মানব পাচার মামলার দীর্ঘদিনেও নিখোঁজ জাকিয়া
নওগাঁর পত্নীতলা সদর নজিপুর পৌরসভা এলাকাধীন জাকিয়া সুলতানা (২৫) নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তার কোন সন্ধান মিলেনি।নিখোঁজ জাকিয়া পৌরসভার হরিরাম গ্রামের মোঃ আব্দুল আজিজের মেয়ে। অনুসন্ধানে জানা যায় , গত ২৫/ ০৩/১৮ ইং তারিখে নওগাঁ জেলা নোটারী পাবলিক সম্মুখে এক এফিডেফিট পত্রে বিয়ের ঘোষনা দেন জাকিয়া সুৃলতানা ও একই উপজেলার পানিওড়া গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ মাহফুজ (২৫) ।ওই এফিডেফিট পত্রে সাক্ষীগণের সাক্ষরের তালিকায় মোঃ আজিজ ও মোঃ আব্দুর রশিদের সাক্ষরও রয়েছে।একই তারিখে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হয়( নিকাহনামায় উভয়ের পিতার সাক্ষর রয়েছে)।বিয়ের পর মাহফুজ জাকিয়াকে নিয়ে ঢাকার সাভার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো।হঠাৎ জাকিয়ার বাবা মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে না পারলে ,মাহফুজের কাছে মেয়ের সন্ধান চান ।ওই সময় মাহফুজ জানায় তার মেয়ে অন্য কোন ছেলের সাথে পালিয়েছে।এর পর মাহফুজ ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম কথা বলে। বলছিলেন , আব্দুল আজিজ।এক পর্যায়ে আব্দুল আজিজ সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন,একই সাথে ঢাকা র্যাব-৪ অফিসের দারস্থও হোন। মোকাম নওগাঁ মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে মানব পাচার অভিযোগে মামলাও করেন।দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও মামলাটি আলোর মুখ দেখেনি।সন্ধান মিলেনি জাকিয়ার।জাকিয়ার বাবা আব্দুল আজিজ আক্ষেপ করে বলেন, মাহফুজ ও তার পরিবার বার বার আমাকে মিমাংশার কথা বলেছে।আমার মেয়ের কোন খোঁজ খবর নাই,আমি কী মিমাংসা করবো তাদের সাথে? আমি গরিব মানুষ ,মামলা মোকদ্দমা তদবির করার মতো পয়সা কড়িও আমার নেই ।কিন্তু আমি আমার মেয়েকে ফিরে পাবার আশায় এখনো আছি।
এমএসএম / এমএসএম