ধামরাইয়ে 'দখলবাজ' শিক্ষকের মামলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

ঢাকার ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের বৈষ্টবদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবুল হোসেন। পেশায় একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। সবশেষে ধামরাইয়ের বান্নল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। বর্তমানে বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে ৩বছর ধরে সাসপেন্ড হয়ে আছেন। তবে এলাকায় এখন পরিচিতি দখলবাজ হিসেবে। প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করেছিলেন সরকারি সড়কও। সাধারণ মানুষের চলাচলের স্বার্থে আবেদনের প্রেক্ষিতে সড়কটি দখলমুক্ত করেন আদালত। তবে আদালতের সড়ক ভাঙ্গার ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। তার দায়ের করা মামলায় অতিষ্ঠ এলাকার অনেকেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৈষ্টবদিয়া মৌজার আর এস দাগ নং ১৮৭ জমিতে এলাকাবাসীর চলাচলের স্বার্থে ১৮ ফুট দীর্ঘ একটি সরকারি সড়কের সঙ্গে নিজের কিছু জমিও ছেড়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মাসুদুর রহমান লেলিন। সেই সড়ক দিয়ে চলাচল করতো এলাকার কয়েকশো মানুষ। তবে গত ১৮ বছর আগে প্রাচীর বানিয়ে সড়কটি দখল করেন ওই শিক্ষক। বিষয়টি জানতে পেরে সেই দখল উচ্ছেদে প্রশাসনের কাছে গত ২১ ডিসেম্বর (২০২১) আবেদন করেন ওই প্রবাসী ব্যক্তি। আবেদন তদন্তে দখলের সত্যতা পেয়ে গত ১১ জানুয়ারি (২০২২) সড়ক দখলমুক্ত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই দখলমুক্তের ঘটনাকে 'জোরপূর্বক এলাকাবাসীর ভাংচুর' দাবি করে প্রবাসী ব্যক্তিসহ ১৫ জন এলাকাবাসীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন সেই শিক্ষক। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
আবুল হোসেনের দায়ের করা মামলার নথিপত্রে দেখা যায়, 'জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ওই প্রাচীর ভাঙ্গার অভিযোগ করেছেন তিনি। এতে বলা হয়, 'ওই ১৫ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রসহ এসে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও মারধর করে।'
তবে সরেজমিনে তার বাড়িতে গিয়ে কোন ভাংচুর বা হামলার চিত্রের দেখা মেলেনি। এমনকি মারধরের ঘটনায় চিকিৎসা নিয়েছেন এমন কোন খোঁজও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কথা হয় এলাকাবাসীর সঙ্গে। স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম নবী বলেন, ওই রাস্তা দিয়েই এলাকার বহু মানুষ যাতায়াত করতো। তবে আবুল হোসেন ওই সড়ক দখল করে রেখেছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সড়ক দখলমুক্ত করেছেন। এরপর শুনি সড়ক নাকি আমরা ভেঙ্গেছি! আমাদের নামে মামলা করেছে। আমরা এখন হয়রানির মধ্যে পরে গেছি।
মামলায় হয়রানির শিকার মাসুদুর রহমান বলেন, সরকারি রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করায় ভূমি অফিসে আমি একটা লিখিত অভিযোগ করি। পরে ম্যাজিস্ট্রেট এসে দেয়াল ভেঙে দেয়। কিন্তু আবুল হোসেন আমাদের নামে একটি মিথ্যা মামলা দেন। আবুল বলে আমরা নাকি অবৈধভাবে জোর করে দেয়াল ভাঙছি, ওর ঘরে ভাঙচুর করছি। মিথ্যা বানোয়াট একটা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক আবুল হোসেনের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি গণমাধ্যমের পরিচয় পেয়ে ফোন রেখে দেন। এমনকি মেসেজেরও কোন জবাব দেননি।
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, সরকারি রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করার একটি লিখিত অভিযোগ পাই। পরে তদন্ত করে জানতে পারি রাস্তাটি সরকারি। এজন্য মানুষ চলাচলের জন্য রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। তবে মামলার বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।
এমএসএম / এমএসএম

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ

নেছারাবাদে স্থানীয় চার যুবকের সাহসে টাওয়ার থেকে উদ্ধার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক

তারাগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু, খামারীর লিখিত অভিযোগ

টাঙ্গাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির মূলহোতা'সহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় ভন্ড রাজার বাগের আস্তানা বন্ধের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল

চট্টগ্রামে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চুরি মামলা, উদ্ধারকৃত দুই সিএনজি গায়েব!

কোটালীপাড়ায় শ্রেণিকক্ষে দুর্গন্ধে ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি-৮

টাঙ্গাইলে দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

মধুখালী বাজার ব্যবসায়ী পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু
Link Copied