শ্রমিকদের নাম পুজিঁ করে সিন্ডিকেট নিলাম খেলায় মেতে উঠেছে প্রশাসন
সুনামগঞ্জের ইজারাবিহীন ধোপাজান নদীতে প্রতিনিয়ত পাথর কুড়িয়ে চলছে হাজারো শ্রমিকের জীবন-জীবিকা। বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও এসব নিষেধাজ্ঞা মানছে না নদীরপাড়ে থাকা অসহায় দিনমজুর বারকি শ্রমিকরা। তারা প্রতিনিয়ত প্রশাসনের চোখের সামনে চলতি নদী ধোপাজান নদীর তীরে পাথর কুড়িয়ে বালু ও পাথর ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে চালাচ্ছে তাদের জীবন-জীবীকা ও শত শ্রমিকের পরিবার। আর এসব শ্রমিককে পুঁজি করে অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তা। তারা কিছু অসৎ ব্যবসায়ীদের সাথে হাত মিলিয়ে নিলাম খেলায় মেতে উঠেছেন অধিক মুনাফার লোভে।
পরিবেশ বিনষ্ট করে তিলে তিলে ধোপাজান নদীকে ধ্বংস করে এখন বানানো হচ্ছে সিন্ডিকেটের মহাসাগর। পরিবেশবাদীরা এখন পরিবেশ বিনষ্ট করার কাজ করে চলেছেন নীরবে? তিলে তিলে নদীর পাড় ভাঙ্গনে ও ধোপাজান নদীর পরিবেশ ধ্বংস করার সার্বিক সহযোগিতা করে চলেছেন তারা। শুধু তাই নয়; জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, নৌ পুলিশ, বিজিবির কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিলে ধোপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করার পরিবর্তে ধ্বংস করে চলেছেন নিলাম খেলার মাধ্যমে। সরকারি কোষাগারে অর্থ জমানোর নেশায় মেতে উঠেছেন সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। তারা ভুলে যাচ্ছেন পরিবেশ রক্ষা করার চিন্তা-ভাবনা। তাদের মাথায় এখন একটি চিন্তা- শুধু নিলাম খেলা। অপেক্ষায় পহর যেন তাদের নিত্যদিনের সাথী।
নদী থেকে পাথর উঠানো, নদীর পাড় কেটে পাথর জমানোয় কোন বাধা নেই। নিয়ম শুধু একটাই প্রশ্ন করলে উত্তর মেলে দিনমজুর শ্রমিকরা ধোপাজান নদী থেকে বালি পাথর উত্তোলন করতে কোনো বাধা নেই। কিন্তু ওই পাথর ও বালু নিলামের মাধ্যমে বের করার কৌশল হিসেবে নিলামের নামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বেরর করার অনুমতি পাবে। যে পাথর নিলাম হয় তার চেয়ে বিশগুণ বেশি বালি ও পাথর বের করার রাস্তা তৈরি করে দেন সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ওই সমস্ত কর্মকর্তা। সরকারি কোষাগারে ১ টাকা জমা করে পাচঁ টাকা যায় সিন্ডিকেটের পকেটে। এক লাখ ঘনফুট পাথর নিলাম হলে পাচঁ লাখষ ঘনফুট পাথর বের করার সুযোগ করে দেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। আর এদের সাথে রয়েছে কিছু অসাধু দালালরূপী সাংবাদিক নামধারী সাধু ব্যক্তি, যারা ধরি মাছ না ছুঁই পানি হয়ে চাদাঁবাজিতে মেতে উঠেছেন প্রতিনিয়ত। দেখেও না দেখার ভান করেন সামান্য মুনাফার লোভে। কলঙ্ক করে চলেছেন সাংবাদিক সমাজকেও।
ধোপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সত্য বাস্তবতা নিয়ে কয়েকজন সাংবাদিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলে অনেক সাংবাদিককে পড়তে হয়েছে সিন্ডিকেটের হুমকির মুখে। অথবা অসাধু কর্মকর্তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকিতে। কী আর করা, পেশাগত দায়িত্ব বজায় রাখতে কিছু কিছু সাংবাদিকরা মামলা-হামলার তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যান তাদের সত্য প্রকাশের অবিরাম প্রতিবেদনের পথচলা।
বারবার প্রশাসনের কাছে ধোপাজান নদীর পাড় কাটা ও পরিবেশ রক্ষা করা নিয়ে জানতে চাইলে একটাই উত্তর মেলে, যা শুনতে শুনতে সাংবাদিকদের কান ভারি হয়ে উঠেছে। তারা শুধু বলেন, আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। অথচ যা কিছু হচ্ছে সকলের সামনে প্রকাশ্যে হচ্ছে। রক্ষকরাই যদি ভক্ষক হন, তখন তাদের ব্যবস্থা কে নেবে? সেটাই এখন সময়ের দাবি বলে মনে করেন নদীরপাড়ে থাকা নিরীহ মানুষেরা, যাদের বুক ফাটে তো মুখ খোলে না।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নীরবে অনুনসন্ধান করে সরেজমিন সুনামগঞ্জ এসে ধোপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং নিলাম সিন্ডিকেট বন্ধ করে শ্রমিকদের দুমুঠো ভাত খাওয়ার জন্য নদীর পাড় কাটা বন্ধসহ ইঞ্জিনবাহী নৌকা বন্ধ করে সরকারিভাবে ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা অফুরন্ত বালুর চর হতে শুধুমাত্র কাঠের বারকি নৌকা চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করে দেবে- এমটাই প্রত্যাশা দিনমজুর শ্রমিকদের।
শাফিন / জামান
হাতিয়ায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
পঞ্চগড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানী
ইনসাফ এর বাংলাদেশ চায় জামায়াত
রাতে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, সকালে উধাও স্বামী
পটুয়াখালীর দশমিনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
নেত্রকোনা-২ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আনোয়ারুল হকের বিশাল নির্বাচনী শোডাউন
নবীনগরে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ১৩ কিলোমিটার মানববন্ধন
তাড়াশে লক্ষ্মী নারায়ণ গোপাল বিগ্রহ মন্দিরের সম্পত্তি জোর করে দখল প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
সিংড়ায় বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মাদারীপুরে গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনায় বিচার চায় পরিবার
শেরপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
নাচোলে স্টুডিও টেলিকম ও ফটোকপি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় ও মাসিক সভা অনুষ্ঠিত