ভূঞাপুরে আ.লীগ কর্মীদের কুপিয়ে জখম ও হাতুড়িপেটার অভিযোগ

বালুঘাট দখলে নেওয়ার চেষ্টা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম, হাতুড়িপেটা ও বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে চাপাতির কোপে একজন গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে ভূঞাপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।

রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের নিকরাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ মারধরের ঘটনায় পুরো নিকরাইল ইউনিয়নজুড়ে সাধারণ লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ও এলাকায় থমথম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। হামলার ঘটনার পরপরই পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

আহতরা হলেন- উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া গ্রামের জলিল আকন্দের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫) ও মৃত নায়েব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম শহীদ (২৯)। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের কর্মী ও পান ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে ভূঞাপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। অন্যান্য আহত কর্মীরা স্থানীয় ফার্মেসী থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

আহত ইসমাইল বলেন, দোকানপাট বন্ধ করে নিকরাইল বাজারে সন্ধ্যায় খুচরা পান দোকানিদের থেকে টাকা তুলে নিজ দোকানে বসছি। তখনি মাসুদ, নুহু ও জুরান মন্ডলের লোক নাজিম, রুজবেল, আতিক, আকবর প্রামাণিক ও সুমন শেখ অতর্কিতভাবে হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালায় এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, ইসমাইল হোসেন বাজারে পান-সুুপারির পাইকরি ব্যবসা করে শেষে বাজারে দোকানে দোকানে টাকা কালেকশন করছিল। পরে সে তার দোকানে বসা মাত্রই বেশ কয়েকজন হাতুড়, চাপাতি, কুড়াল নিয়ে অতর্কিতাবে হামলা চালায়। এতে চাপাতির কোপে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়ে যায়। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মতিন সরকার বলেন, পরিকল্পিত নৌকাকে হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মাসুদ চেয়ারম্যান, নুহু মেম্বার ও জুুরান মন্ডলের নেতৃৃত্বে প্রতিদিনই জামাত-শিবিরের লোকজন দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতন ও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তার লোকজন।

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, এরধারাবাহিকতায় রবিবার সন্ধ্যায় তাদের লোকজন বিভিন্ন স্থানে মহড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়। তারমধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় ইসমাইল হোসেন নামে একজনকে ভূঞাপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। 

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার নিকরাইল বাজারে হামলা ও মারধরের ঘটনা মৌখিকভাবে ফোনে শুনেছি। এ ঘটনায় রাতে একজনকে আহত অবস্থায় থানায় নিয়ে আসে স্থানীয়রা। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।