গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটারের ৩৭ প্রদর্শনী সমাপ্ত, প্রস্তুত আরাে কয়েকটি

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকীর ভাবনা ও পরিকল্পনায় এবং দেশের বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক ও সারাদেশের মঞ্চ অভিনেতাদের অংশগ্রহনে গত বছরের ২২ অক্টোবর উদ্বোধন হয় দেশব্যপী গণহত্যার পরিবেশ থিয়েটার; উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের এ দেশের দোসরদের চালানাে নৃসংশ গণহত্যার আন্তজার্তিক স্বীকৃতি আদায়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশজুড়ে প্রতিটি জেলায় বধ্যভূমি বধ্যভূমি সংলগ্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থানে মঞ্চস্থ হচ্ছে এই বিশেষ প্রদর্শনী। কর্মসূচির প্রযােজনা ও মঞ্চায়ন নির্বাহী আলি আহমেদ মুকুল এবং গবেষণা নির্বাহী আবু ছালেহ মােঃ আব্দুল্লাহ। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩৫টি প্রদর্শনী হলেও করােনা পরিস্থিতির অবনতির কারনে জানুয়ারীতে মাত্র ২টি প্রদর্শনী হয়ে এখন প্রদর্শনী আপাতত স্থগিত আছে।
উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত জেলা মেহেরপুরে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নাট্যজন লিয়াকত আলী বলেন, 'আমাদের জন্য এটা একটা সৌভাগ্য। মুজিব বর্ষের পরপরই স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা সারাদেশে মানুষের কাছে পৌছাতে যাচ্ছি বধ্যভূমি পরিবেশ থিয়েটার নিয়ে। শিল্পের সব শাখাই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কাজ করেছে, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর যে গণহত্যারও পঞ্চাশ বছর তা এই পরিবেশ থিয়েটারের মাধ্যমে দেশব্যাপী তুলে ধরতে চাই। শিল্প-সাহিত্য ইতিহাসকে সজীব রাখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। সারাদেশে এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা গণহত্যা-বধ্যভূমি তথা মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে শৈল্পিকভাবে পৌছাতে চাই।"
মেহেরপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে মাে: মেহেদি তানজিরের রচনা, পরিক্লপনা ও নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় নাটক বােধন। নাটকটি সর্বমােট ৫টি স্থানে অভিনীত হয়েছে। দর্শকদের অভিনয়স্থলে। নিয়ে গেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সবশেষে এই নাট্যযাত্রা সমাপ্ত হয় শহীদ বেদীতে এসে মােমবাতী পালন করে, শপথ করে। সমবেত সবাই শপথ করে, যে চেতনায় এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তার সম্মান ধরে রাখতে সকলে সচেষ্ট থাকবা। দর্শক-অভিনেতা সহযােগে এই যে নাট্যযাত্রা তা অভিনব। পার্ফরমেন্স আর্ট, ইনস্টলেশন আর্ট এবং অনসাম্বলের মধ্য দিয়ে এ নাটক নতুন একটি পর্যায়ে নিয়ে যায় দর্শকদের। বিভিন্ন ধরনের আলাের ব্যবহার, কয়েকটি প্রজেক্টরে স্থীর চিত্র এবং তথ্যচিত্র প্রক্ষেপন সকলকেই সংযুক্ত করে, আবেগতাড়িত করে।
এরপর একে এক লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, ফেণী, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ঝিনাইদহ, চাঁদপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, নরসিংদী, কুমিল্লা, চুয়াডাঙা, জয়পুরহাট, বাগেরহাট, মাগুরা হয়ে ঢাকার রায়েরবাজার বধ্যভূমি।
লালমনিরহাটে পরিবেশ থিয়েটার মঞ্চস্থ হয় শতবর্ষী রেলওয়ে এম, টি, হােসেন ইনস্টিটিউটে, যেখানে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছিলাে। রেলওয়ের গােড়াপত্তনের সাথে সাথে এ অঞ্চলে ঘাটি গার্ডে বিহারীরা। গণহত্যায় বিহারীরা পাকিস্তানের পক্ষে অংশগ্রহণ করে তাই নিহত ও আহতের সংখ্যা অনেকগুন বেড়ে যায় লালমনিরহাটে। সাতক্ষীরায় মঞ্চস্থ হয় ঝাউডাঙা গণহত্যা নিয়ে নাটক ‘বর্ডার ৭১' রচনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় মাে. মাজহারুল হােসেন তােকদার। বর্ডার ৭১' প্রযােজনাটি শরনার্থীদের উপর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকারদের নারকীয় হামলার এক বাস্তব উপস্থাপন। ঝাউডাঙা বধ্যভূমির গণহত্যার স্থানটি এখন চিংড়ির ঘের এবং অচিহ্নিত। তাই অভিনয়টি উপস্থাপন হয় স্থানীয় খেলার মাঠে। শিল্পকলা একাডেমির প্রায় ২০০ জন অভিনেতার পাশাপাশি বাঁকালের প্রায় ৩০০ জন গ্রামবাসী বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। শিশু, তরুন-তরুণী থেকে স্কুল শিক্ষিকা, চায়ের দোকানদার এমনকি মুক্তিযােদ্ধা পর্যন্ত ছিলেন অভিনেতার দলে। মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাদের এমন নিবেদন, নাটকের প্রতি এমন ভালােবাসা অকল্পনীয়।
রাজশাহী জেলার পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা হলের পুরাে মাঠ এবং ভবন জুড়ে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জোহা হলের পাশের গণকবর থেকে উদ্ধার হয় বহু মানুষের হাড়গােড়। জোহা হলে পাওয়া যায় নির্যাতিত নারীর মাথার চুল, শাড়ি, ছেড়া ব্লাউজ। ৫০ বছর পর নাটকে ঠিক সেই আবহই ফুটিয়ে তােলা হয়। হলের দুই পাশে দুটি এলইডি মনিটরে বাইরে ধারণ করা দৃশ্যগুলাে দেখানাে হয়। ট্রেন থেকে পাকিস্তানী বাহিনী উত্তরাঞ্চলে আটক মুক্তিকামী নারী-পুরুষকে দড়িতে বেধে নিয়ে আসছে। দেখানাে হয় কিভাবে নির্যাতনের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মজিবুর রহমান দেবদাস। মঞ্চে ইটভাটার মৃতপুরী থেকে বেঁচে থাকা তিন সূর্য সন্তানের স্মৃতিকথন বর্ণিত হয় তাদের নিজ বয়ানে।
চাঁদপুর ও আশেপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার বাঙালি নারী-পুরুষ ধরে তিন নদীর মােহনা মােলহেড বড় স্টেশনে নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছিলাে বর্বর পাকিস্তানীরা। রেলওয়ে রেস্টহাউজ, জিআরপি থানা এবং রেলের পরিত্যক্ত ওয়াগনে নারীদের বিবস্ত্র করে বিকৃত যৌনাচারে অকথ্য নির্যাতন চালাতাে। দেহের স্পর্শকাতর অংশগুলােকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে, সিগারেটের আগুন দিয়ে, ছুরি দিয়ে কেটে তারা আধামরা কওে স্তুপ করে রাখতে দিনভর। তারপর রাত নেমে ভাের হলে তাদের মৃতদেহগুলাে ফেলে দিতে ডাকাতিয়া-মেঘনায়। মাছেদের খাবার হতাে সেইসব লাশগুলাে। মহান একাত্তরের সেইসব লােমহর্ষক নির্যাতনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়েই চিত্রিত হয়েছে বধ্যভূমি পরিবেশ থিয়েটার প্রযােজনা 'মধ্যরাতের মােলহেড'। নাটকটি প্রায় ২০০০ হাজার দর্শক উপভােগ করেন এবং নাটক শেষে প্রধান অতিথি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মণি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই নাটক যদি নতুন প্রজন্মকে পথ দেখায় ইতিহাস ও স্বাধীনতার চেতনার প্রতি তবেই এই আয়ােজন স্বার্থক। আমি নিজে অনেক আবেগ তাড়িত হয়েছি এবং আমি সারাদেশে এই আয়ােজনের সাফল্য কামনা করি।”
ঢাকার রাযেরবাজার বধ্যভূমিতে মঞ্চস্থ হয় “চোখবাধাঁ মাইক্রোবাস ও শূন্যতার গল্প”। ইতিহাসের বয়ানের মধ্য দিয়ে একটি ঐতিহাসিক স্থানও যে প্রাণ ফিরে পায়, কথা বলে ওঠে; তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ এই প্রযােজনাটি। পাশাপাশি থিয়েটার মঞ্চের মতন একটা শুন্য। আয়তনেও যে পরিবেশ থিয়েটার সম্ভব, সেটাও প্রমাণ করে দেয় “চোখবাঁধা মাইক্রোবাস ও শুন্যতার গল্প"। আলবদর-রাজাকারেরা সাড়ে তিন হাজার বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কর্মকান্ডের প্রমাণ পেয়ে তালিকা তৈরী করেছিল এবং তালিকা অনুযায়ী নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করেছিল। ঢাকাতে তারা নিধন স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছিল তাদের আয়ত্বে থাকা রায়েরবাজারের নদীর তীরবর্তী স্থানকে। নাটকটি রচনা করেছেন ড. মাহফুজা হিলালী ও নির্দেশনা দিয়েছেন আমিনুর রহমান মুকুল। রায়েরবাজার বধ্যভূমিকে কেন্দ্র করে লেখা হলেও নাটকটিতে ড. মাহফুজা হিলালী ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের প্রধান প্রধান কর্মতৎপরতা গুলােকেই উপজীব্য করেছেন। পাশাপাশি নাটকে আমরা দেখতে পাই পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ও নীল নকশার তৎপরতা, জেনারেল ইয়াহিয়া খান, জেনারেল রাওফরমান আলী, জেনারেল টিক্কা খানদের পৈশাচিক কর্মকান্ড, স্থানীয় রাজাকার-আলবদরদের নানান কিসিমের অপরাধ কার্যক্রম। নাটকে স্থান পেয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক ১৯৭১ সালের ২৫ মাছের কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর বর্ব ও নৃসংশ হত্যাকান্ড, যা ইতিহাসে 'অপারেশন সার্চ লাইট' নামে পরিচিত। এছাড়া একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পুরাে নয় মাস জুড়ে বাঙালি মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতিরােধ সংগ্রাম ও গেরিলাদের অভাবনীয় আক্রমণের ঘটনাগুলােও এই নাটকে স্থান পেয়েছে। অভিনয়, আবহ, আলাে, প্রপ, পােশাক, কোরিওগ্রাফি মিলে অসাধারণ। এক পরিবেশ থিয়েটার এটি।
এরকম প্রায় প্রতিটি প্রযােজনাই হয়েছে দর্শকনন্দিত। ঢাকা, সিলেট, মৌলভীবাজার, চুয়াডাঙা, নরসিংদী, কুমিল্লা, বরগুনা, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, পিরােজপুর, সাতক্ষীরা, নীলফামারীর প্রযােজনাগুলাে ছিলাে বর্তমানে বাংলাদেশের নাট্যচর্চার ধারাবাহিকতায় মানােত্তীর্ণ। উপরন্ত নাট্য আঙ্গিক, দৃশ্যায়ন এবং নীরিক্ষায় দেখা গেছে নব নব প্রচেষ্টা। বধ্যভূমি, খেলার মাঠ, স্কুল ভবন, নদীর পাড়, শহরের পার্ক, শহীদ মিনার, ধানক্ষেত এমনকি মুক্তমঞ্চে পরিবেশ থিয়েটার মঞ্চায়িত হবার ফলে দৃশ্যগত বৈচিত্র লক্ষ্য করা গেছে প্রযােজনাগুলােতে। নৌকা, লঞ্চ, স্পীডবোেট, মটরগাড়ী, ট্রাক, বাইসাইকেল, মটর সাইকেল, রিকশা প্রভৃতি যানবাহন ব্যবহার পরিবেশনাগুলােকে গতিশীল এবং চমকপ্রদ করেছে।
ফয়েজ জহির, আশিকুর রহমান লিয়ন, রাহমান রাজু, আমিনুর রহমান মুকুল, আরিফ হায়দার, মাে, শাহাদাত হােসেন, সম্রাট প্রামাণিক, ফাহিম মালেক ইভান, হাবিব মাসুদ, আনন জামান, মীর মেহবুব আলম নাহিদ সমসাময়িক বাংলাদেশের থিয়েটার চর্চায় আলােচিত নাম। তাদের নির্দেশনায় নির্মিত নাটকে দেখা গেছে বিষয়গত বৈচিত্র, উচ্চ মানের পরিকল্পনা এবং আধুনিক ও দেশজ রীতির সংমিশ্রণ। রুবাইয়াত আহমেদ, তানভীর আহমেদ সিডনী, হাসান শাহরিয়ার, আনন জামান, শাহীন রহমান, সৌম্য সালেক এর নাট্য রচনার পাশাপাশি তরুন নির্দেশকবৃন্দও
নির্দেশনার পাশাপাশি গবেষণা করেছেন, লিখেছেন পান্ডুলিপি। প্রযােজনায় যুক্ত হয়েছেন ঠান্ডু রায়হান, আলি আহমেদ মুকুল, মােঃ জসিম উদ্দীন, অম্লান বিশ্বাস, জুনায়েদ ইউসুফ, পলাশ হেনড্রি সেন এর মত পেশাদার ডিজাইনারগন সাথে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ডিজাইনারগন। গ্রুপ থিয়েটার কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলন ঘটেছে এই প্রযােজনাগুলােতে। বেশ কয়েকটি পরিবেশনায় স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে।
নিজেদের এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার উপস্থাপন দর্শকদের কেবল সম্পৃক্তই করেনি, আবেগতাড়িত করেছে। কোথাও কোথাও বধ্যভূমি সংরক্ষণে দাবী উঠেছে স্থানীয় জনগনের মধ্য থেকেই। সর্বোপরি সাধারন মানুষ সম্পৃক্ত হয়েছে স্থানীয় শিল্পীদের সাথে, জেলায় শহরের শিল্পীদের সাথে মেলবন্ধন হয়েছে জাতীয় পর্যায়ে কাজ করা বিভিন্ন নির্দেশক, নাট্যকার ও ডিজাইনারদের। প্রচুর তরুণ শিল্পীদের সংযুক্তি এই প্রদর্শনীগুলাের একটা উল্লেখযােগ্য দিক।
কোভিড পরবর্তী সারা দেশে জেলা পর্যায়ে নাট্যচর্চা নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযােগীতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় শিল্পীদের সাথে প্রশাসনের এক ধরনের যৌথ কাজের প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে যা পরবর্তীতে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চায় দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারনা করা যায়।
আরাে কয়েকটি প্রযােজনা প্রদর্শনীর অপেক্ষায় আছে। পটুয়াখালী, যশাের এবং রাঙামাটির প্রদর্শনী স্থগিত আছে করােনার প্রকোপে উন্মুক্ত স্থানে জনসমাবেশের নিষেধাজ্ঞার কারনে। বাকী জেলাগুলাের কাজও প্রায় সমাপ্তের পথে। আশা করি দ্রুত কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে দর্শকরা নাট্য প্রযােজনাগুলাে দেখতে পারবেন।
জামান / জামান

একাত্তরে হারিয়েছি আজকেও হারাব: চমক

Bongo-তে নতুন রাজনৈতিক থ্রিলার ওয়েবফিল্ম ‘দাবাঘর’ মুক্তি পেল

‘জীবনের অর্ধেক কেটে যায় ট্রাফিকেই’

জেন-জির নতুন ক্র্যাশ ‘সাইয়ারা’র আহান

আলোচনায় শাহরুখ-রানির বন্ধুত্ব

‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ অনুভব করিনি’

‘শাহরুখের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের পর হাত ধুইনি’

অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শর্তেই ভেঙে যায় অমৃতার ক্যারিয়ার

আপনাদের কি কোনো যোগ্যতা নেই— ক্ষুব্ধ প্রভার প্রশ্ন

এবার সালমানকে ‘নোংরা বাবার নোংরা ছেলে’ বলে তোপ পরিচালকের

বিয়ের আগের দিনের অনুভূতি জানালেন তানিয়া বৃষ্টি

১৪ বছর আগেই মা হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ক্যাটরিনা
