চন্দনাইশে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টান
চট্টগ্রাম চন্দনাইশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে শোভাযাত্রা র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। আজ সকাল ১১ টায় পৌরসভাস্থ উপজেলা সামনে হতে চন্দনাইশ সদর প্রদক্ষিণ করে কাশেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলিত হয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আকতার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী,পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা,সহকারী কমিশনার ভূমি গালিব চৌধুরী, থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আনোয়ার হোসেন,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রতন কুমার সাহা,মৎস্য অফিসার কবির আহমদ,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা গীতা চৌধুরীসহ চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় অতিথিরা বলেন, আজ ১লা পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪২৯। করোনার মহামারির কারণে আমরা দীর্ঘ ২বছর বাংলা বর্ষকে বরণ করতে পারি নাই। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। ১লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, ১লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ।
এমএসএম / এমএসএম