরেকটা আশ্চর্যের জিনিস হল; ক্লাস হোক না হোক, শিখুক না শিখুক, স্কুলের বাচ্চাদের কিন্তু মোটেও সময় নষ্ট হচ্ছে না। তেমনি ভাবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও না। যারা আমাদের সাথেই ভর্তি হল, তারা এখন জব প্রিপারেশন নিচ্ছে আর আমরা এখনও মাঝ রাস্তায় আছি, কবে এর থেকে সামনে আগাবো তাও জানিনা, এটা কি মানবিকতাসম্পন্ন? আর ছোট ভাইবোনেরা সুন্দর একটার পর একটা শ্রেণিতে উন্নীত হয়েই যাচ্ছে। এমন টানাপোড়েন, অসমতা, অনিশ্চিয়তা থেকে দ্রুত অতিক্রমই এখন কাম্য।

নামমাত্র ক্লাস করে সার্টিফিকেট অর্জন করা 'সান্ত্বনা ' মাত্র!- এস. কে. শাওন, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস চললেও দায়সারাভাবে সিলেবাস শেষ হচ্ছে। আর অনলাইন ক্লাসে দীর্ঘ সময় মনঃসংযোগ রাখা দুষ্কর ব্যাপার। যেসব শিক্ষার্থীরা গ্রামাঞ্চলে থাকেন তাদের জন্য অনলাইন ক্লাস করা কষ্টসাধ্য।
এভাবে নামমাত্র ক্লাস করে সার্টিফিকেট অর্জন করা 'সান্ত্বনা ' মাত্র! তাছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের পড়াশুনা শেষ বর্ষে অর্থাৎ অন্তিম মূহুর্তে এসে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
চলমান এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ ঝরে পড়েছেন কেউবা পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন।এতে করে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও পড়াশুনায় পূর্বের ন্যায় ধারাবাহিকতা ধরে রাখা, যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য কঠিন হবে। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক বিকাশেও ব্যাঘাত ঘটছে।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় একদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে শপিংমল, শিল্প কারখানা, গণপরিবহন খোলা রয়েছে।কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ওই স্থানগুলোতে মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক বেশি থাকে।
এজন্য বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা জরুরি।

শিক্ষার্থীরা দিন দিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে- সুমাইয়া ইয়াসমিন মিম, শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি তোলারাম কলেজ
যখন সব কিছুই চলমান তখন স্কুল কলেজ বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ বধের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে । দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা দিন দিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছে । কমে আসছে পড়ার প্রতি স্পৃহা। অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের ফলে দিনের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে তারা শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে , এ অবস্থা চলমান থাকলে এটি ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকি ও গভীর ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। গ্রামীণ পর্যায়ে পৌঁছাছে না এ শিক্ষা । ফলে বাল্যবিবাহ, কিশোর অপরাধ এর মতো সামাজিক ব্যাধি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

"সবার জন্য শিক্ষা" নামক কার্যক্রমটি দিন দিন তার গতিময়তা হারাচ্ছে। ভবিষ্যৎ? নামক প্রশ্নের দিকে তাকিয়ে আছে হাজারো শিক্ষার্থীর জীবন।আগামী দিনগুলোতে তাদের সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গঠনের লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অবিলম্বেখুলে দেওয়া জরুরি।তাদের পড়াশোনার গতিময়তা ফিরিয়ে আনতে এবং পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া বর্তমানে সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে তাদের মননশীলতা ও সৃজনশীলতা বিকাশের পথ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

 

এমএসএম / এমএসএম