মধুখালী হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য চরমে
ফরিদপুরের মধুখালীতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসংলগ্নে ৫১ শয্যাবিশিষ্ট একটি আধুনিক হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতাল গেটে ঢুকতেই দেখা যায় বেশ কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা গেটের সাথেই দাঁড়িয়ে থাকে। এদের দেখে অনেকে হয়তো নিষিদ্ধ পল্লীর পতিতা মনে করতে পারেন কিন্তু এরা সবাই মূলত কয়েকটি প্যাথলজি ও ক্লিনিকের নিয়োগকৃত দালাল।
এদের দায়িত্ব থাকে প্রথমেই রোগী গেটে প্রবেশ করলেই তাদের ফলো করা। তারপর রোগীর সাথে কথা বলে বিশেষ কোনো ডাক্তারের গুণগান গেয়ে ওই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া। যেহেতু এত কষ্ট করে দালালটি রোগীকে চেম্বারে নিয়ে এসেছে, তাই ডাক্তার খুশি হয়ে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে পাঠান। দালাল রোগী নিয়ে চলে যায় নিজেদের প্যাথলজি বা ক্লিনিকে। সেখানে ইচ্ছামতো টাকা নিয়ে মেডিকেল টেস্ট করিয়ে দেয়া হয়। সর্বশেষ রোগীকে সাথে নিয়ে নির্দিষ্ট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে দিয়ে সেখান থেকেও কমিশন আদায় করে।
এসব দালালকে অনেক সময় দেখা যায় রোগী কাড়াকাড়ি করা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ করতে। হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও নিষেধ অমান্য করে জরুরি বিভাগ, সিজার বিভাগ, রোগীদের রুম, এক্স-রে ও প্যাথলজি রুমসহ সব জায়গায়ই এদের আনাগোনা চোখে পড়ে নিয়মিত। দালালদের খপ্পরে পড়ে রোগীরা সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
প্যাথলজি ও ক্লিনিক মালিকদের প্রভাবে অনেক ডাক্তার অনিয়ম করতে বাধ্য হচ্ছেন। সচেতন নাগরিকদের অনেকেই মনে করেন, কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ভূমিকা পালন করে এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া প্যাথলজি ও ক্লিনিক মালিকদের উচিত দালালমুক্ত করে রোগীদের সঠিক সেবা প্রদান করা। তবেই রোগীরা দূরে না গিয়ে স্থানীয়ভাবে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবে। ফলে সবাই লাভবান হবে।
এমএসএম / জামান