শহীদ মিনারহীন ৮০ বছরের পুরনো বিদ্যাপীঠ বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর হাতে হরেক রকমের বই। কারো হাতে বিজ্ঞানের বা তথ্যপ্রযুক্তির বই। প্রতিষ্ঠানে কেউবা অ্যাসাইনমেন্টের শীট নিয়ে ব্যস্ত। অনেক শিক্ষক কয়েক বছর পার করছেন বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পাঠদান পরিকল্পনায় থাকা ব্যাকরণ ও বাংলাভাষার ব্যবহার পড়াতে। কিন্তু ভাষার মাসে এসব প্রতিষ্ঠানে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জানানোর উদ্দেশ্যে দেখানোর সুযোগ নেই ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিতে তৈরি কোনো শহীদ মিনার।
বলছি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের ৫৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যবইয়ে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের ছবি থাকলেও প্রতিষ্ঠানে নেই দৃশ্যমান কোনো শহীদ মিনার। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষা ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি এখন শুধুই পাঠ্যবইয়ের কাগজে বন্দি। উপজেলায় এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে ৩টি কলেজ, ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শহীদ মিনার নেই এমন তালিকা থেকে বাদ পড়েনি ৮০ বছরের পুরনো ও ঐহিত্যবাহী একটি বিদ্যাপীঠ। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অনেকটা দায়সারাভাবে শহীদ দিবস পালন করে থাকেন। তবে কোনো কোনো বছর অনেক প্রতিষ্ঠান হাতেগোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে পাশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে গিয়ে দায়সারাভাবে ফুল দিয়ে আসেন। এতে করে ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও আন্দোলনে শহীদদের বিশেষ অবদানের কথা জানা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত হচ্ছে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা।
উপজেলায় শহীদ মিনার রয়েছে এমন তালিকায় রয়েছে বিরামপুর সরকারি কলেজ, কেটরা ডিগ্রি কলেজ, কাটলা উচ্চ বিদ্যালয়, দেশমা উচ্চ বিদ্যালয়, শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আমানুল্লাহ আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, পৌরসভা উচ্চ বিদ্যালয়, একইর উচ্চ বিদ্যালয় ও বিনাইল উচ্চ বিদ্যালয়। তবে উপজেলার দুটি ছাড়া সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। তবে অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি অর্থ খরচ করে নিম্ন মানের ও দায়সারা শহীদ মিনার তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে থাকে। সেখানে এলাকার অনেক মানুষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারকে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছে।
১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত ও উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিরামপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতিশিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী প্রায় ১১শ। এখানেও নেই শহীদ মিনার। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন বলেন, কিছু সমস্যা থাকার কারণে বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের প্রবেশ দরজার পশ্চিম পাশে একটি সুন্দর শহীদ মিনার তৈরি করার জন্য জায়গা ঠিক করা হয়েছে। খুব শিগগিরই সেখানে একটি শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।
এলাকার সচেতনমহল দাবি করছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিতে এখন অনেক এগিয়ে। অদূর ভবিষ্যতে তারা আরও এগিয়ে যাবে। তবে বাঙালি জাতি হিসেবে এখনকার শিক্ষার্থীরা যদি বাংলাভাষার জন্ম ও ভাষা আন্দোলনে শহীদদের বীরত্বগাঁথা ও আত্মত্যাগের কথা না জানতে পারে তাহলে সেটি খুব দুঃখজনক।
হাবিবপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক সুলতান মাহমুদ বলেন, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ না থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। প্রতিবছর মহান শহীদ দিবসে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিরামপুর সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আসে। প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনারের জায়গা নির্ধারণ করে একটি এস্টিমেট শিক্ষা দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সরকারি বরাদ্দ পেলেই শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি খায়রুল আলম রাজু বলেন, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আর্থিক সমস্যা থাকার কারণে শহীদ মিনার তৈরি করতে পারেনি। তবে উপজেলার প্রাথমিকে অধিকাংশ এবং কলেজ ও মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থায়নে ৯টি দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করা হবে।
দিনাজপুর-৬ আসনের মাননীয় সংসদসদস্য শিবলী সাদিক বিরামপুর উপজেলার অবশিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শহীদ মিনার তৈরির বিষয়ে আর্থিক বরাদ্দে সহযোগিতার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন।
এমএসএম / জামান

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখলে ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন, চলাচলে দুর্ভোগ শতাধিক পরিবারের

কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে গোলক ধাধা

দর্শনা কেরুজ আমতলাপাড়ায় দিনে-দুপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের বাড়িতে চুরি

সাঘাটার মডেল মসজিদ: ছয় মাস ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ

বগুড়ায় বাসের ভেতর তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, চালক গ্রেপ্তার

ভূরুঙ্গামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা ভূট্টা বাদে ৯ প্রকার বীজ প্রণোদনা হিসাবে পাবে ৪২০০ কৃষক

দুর্গাপুরে সেচ্ছাসেবক দলের মাদক বিরোধী মানববন্ধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ নাচোলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ প্রায় ২০ জন আহত

কুড়িগ্রামে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

গোপালগঞ্জে ৫৬তম বিশ্ব মান দিবস পালিত

ঠাকুরগাঁওয়ে থানা বিএনপির বর্ধিত সভায় মির্জা,ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বীরগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপন.

দোহারে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Link Copied