ঢাকা শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উইজডম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রকে অধ্যক্ষের বেত্রাঘাত


প্রবীর চৌধূরী রিপন photo প্রবীর চৌধূরী রিপন
প্রকাশিত: ২০-৫-২০২২ দুপুর ২:৫৮
ছাত্রাবাসে নির্যাতনের ঘটনা মায়ের কাছে বলায় ছাত্রকে মেঝেতে ফেলে বেত্রাঘাত করেছেন অধ্যক্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ছাত্রাবাসে নির্যাতনের এমন ঘটনার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে ভুক্তভোগী ছাত্রের মা সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্র নবম শেণির ছাত্র। সে কসবা উপজেলার দুবাই প্রবাসীর ছেলে।
 
নির্যাতনের শিকার ছাত্রের মার লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ওই ছাত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করে আসছে। ছাত্রাবাসের নবম শ্রেণির অন্য তিন ছাত্র মেয়েসুলভ আচরণ করে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সে। গত ১৬ মে ওই ছাত্রের মা বিদ্যালয়ে ছেলের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় ছেলের চেহারা ও নাক-মুখ ফোলা দেখে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। ছেলে নির্যাতন ও উত্ত্যক্তের ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে। ওই রাতেই তার মা ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েমের স্ত্রীর নাজমা আক্তারকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানান।
 
গত বুধবার সকালে ছেলেকে বিদ্যালয়ে দিয়ে শহরে যান ছেলেটির মা। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম নির্যাতনের শিকার ও অভিযুক্ত ছাত্রদের নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে নির্যাতনকারী তিন শিক্ষার্থীকে তিনি দুটি করে বেত্রাঘাত করেন এবং নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে বুকে ধাক্কা দিয়ে মেঝেতে ফেলে দিয়ে বেত্রাঘাত করেন। বিকেলে বিদ্যালয়ে গেলে মাকে ঘটনা খুলে বলে ওই ছাত্র। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান।
 
ভুক্তভোগী ছাত্রের মা বলেন, হোস্টেলে আমার ছেলেকে অন্য তিন ছাত্র বেশ কয়েক দিন ধরে নির্যাতন করে আসছিল। তার সঙ্গে মেয়েসুলভ আচরণ করে। বিষয়টি বাড়িতে এসে ছেলে আমাকে বলে। নির্যাতনের বিষয়টি আমার কাছে বলায় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়েছে। ছেলের বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল কালো হয়ে আছে।
 
তিনি আরো বলেন, পুলিশকে জানানোয় হোস্টেল সুপার আমার সঙ্গে খুবই অশোভন ও খারাপ আচরণ করেছেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, যা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। ছেলে তার সমস্যার কথা মাকে বলবে না তো কাকে বলবে?
 
এ বিষয়ে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক নাজমা আক্তার বলেন, আমি তো বকাবকি জানিই না। করব কিভাবে? ওই শিক্ষার্থীর মা বিষয়টিতে আমাকে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি অপেক্ষা করেননি। আর আমরা একটা বাচ্চাকে তো আর বের করে দিতে পারি না।
 
নির্যাতনের শিকার ছাত্রকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই শিক্ষার্থী আমাদের না জানিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানিয়েছে। তাই অধ্যক্ষ তাকে একটু বেত দিয়ে বাড়ি দিয়েছে।
 
উইজডম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম বলেন, তিন শিক্ষার্থীকে ডেকে শাসন করেছি। আমাদের না জানিয়ে ঘটনার বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী আগে তার অভিভাবককে জানিয়েছে। তাই তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাকেও হালকা একটু শাসন করেছি।’
 
অধ্যক্ষ আরো বলেন, ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ে ডিবি পুলিশ নিয়ে আসে। আমরা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি।
 
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, এক শিক্ষার্থীর মা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি।

এমএসএম / জামান

শান্তিগঞ্জে সবার জন্য প্রত্যাশা সামাজিক সংগঠনের কমিটি গঠন ও ত্রাণ বিতরণ

দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা

দুর্গাপুরের দুর্জয়, পেলেন জাতীয় পর্যায়ে স্বর্নপদক

তারাগঞ্জে সরকারি ওষুধ পচারের সময় ফার্মাসিস্টসহ আটক -২

দাবি আদায় না হলে শিক্ষকরা ঘরে ফিরবে না

এইচএসসি পরীক্ষায় একই বাড়ির ৩ শিক্ষার্থীর সাফল্য

নন্দীগ্রামে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা

বেনাপোল ঘুষের টাকাসহ আটক রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা বরখাস্ত

নাচোলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় জোড়া মৃত্যু লাশ এসেছে এলাকায় শোকের ছায়া

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর জনসভা অনুষ্ঠিত

গলাচিপায় জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা

শ্যামনগরে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজনে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নওগাঁয় বৃক্ষরোপণ