নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ : ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার বিকেল পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কারা দায়ী, সে বিষয়ে জানতে কমপক্ষে ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ডিএমপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়াদের বেশিরভাগই দোকান কর্মচারী ও ফুটপাথের হকার। এছাড়া ঢাকা কলেজের বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অনানুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বিনা উস্কানিতে কেউ সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে কি-না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
সূত্র আরো জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ বেশ কয়েকজন সহিংস হকারকে চিহ্নিত করেছে। একাধিক ফুটেজে ঘুরেফিরে তাদের চেহারা দেখা গেছে। সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ ও পথচারীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে তারা।
নিউমার্কেট থানা ছাড়াও ডিএমপির নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিট, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও সাইবার টিম ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে কেউ পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে কিনা, তা শনাক্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, ঘটনাটি আমরা তদন্ত করছি। এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আজই মামলা হবে। মামলায় ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউমার্কেট থানা সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় একটি মামলা লেখা হচ্ছে। মামলায় ডেলিভারিম্যান নাহিদকে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলা, রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ মামলা দেয়ার কাজ শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও।
মঙ্গলবার সকালে আবারো সংঘর্ষে জড়ান শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে তারা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। ছাত্রদের অনেকে হেলমেট পরে এবং লাঠি হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। ব্যবসায়ী-কর্মচারীরাও লাঠিসোঁটা ও লোহার রড নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো শুরু করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে গোটা নিউ মার্কেট ও সায়েন্সল্যাব এলাকায়। থেমে থেমে সারাদিন চলে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন। দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেন মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে।
সংঘর্ষের খবর সংগ্রহে গিয়ে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত ৯ জন সাংবাদিক।
শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ীদের এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে দুপুর ১২টার দিকে। ফলে বাধাহীনভাবে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া আগের রাতের সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কোনো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সেখানে দেখা যায়নি।
জামান / জামান
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার