নিরাপদ ইফতার বিষয়ক পরিদর্শন ও জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি
নিরাপদ ইফতার নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) উদ্যোগে চলতি মাসের ১৬ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক উদ্ধুদ্ধকরণ সপ্তাহ আয়োজন করা হয়। সপ্তাহের ৫ম দিনে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার সাতমসজিদ রোডে নিরাপদ ইফতার বিষয়ক পরিদর্শন ও জনসচেতনতামূলক মনিটরিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজিত কর্মসূচিতে যোগদান করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ; বিএফএসএ-এর সদস্য (খাদ্যভোগ ও ভোক্তা অধিকার) মো: রেজাউল করিম; (খাদ্য শিল্প ও উৎপাদন) প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীম; বিএফএসএ-এর সচিব আব্দুন নাসের খান প্রমুখ।
কর্মসূচির আওতায়, সাতমসজিদ রোডের ইফতার প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের মাঝে হাইজিন পণ্য, লিফলেট, পাম্পলেট, ক্যাপ, গ্লাভসের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়। একইসাথে ভোক্তাদের নিরাপদ ইতফার ক্রয়ের সময় সতর্ক ও সচেতন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাজধানীর উত্তরা, বেইলী-রোড, চকবাজার, টাউন হল, ধানমন্ডি-সাত মসজিদ রোড, খিলগাঁও-তালতলা ইত্যাদি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
কর্মসূচী উপলক্ষ্যে, চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, “রমজান মাসে সকলের মাঝে ভাজা-পোড়া, বিশেষ করে বাইরের খাবার খাওয়ার বাড়তি প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে, সারাদিন রোজা রাখার পর এসব খাবার স্বাস্থ্যের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে অনেকেই চিন্তা করেন না। সেক্ষেত্রে খাবার প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে, যার মধ্যে খাদ্যের সঠিক সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অন্যতম। এসব বিষয়ে ব্যবসায়ি ও ভোক্তাদের সচেতন করাই এই কর্মসূচীর প্রধান উদ্দেশ্য।”
বিএফএসএ-এর সদস্য মো: রেজাউল করিম বলেন, “কোন ভোক্তা যেন অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না পড়েন তা নিশ্চিতে এবং উৎপাদক, প্রস্তুতকারক ও বিক্রেতাদের সচেতন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
বিএফএসএ-এর সদস্য প্রফেসর ড. মো: আব্দুল আলীম বলেন, “সকল উৎপাদক ও প্রস্তুতকারকদের প্রতি আমার আহ্বান, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন করে ভোক্তাদের নিকট পৌঁছে দিতে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
বিএফএসএ-এর সচিব আব্দুন নাসের খান বলেন, “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমরা নিয়মিত মনিটরিং পরিচালনা এবং কোথাও অনিয়ম হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এই কর্মসূচীতে চিত্রনায়ক ফেরদৌসকে পাশে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। তার উপস্থিতি জনগণকে নিরাপদ খাদ্যগ্রহণে আরও সচেতন করবে বলে আমরা আশাবাদী।”
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’র উপর ভিত্তি করে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারী খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তাঁরা ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো; মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, মনিটরিং, রোড শো, ল্যাব-ক্যারাভান রোড শো, গ্রেডিং প্রদান, সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান, সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার অংশগ্রহণে সেমিনার ও ওয়ার্কশপ, গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিয়, হাত ধোয়া কর্মসূচি, বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, লিফলেট ও পোস্টার বিতরণ ইত্যাদি। এছাড়াও, বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির যথাযথ অনুশীলনের মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন, আমদানী, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন, বিক্রয় প্রক্রিয়া ইত্যাদি নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার