বাঁশখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জায়গা দখল
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের হালিয়াপাড়া এলাকায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে পাকা দেয়াল গুঁড়িয়ে দিয়ে জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২ মার্চ) সকালে সংঘটিত ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় মা-মেয়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিপক্ষের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেয়ে মামলার বাদী আয়েশা ছিদ্দিকা শেলী ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে ঘটনাস্থলে দ্রুত থানা পুলিশের এএসআই নজরুল ও জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের উদ্ধার করে বলে নিশ্চিত করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়, কাথারিয়া ইউপির হালিয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবু শামা সওদাগরের সাথে একই এলাকার মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে হাবিব আহমদের সহিত ১৯৯৫ সালে এওয়াজমূলে ১৯ গণ্ডা জায়গা রেজিঃমূলে হস্তান্তর করেন। সেই থেকে দীর্ঘ ২২ বছর ওই জায়গায় বসতবাড়ি স্থিত অবস্থায় রয়েছে। তবে কিছুদিন পূর্ব থেকে হাবিব আহমদ গং পুনরায় ওই জায়গার দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দখল ঠেকাতে আবু শামা সওদাগরের মেয়ে আয়েশা ছিদ্দিকা শেলী ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (চট্টগ্রাম দক্ষিণ) ফৌ: কা: বি: ১৪৫ ধারামতে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জায়গার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে থানা পুলিশকে ও দখল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাঁশখালীকে নির্দেশ প্রদান করে। তবে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বুধবার সকালে প্রতিপক্ষ হাবিব আহমদ গং লোকজন নিয়ে আবু শামা সওদাগরের বাড়িতে হামলা চালায়। চারদিকের পাকা ওয়াল ভাংচুর করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ওই জায়গা দখল করে নিয়েছে তারা। এহেন বেআইনি কাজে ভুক্তভোগী পরিবার বাধা প্রদান করলে প্রতিপক্ষের ইটপাটকেলের হামলায় আহত হন মা মায়মুনা বেগম ও তার মেয়ে আয়েশা ছিদ্দিকা শেলী।
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দীন বলেন, জায়গা নিয়ে বিরোধে কাথারিয়ার হালিয়াপাড়ায় হামলার ঘটনায় ৯৯৯-এর কল পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এমএসএম / জামান