ঢাকা মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫

বৃষ্টির নতুন পানিতে ধরা পড়ছে দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ


ফরমান শেখ,  ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি photo ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮-৬-২০২২ দুপুর ২:৫১
বৃষ্টির পানিতে নিঁচু জমিগুলো পানিতে ভরে গেছে। এসব জমিতে সেচের মাধ্যমে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবিটি বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চর অলোয়া বিল থেকে তোলা।
বৃষ্টির পানিতে নিঁচু জমিগুলো পানিতে ভরে গেছে। এসব জমিতে সেচের মাধ্যমে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবিটি বুধবার সকালে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চর অলোয়া বিল থেকে তোলা।

বৃষ্টির পানিতে দেশীয় মাছে ভরে গেছে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলগুলোর নিঁচু এলাকার খাল-বিল ও জলাধারগুলো। বৃষ্টির নতুন পানিতে বিলের নানা প্রজাতির মাছ যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বর্ষার আগমনে বিলে ধরা পড়ছে নানা প্রজাতির মাছ। জমিতে বৃষ্টির পানিতে দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা আর কচুরিপানা থাকায় নিঁচু জমিতে বছরে এক ফসল বোরো ধান চাষাবাদ হয়। এ সুযোগে জলাধারগুলোতে বছরে প্রায় ৮ মাস পানি থাকায় নানা প্রজাতের মাছ প্রজনন করে থাকে। ফলে এসব মাছ বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারছেন ধান চাষিরা। আবার মাছের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে তাদের। 

সরেজমিন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মাছুয়াহাটা গ্রামের নিকরাইল-সিংগুড়িয়া সড়কের পাশে তারাই বিল, ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চর নিকলা, চর অলোয়া, আমুলাদহ বিল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া ধপাচড়া বিলে মাছ ধরার চিত্র দেখা যায়। এসব বিলের জলাধার বা ডোবায় নানা বয়সী মানুষ মাছ ধরছেন। অনেকেই এসব নিঁচু জমিতে পাড় তৈরি করে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। 

দেশীয় মাছের মধ্যে রয়েছে- শোল, বোয়াল, টাকি, কৈ, শিং, মাগুর, টেংরা, বাইম (গোচই), পুঁটি, মলা, ঢেলা ও নন্দাসহ নানা জাতের মাছ। এসব বিলে প্লাংকটন, জুপ্লাংকটন, কচুরিপানাসহ প্রচুর প্রাকৃতিক খাবার থাকায় মাছ বৃদ্ধি পায়। এসব নিচু জমিতে কৃষকরা কয়েক দফায় পানি সেচ করে মাছ ধরেন। এতে প্রতি শতক জমিতে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মাছ বিক্রি করতে পারেন। এসব দেশীয় প্রজাতির মাছ সুস্বাদু হওয়ায় চড়া দামে বিক্রি করা যায়।

মাছ শিকারি রহিম মিয়া বলেন, রাস্তার পাশে জমিতে বৃষ্টির পানিতে ভরপুর থাকে। বছরে ৭-৮ মাস পানি থাকার কারণে নানা ধরনের মাছ জন্মায়। এসব জমিতে সেচ করে কয়েক দফায় দফায় মাছ ধরে থাকি। ধান আবাদের চেয়ে মাছ চাষেই আমাদের লাভ বেশি হয়।

ডিপ্লোমা কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, গ্রামে অসংখ্য নিচু জলাধার ও বিল-ঝিল রয়েছে। অনেক জমি নিচু থাকায় কৃষকরা বছরে এক মৌসুমে ধান চাষ করতে পারেন। ওসব জমিতে জলাবদ্ধ হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে দেশীয় প্রজাতির মাছ জন্মে। এছাড়াও ধান- মাছ সমন্বিত চাষ করেও কৃষক প্রচুর লাভবান হতে পারেন। এসব দেশীয় মাছ বাজারে প্রচুর চাহিদা থাকায় দামও বেশি। 

এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম সামসুজ্জামান বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুমে মা মাছগুলো প্রজনন করবে। এ সময় নিচু অঞ্চল ভূমিতে পানি কম থাকলেও কিছু পুরনো মা মাছ মাটির গর্তে লুকিয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি পেলেই গর্ত থেকে উঠে আসে। এ সময় মাছগুলো ধরা পড়ে। তবে এ মাছগুলো ধরলে প্রজননক্ষম মাছ হ্রাস পাবে। দেশীয় প্রজাতির মা মাছগুলোকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। 

এমএসএম / জামান

গোপালগঞ্জে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন

হানিওয়েল কারখানা বন্ধ ঘোষণা,শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট

পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা

কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান

আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল

হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা

‎শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি

বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত

গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী