বোদায় খেয়াঘাটের ইজারা ছাড়াই টোল আদায়, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ৪নং কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের করতোয়া নদী পারাপারে কালিয়াগঞ্জ ও বারুনি স্নান খেয়াঘাটে ইজারা ছাড়াই টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবু, আওয়ামী লীগ সদস্য দেলয়ার হোসেন, রেজা, মনতাজ ও বারুনী স্নান মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এতে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিনের প্রভাবেই তারা অবৈধভাবে ওই খেয়াঘাট চালাচ্ছেন। পারাপারে অতিরিক্ত অর্থও নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারা। তবে এক মাস হয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। তাদের দাবী ঘাটটির মালিকানা জেলা পরিষদ নিলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে লাখ লাখ টাকা।
বর্তমান খেয়াঘাট দুটির টোল আদায় কারিদের কাছে জানা যায় কালিয়াগঞ্জ বাজার খেয়া ঘাটে পুর্বে চার জনে টোল আদায় করতো এবার চেয়ারম্যান আরও দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করায়, তাদের মাঝে দন্দ শুরু হয়, এজন্যই খেয়া ঘাটটি ইজারা দিতে পারেনি। তবে সমঝোতায় কালিয়াগঞ্জ বাজার ঘাটের মুল্য ৪লাখ টাকা নির্ধারণ করে ৬ জনের কাছে চেয়ারম্যান ৩ লাখ টা নিয়ে নেয়। বাকি এক সপ্তাহ পরে ১ লাখ টাকা চেয়ারম্যান কে দিতে হবে।
একই অবস্থায় রয়েছে বারুনী স্নান ঘাটের সেখানে ও মন্দির কমিটি খেয়া ঘাটটি দখলে নিয়ে টোল আদায় করতে থাকে সেটাও সমঝোতায় ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ হয়ে ২লাখ টাকা চেয়ারম্যান নিয়ে নেয় বাকি ১লাখ টাকা পরে চেয়ারম্যান কে দিতে হবে বলে জানায়
জানা যায়, পঞ্চগড় জেলায় খেয়াঘাট গুলো প্রতিবছর জেলা পরিষদ থেকে ইজারা দেয়া হয়।তবে বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ও বারুনি স্নান ঘাট দুটি অজ্ঞাত কারনে বাদ দেওয়া হয়। এদুটি ঘাট ইজারা দেয় ইউনিয়ন পরিষদ। প্রতি বছর ৬-৭ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয় এ ঘাটে। ইজারা দেয়া হয় বৈশাখ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত। কিন্তু এবছর বৈশাখ মাসের শেষেও ইজারা দেয়ার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন। তবে ঘাটের টোল আদায়কারীরা জানিয়েছেন, ঘাট ইজারার জন্য চেয়ারম্যানকে টাকা দেয়া হয়েছে। করতোয়া নদীর ওই খেয়াঘাট দিয়ে ২-৩ ইউনিয়নের বাসিন্দা ছাড়াও জেলার কিছু অংশের মানুষ ব্যবহার করেন।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খেয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদ ইজারা দিতে পারবে। এর বেশি হলে জেলা পরিষদের কাছে মালিকানা হস্তান্তর করতে হবে। যদিও ৬-৭ লাখ টাকা প্রতি বছর রাজস্ব আদায় করে ইউনিয়ন পরিষদ।তারপরেও জেলা পরিষদে হস্তান্তর না করে, নিয়ম বহির্ভূত দখল করে আছে।
ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন এই খেয়াঘাট পার হয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াতে ২০ টাকা টোল দিতে হয়। মোটরসাইকেল পার করতে লাগে ৪০ টাকা। এই খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন ৫/৭ শতাধিক মানুষ পারাপার হন।
ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক সালাউদ্দিন বাবু জানান, খেয়াঘাটের ইজারাদার দেলয়ার হোসেন। তবে চারজন শেয়ারে পরিচালনা করছি। এবছরের জন্য চেয়ারম্যানকে টাকাও দিয়েছি।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন বলেন, ঝামেলা ছিল, ইজারা এখনো দেয়া হয়নি। কিছু টাকা দিয়েছে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সমাধান হবে।
পঞ্চগড় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত) মো. আজাদ জাহানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে থাকায় কথা বলতে পারেননি।
এমএসএম / জামান

মধুখালী বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ সম্পন্ন

নড়াইলের লোহাগড়ায় শ্রমিক অধিকার পরিষদের পরিচিতি সভা

চৌগাছায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক ব্যক্তির আত্মহত্যা

নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ সাইবারস্পেস নিশ্চিত করতে কর্মশালা

বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটির নির্বাচনে সভাপতি সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক মিলন

নাঙ্গলকোটে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসানের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ

পাবিপ্রবিতে ‘ইনটেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস’ শীর্ষক কর্মশালা

বেনাপোল চেকপোষ্টে কুলি শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

নেত্রকোনায় জেলা প্রশাসক ও পৌর প্রশাসকের উদ্যোগে ধলাই নদী পরিষ্কার পরিছন্নতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

সিনেমা হলের শেষ গল্প: তাজ সিনেমা হল থেকে স্মৃতি হারাচ্ছে দর্শক

হাটহাজারীতে শারদীয় দূর্গা পূজার ১১৮টি মন্ডপে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি

মাদারীপুরে মানব কল্যাণ সংগঠনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
Link Copied