সুনামগঞ্জে ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার আতংকে পুরুষশূন্য কাইয়েরগাঁও গ্রাম
সুনামগঞ্জের এক ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার ভিত্তিহীন মামলায় গ্রেফতার আতংকে পুরুষশূন্য রয়েছে উপজেলার কাইয়েরগাঁও গ্রাম। বন্ধ রয়েছে স্থানীয় বাজারের দোকানপাট। বিপাকে পড়েছে শত শত পরিবার। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণের দাবিতে একটি মানববন্ধনই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের- এমটিই দাবি করছেন তারা।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধোপাজান চলতি নদীর তীরে অবস্থিত কাইয়েরগাঁও গ্রাম, যেখানে শত শত বারকি শ্রমিক বসবাস করে আসছেন। এদের জীবন-জীবিকার একমাত্র ভরসাস্থল ধোপাজান নদী। বালু ও পাথর উত্তোলন করে চলে তাদের জীবন। আর এসব শ্রমিকের মধ্যে ছোট ছোট নৌকার মালিকও রয়েছেন। এ গ্রামের পাশেই রয়েছে ধোপাজান বালু-পাথর মহাল। সেখানে শত শত শ্রমিক হাত দিয়ে পাথর, টুকরি দিয়ে বালু কুড়িয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আবার কেউ কেউ অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর পাড় কেটে শ্রমিকদের পুজিঁ করে কিছু অসৎ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চালাচ্ছেন তাদের সিন্ডিকেট ব্যবসা। কিছু অসাধু কর্মকর্তা অধিক মুনাফার লোভে তাদের পেশাগত দায়িত্ব ভুলে গিয়ে গোপনে নিজেরাই বালু-পাথর ব্যবসার সাথে জড়িয়ে নিয়েছেন নিজেদের। ফলে ধোপাজান নদী হারাচ্ছে ভারসাম্য।
অন্যদিকে সিন্ডিকেটের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে চলেছেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা। মামলা দিয়ে হয়রানিসহ সাধারণ মানুষকে মারধর করে নিজেরাই অনিয়ম করে চলেছেন প্রতিনিয়ত! নদীর পাড়ে থাকা একই পাথর ৩ থেকে ৪ বার নিলামের নামে পরিবেশ নষ্ট করে ড্রেজার মিশিন দিয়ে বালু ও পাথর উত্তোলন করে নৌকাযোগে তিনগুণ বেশি মাল বের করার ব্যবস্থাপত্র দেন ওই সব দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।
এসব বিষয়ে যারাই প্রতিবাদ করে তাদের ওপর দায়ের করা হয় মিথ্যা মামলা অথবা খালি নৌকা ধরে নিয়ে করা হয় বড় অংকের জরিমানা। আর এসব করে চলেছেন উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী সিদ্ধার্থ বাবু, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন। আর এদের কথামতো সকল ব্যবস্থা করে দেন দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এমন তথ্য বেরিয়ে আসে স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকাসহ টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে।
জানা যায়, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযানকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষদের লাঞ্ছিত করা হয়। এরই প্রতিবাদে ইউএনওর অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর ব্যানারে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের পরদিন এসিল্যান্ড সাদিয়া সুলতানার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনাকালে পাথর ছোড়ার অভিযোগে সুনামগঞ্জ সদর ভূমি অফিসের তহসিলদার নুর আলী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ১২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকেই গ্রেফতার আতঙ্কে গ্রামছাড়া হয়েছেন গ্রামের পুরুষরা। এ কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছে এলাকার শত শত পরিবার।
সাধারণ মানুষেরা বলছেন, মানববন্ধন করার কারণেই গ্রামের নিরীহ মানুষদের আসামি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকার মানুষদের হয়রানি করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সাধারণ মানুষদের হয়রানি বন্ধসহ জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এমটিই দাবি জানান কাইয়েরগাঁও গ্রামের ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষেরা।
এমএসএম / জামান
হাতিয়ায় গাঁজা ও ইয়াবা সহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
পঞ্চগড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানী
ইনসাফ এর বাংলাদেশ চায় জামায়াত
রাতে স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু, সকালে উধাও স্বামী
পটুয়াখালীর দশমিনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল
নেত্রকোনা-২ বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডাঃ আনোয়ারুল হকের বিশাল নির্বাচনী শোডাউন
নবীনগরে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ১৩ কিলোমিটার মানববন্ধন
তাড়াশে লক্ষ্মী নারায়ণ গোপাল বিগ্রহ মন্দিরের সম্পত্তি জোর করে দখল প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
সিংড়ায় বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মাদারীপুরে গৃহবধুর আত্মহত্যার ঘটনায় বিচার চায় পরিবার
শেরপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
নাচোলে স্টুডিও টেলিকম ও ফটোকপি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় ও মাসিক সভা অনুষ্ঠিত