লামায় স্কুলে গিয়ে ফেরেনি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী
বান্দরবানের লামা উপজেলায় স্কুলে গিয়ে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা শীল (১৪)। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ স্কুলছাত্রী পূর্ণিমা শীল হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও হায়দারনাশী এলাকার সুজন শীলের মেয়ে।
এদিকে, আশপাশে ও স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে লামা থানায় পূর্ণিমা শীলের মা লাকী রানী শীল নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
নিখোঁজ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকাল ৮টায় পূর্ণিমা শীল বাড়ি হতে স্কুল ড্রেস পরে স্কুলের ব্যাগসহ স্কুলে যায়। স্কুল ছুটি হওয়ার পরও মেয়ে বাড়িতে ফেরত না আসায় স্কুল শিক্ষকসহ তার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদে আমার মেয়ের স্কুল শিক্ষকসহ সহপাঠীরা জানান, আমার মেয়ে স্কুলে যায়নি। আমি ও আমার স্বামী মেয়েকে আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু আমার মেয়ের কোনো সন্ধান পাইনি। বর্তমানেও খোঁজাখুঁজি অব্যাহত আছে। মেয়েকে না পেয়ে আইনি সহায়তা পেয়ে ও ভবিষ্যতের জন্য অত্র থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।
নিখোঁজের বর্ণনা : উচ্চতা অনুমান ৫ ফুট ১ ইঞ্চি, মুখমণ্ডল গোলাকার, গায়ের রং ফর্সা, পরনে ছিল নেভি ব্লু স্কুল ড্রেস ও সাদা পায়জামা, চুলের রং কালো। সে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও চলিত কথা বলে। শারীরিক গঠন চিকন।
এই বিষয়ে হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ণিমা শীলের মা লাকী রানী শীল মেয়েকে খুঁজতে স্কুলে আসেন। গত দুদিন যাবৎ মেয়েটি স্কুলে আসেনি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর মা লাকী রানী শীল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। আমরা মেয়েটিকে খুঁজছি।
এমএসএম / জামান