নদীর উপরে বাঁশের সাকো তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন রায়গঞ্জের কেফাত আলী
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৬নং ধানগড়া ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদী অতি প্রাচীনতম নদী বলে সবার কাছেই পরিচিত। ফুলজোর নদীর দুই পারে লাখো মানুষের বসবাস। এপার-ওপারের মানুষের সাথে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই নদীপারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথ নৌকা। দেশের সকল জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও ছোঁয়া লাগেনি উপজেলার ঘুড়কা ও ধানগড়া ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ফুলজোর নদীর বুকে একটি ব্রিজ।
দীর্ঘ কয়েক যুগ হলো নদীর দুই পারের সাধারণ মানুষ চলাচলের বাহন হিসেবে নৌকা ব্যবহার করে আসছে। আর এই নৌ যোগে পারাপার খুবই কষ্ট কর ও সময় সাপেক্ষের বিষয়। কথায় আছে নৌকা ফেল তো ট্রেন ফেল তেমনি অবহেলিত ভাবে পরে আছে ধানগড়া ইউনিয়নের জয়ানপুর খেয়াঘাট।
যুগের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু পরিবর্তন হয়নি এই খেয়া ঘাটের। একমাত্র নৌকাই পারাপারের পথ ওই এলাকার সাধারণ মানুষের, তাইতো চলাচল কারীদের দুঃখ কষ্টের কথা ভেবে ও চলাচলের পথ সুগম করতে চির বহমান,চলমান ৩০ ফুট গভীর জ্বল থেকে গড়ে তোলা ফুলজোর নদীর উপর প্রায় ৫০০ ফুট সাঁকো বাঁশ দিয়ে তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। খেয়াঘাটের মাঝি কেফাত আলী।
সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা নিলাম তুলে প্রায় ৮০ হাজার টাকা ব্যয় করে বাঁশের সাকোটি তৈরি করেছেন কেফায়েত আলী। আর এই বাঁশের তৈরী সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ নিরবিঘ্নে পার হচ্ছেন।
রায়গঞ্জ বাজার ও উপজেলা সদর আসা যাওয়ার সোজা পথ তাই তো প্রতিদিন দুর দুরন্ত থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ জয়ানপুর খেয়াঘাটের মাঝির তৈরি কৃত বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাফেরা করছেন।
জানা যায়, উপজেলার রায়গঞ্জ, ধানগড়া,জয়ানপুর, বেষ্টপুর, বেংঙনাই,তেগুরী, গংগা রামপুর, আটঘরিয়া, দরবস্ত,বাসুরিয়া,বেগমপুর, অপরদিকে ঘুড়কা ইউনিয়নের জঞ্জালীপাড়া, নাঙলমোরা, কালীকাপুর,দাদপুর, সাহেবগঞ্জ গ্রামের মানুষ ঐ সাঁকো বেয়ে রাতদিন চলাফেরা করছেন।
বর্তমান সরকারের কাছে সচেতন মহল ও এলাকা বাসীর দাবি, ধানগড়া ইউনিয়নের জন গুরুত্বপূর্ণ জয়ানপুর খেয়াঘাটে ফুলজোর নদীর উপর একটি ব্রিজ। এ বিষয়ে ধানগড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর ওবায়দুর রহমান মাসুমের সাথে মোঠফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে জয়ানপুর খেয়াঘাটে নৌকা যোগে পারাপার হচ্ছে জনগণ, বিষয় টি আমি নজরে রেখেছি, উর্ধতন কর্মকর্তা দের সাথে কথা বলেছি জয়ানপুর ফুলজোর নদীর উপর ব্রীজ তৈরী হলে ধানগড়া ও ঘুড়কা উভয় ইউপির মানুষের মধ্যে এক সেতুবন্ধন তৈরি হবে এবং যোগাযোগের পথ সুগম হবে।
শাফিন / জামান