চন্দনাইশে ঈদের আমেজ নেই দর্জি ও কাপড়ের দোকানে
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শপিংমলগুলোর সঙ্গে সমানতালে ক্রেতার ভিড় থাকত চন্দনাইশ উপজেলায় দর্জির দোকানগুলোতে। তবে সে ভিড় গত দুই বছর ধরে করোনার কারণে ভাটা পড়েছে দর্জির দোকানগুলোতে। ক্ষতি সাধিত হয়েছে অনেক দর্জি দোকানির। এমনকি এই পেশার কাজ কমে যাওয়ায় অনেকে ছেড়ে দিয়েছে দর্জির কাজ। জড়িত হয়েছে অন্য কোনো পেশায়।
সব সম্যসা মোকাবেলা করে দর্জি দোকানিদের আশা ছিল এবার পুরোদমে কাজ পাওয়ার। গত দুই বছরের যে ক্ষতি হয়েছিল তা এবছর কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেয়ার আশা ছিল তাদের। কিন্তু এবার ঈদের আগেও দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। রমজানের ১৩-১৪ দিন অতিবাহিত হলেও দুয়েকটি দোকান ছাড়া প্রায় বেশিরভাগ দোকানি ক্রেতা ছাড়া অলস সময় পার করছেন। ভিড় নেই দর্জির দোকানগুলোতেও।
বর্তমানে চন্দনাইশে করোনা সংক্রমণ কমে এলেও দর্জির দোকানগুলোতে এখনো লাগেনি ঈদের আমেজ। দর্জির দোকানে নেই কোনো কাপড় সেলাইয়ের কাজ। কোনোমতে ঢিলেঢালাভাবে দিন অতিবাহিত করছেন দর্জিরা।
আজ শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার গাছবাড়িয়া খাঁনহাট শপিংমল, দোহাজারী, চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ থানা বাজারের শপিংমল, বৈলতলি এলাকার দর্জি দোকানগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ছোট ছোট দর্জির দোকানসহ বড় বড় টেইলার্সেও একই চিত্র। কাজের তেমন ভিড় নেই এসব দোকানে।
গাছবাড়িয়া খাঁনহাট এলাকার দর্জির দোকানিরা জানান, দিন যতই যাচ্ছে ঈদুল ফিতর এর দিন সামনে ঘনিয়ে আসছে। তবে ঈদে গ্রাহকের তেমন কোনো চাপ নেই। অন্যান্য বছরে এমন সময়ে কাজের চাপে কথা বলার সুযোগ থাকত না ক্রেতাদের সাথে। তবে এবছরেও গত ২ বছরের মতো। নেই কোনো কাজের চাপ। রোজার আগে গ্রাহকের কিছুটা চাপ থাকলেও রোজা শুরু হওয়ার পর পর তা একেবারেই কমে গেছে।
সৌদিয়া ড্রেস গার্ডেনের প্রোপ্রাইটর স্বপন চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে একেবারেই চাপ কম। ক্রেতা কম আসছেন। অথচ করোনা মহামারীর আগে আমরা যেখানে রোজার এই সময়ে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিতাম, সেখানে এখনও অর্ডারের জন্য আমরা দোকানে বসে থাকি। মহামারীর আগে সব সময় অনেক চাপ থাকত কাজের। কিন্তু এখন চাপ একেবারে নেই। এখনো আমরা অর্ডার নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন ,শবেবরাতের পর পর ক্রেতা সমাগম কিছুটা ভালো ছিল। তবে রমজানে এসে তা কমে গেছে। হয়তো রেডিমেড পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি অনেকগুলো দর্জির দোকান হওয়ায় ক্রেতা কমে যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
অঙ্গশ্রী টেইলার্সের প্রোপ্রাইটর জানান, যতটা ক্রেতা আমরা আশা করেছিলাম, তার অর্ধেকও পাচ্ছি না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক সংকট একটি কারণ হতে পারে। এছাড়া মানুষের পছন্দে ভিন্নতাও আসতে পারে। তবে করোনায় বড় দুরবস্থা গেলেও তা এখন কমে এসেছে। এরপরও আগের মতো ব্যবসা ফেরেনি।
উপজেলার বেশিরভাগ দোকানি জানান, এবার ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রোজার বাকি সময়ে গ্রাহকের চাপ বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
এমএসএম / জামান