বেজার অধিগ্রহণকৃত জমিতে অবৈধ দীঘি খনন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পাঞ্চলের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) অফিসের অর্ধকিলোমিটার উত্তরে নতুন আনসার ক্যাম্পসংলগ্ন চরনিলক্ষী এলাকায় বেজার অধিগ্রহনকৃত অঞ্চলের একরের পর একর কেওড়া বাগান ও ফসলি জমি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে দীঘি খননের অভিযোগ উঠেছে এক শ্রেণির প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এসব দীঘি খননের ফলে বনের কেওড়া বাগান উজাড় হয়ে যাচ্ছে। ফলে সংরক্ষিত বন পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার আশংকা তৈরির পাশাপাশি মারাত্মক হুমকিতে পড়েছে ওই এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য।
সরজমিন দেখা যায়, বিশাল এই জায়গা চর নিলক্ষী মৌজার উপর অবস্থিত। যা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল এর জন্য অধিগ্রহন করা হলেও সেটি এখনো অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এখানে ফসলি জমিসহ কেওড়া বাগান কেটে দীর্ঘ সময় ধরে এক শ্রেণির প্রভাবশালীরা রাতের আঁধারে এই দীঘি খনন করে আসছে। তারা আরো জানান, চর নিলক্ষী সোনালী সমবায় কৃষি খামার সমিতি লি.-এর সদস্যদের মাঝে সরকার ৫৫৬ একর জায়গা বন্দোবস্ত দেয় ১৯৭৬ সালের ২৪ জানুয়ারি। উক্ত জায়গার অন্তর্ভুক্তির মধ্যে ৪৫ একর সম্পত্তি জবরদখল করে দীঘি খনন চলছে।
সমিতির সদস্য কামাল উদ্দিন ও সানা উল্ল্যাহ জানান, দীর্ঘদিন আগে থেকে এখানে বন ধ্বংস করে মৎস্য প্রকল্প করা হয়েছে। স্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে বনের গাছপালা উপড়ে ফেলে খালি করা হচ্ছে। তারপর সময়-সুযোগ বুঝে নিশ্চিত করা হচ্ছে দখল।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল জানান, দীর্ঘদিন এ জায়গাগুলো আমরা ভোগ দখলে ছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের অগ্রযাত্রার জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চল করার উদ্দ্যেশে আমাদের এই জায়গা গুলো অধিগ্রহণ করে। তা আমরা সাদরে গ্রহণ করি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হল এই যে জায়গা আমরা বেজা কর্তৃপক্ষকে ছেড়ে দিলাম সে জায়গায় এখন বেজা ও আনসার ক্যাম্পের সদস্যদের ম্যানেজ করে কিছু প্রভাবশালী চক্র জবরদখল করে মাছ চাষের আওতায় আনছে। নইলে তো প্রশাসন ও বেজা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিরব থাকতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনিক উদ্যোগের জন্য আমরা থানায়ও চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আলী হায়দার টিপু, গোফরান, আব্দুর রহিমসহ বেশ কয়েকজনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেও থামাতে পারিনি তাদের দৌরাত্ম্য।
এদিকে স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গত ফেব্রুয়ারিতে মাসিক সমন্বয় সভায় মিটিংয়ে তিনি বেজা কর্তৃপক্ষকে বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে আমরা জমি ছেড়ে দিয়েছি। সে জায়গায় এখন শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠবে। কোনো দুষ্কৃতকারী যেন মাছ চাষ কিংবা অবৈধ জবরদখল না করে সে ব্যাপারে তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলী হায়দার টিপু কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি নোন দীঘি খনন করছি না। ওখানে আমার কোনো দীঘি নেই। এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। কে বা কারা কাটছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা গফুর মোল্লা দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধিকে বলেন, যেখানে মৎস্য প্রকল্প করা হচ্ছে, এটি এখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল করার জন্য বেজা কর্তৃপক্ষকে দিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বেজা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারে।
মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ ফারুক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, অধিগ্রহনকৃত জমিতে কেউ কোন প্রকার দীঘি খনন করতে পারবে না। যে বা যারা দীঘি খনন করেছে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ হয়েছে। অচিরেই আমরা দখলমুক্ত করব এবং ভেঙে দেব। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান

পাবনায় ট্রাকের চাপায় এক গৃহবধুর মৃত্যু

রাঙামাটিতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

লাকসামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রেসমিট

সন্দ্বীপ পৌরসভায় ব্র্যাকের ক্লিনিং ক্যাম্পেইন ২০২৫ অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় স্বর্নের বারসহ এক নারী আটক

হাতিয়ায় দেওয়ানি ও ফৌজদারী আদালত ভবন নির্মাণের দাবি

রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু

নবীনগরে নদীতে গোসলে নেমে কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু

টেলিগ্রামে প্রেমের ফাঁদ, মাদরাসা ছাত্রীকে নিয়ে যৌনপল্লিতে বিক্রি, মূল হোতা গ্রেফতাে

সিংগাইরে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারী গ্রেফতার

শ্রীপুর পৌরসভার ১০৮ কোটি ৩৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩৪৮ টাকার বাজেট ঘোষণা

বালিয়াকান্দিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

ক্ষেতলালে সফল উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান
Link Copied