ঢাকা শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫

চায়না জাল ধ্বংস করছে দেশীয় প্রজাতির সকল মাছের প্রজনন


মৃনাল কান্তি দেব, খালিয়াজুরী photo মৃনাল কান্তি দেব, খালিয়াজুরী
প্রকাশিত: ৯-৫-২০২২ দুপুর ২:৪
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী হাওরে মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে খ্যাত সেই সব দেশীয় মাছ কিছু অসাধু, দুষ্কৃতকারী মাছ শিকারির খপ্পরে পড়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন একবারে বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছে চায়না জাল ব্যবহারকারী অতিলোভী মাছ শিকারিরা।  এসব চায়না জালের ফলে ছোট, বড় এমনকি মাছের পোনা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। 
 
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে হাওরের মাছের প্রজননের একমাত্র সময়। শোল, টাকি, গজার মাছ হাওরের বিল-ডোবায় ডিম ছাড়ে। ওই ডিম রোদের তাপে ডিম ফুটে মাছের রেনু তৈরি হয়। ওই রেনু ধীরে ধীরে বড় হয় পোনা থেকে মাছে রূপান্তর হয়। এই সময় মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রশাসন যদি একটু সক্রিয় হয় তাহলেই পোনাগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু এই সর্বনাশা চায়না জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরে মাছের অস্তিত্ব বিলীন করে ছাড়ছে- এমনটিই জানালেন হাওর এলাকার জেলেরা। 
 
স্থানীয় জেলেরা বলেন, মানুষের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধি ও এই চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা নিরুৎসাহিতত করতে পারলেই মাছের প্রজনন রক্ষা করা সম্ভব। বাজারেও দেদার বিক্রি হচ্ছে শোল, টাকি ও গজারের পোনা। মাছের পোনা খেতে সুস্বাদু বলে সকলেরই এই পোনা মাছের প্রতি ক্রয় করার আকর্ষণ বেশি। 
 
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তার সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই সম্ভব মা মাছ ধরা থেকে তাদের নিরুৎসাহিত করা। কেননা, মা মাছ এসব চায়না জাল দিয়ে নিধন করলে দেশে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলীন হয়ে যাবে। 
 
এক মৎস্য আহরণকারী মো. সাহেদ মিয়া জানান, চায়না জালে এমন কোনো মাছ নেই ধরা পড়ে না। ছোট থেকে বড় সকল প্রকার মাছ এতে ধরা পড়ে। মাছের পোনা থেকে শুরু করে রক্ষা পায় না যে কোনো ধরনের মা মাছ। 
 
মো. রাজু মিয়ার সাথে কথা বলে জানা যায়, চায়না জালে ধরা পড়া মাছ বেশিক্ষণ জীবিত থাকে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছে পচন দেখা দেয়। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় মাছ গায়ে নরম হওয়ায় তাড়াতাড়ি পচন ধরে নষ্ট হয়ে এই মাছ। ফলে আড়তদাররা এই মাছ কিনতে আগ্রহ হারায়। ফলে পচনশীল মাছ নদীতে ফেলে দেয়া হয়।  লাখ লাখ মা মাছ পচে নদীতে ভাসতে দেখা যায়। ব্যাপক হারে মা মাছ নষ্ট হওয়ায় মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। 
 
এ বিষয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার অফিসে যোগাযেগ করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম আরিফুল ইসলাম সরকারি কাজে দেশের বাইরে থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
 
চায়না জালের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে জানতে চাইলে মো. তানভীর আহম্মদ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, চায়না চাইগুলো কারেন্টের জালের চেয়েও ভঙ্ককর। ওই চাঁইয়ে সাপ, ব্যাঙ, পোনা মাছসহ কোনোকিছুই রেহাই পায় না। তবে আমি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে খালিয়াজুরীতে আছি। যত দ্রুত সম্ভব আমি খালিয়াজুরীতে এসে ইউএনও স্যার, এসিল্যান্ড স্যারকে নিয়ে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনার ব্যবস্থা করব।
 
বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস হাওর এলাকায় দেশীয় মাছের প্রজননের সময়। এ সময়েই মাছের প্রজনন রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চায়না জালের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার- এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাওরের জনগণ। 

এমএসএম / জামান

৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে

গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার

চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট বাচ্চুকে শুভেচ্ছা জানালেন জিয়া মঞ্চ সিরাজগঞ্জ সদর থানার নেতৃবৃন্দ

শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: জরিমানা আদায় ও ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

কোটালীপাড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ, তদন্তে এসে তোপের মুখে শিক্ষা কর্মকর্তারা

দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফায় কৃষকের উন্নয়ন স্পষ্ট—হাজী ইয়াছিন

মধুখালীতে ভোটকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে, শালিখা'র বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ

বান্দরবানে অবৈধ কাঠ ডিপো ও চেরাই মিলে সেনাবাহিনীর অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ কাঠ জব্দ.

বারহাট্টার সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি প্রার্থী ডাঃ আনোয়ারুল হকের মতবিনিময়

টাঙ্গাইলে হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন

কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

কাপ্তাইয়ে বিজিবির অভিযানে ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ ভারতীয় সিগারেট আটক