ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যু : ১০ দিনেও জমা হয়নি প্রতিবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অনুমোদনহীন অবৈধ প্রতিষ্ঠান ‘মা ক্লিনিক অ্যান্ড হাসপাতাল’-এ ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতি লাইলী বেগম ও তার গর্ভে থাকা সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় ১০ দিনেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি তদন্ত কমিটি। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। গত ২৬ মে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কনসালট্যান্ট ডা. অনামিকা সাহাকে প্রধান করে ডা. নিশাত সাঈদা ও ডা. মো. খাদেমুল ইসলামের সমন্বয়ে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, টাঙ্গাইল জেলা সিভিল সার্জন ডা. ফজল আবুল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খানের বেঁধে দেয়া ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ১০ কর্মদিবস অতিবাহিত হচ্ছে। এখনো প্রতিবেদন জমা হয়নি। কবে নাগাদ জমা হবে, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আল মামুনের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও তার গর্ভের সন্তানের মারা যাওয়ার প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তদন্ত— প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ ছাড়া তদন্ত কমিটির সদস্যরা সিভিল সার্জনের নির্দেশনাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। অন্যদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পছন্দের লোক দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সঠিক তদন্ত নিয়ে দুশ্চিন্তা ও মরদেহের ময়নাতদন্তের সঠিক রিপোর্ট পাওয়া নিয়েও শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জানিয়েছেন, প্রপূতি নারী ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন এখনও হয়নি। তদন্ত চলমান আছে। আমি চাচ্ছি তদন্ত যেন কোনো ক্রুটি না থাকে।
টাঙ্গাইল জেলা সিভিল সার্জন ফজল আবুল মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন খান জানান, দু-এক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছে তারা। তবে কেন এত সময় লাগল তদন্ত কমিটিই বিষয়টি বলতে পারবে।
প্রকাশ, বুধবার (২৫ মে) বিকেলে লাইলী বেগমের প্রপব যন্ত্রণা হলে তার স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্মরত মেডিকেল অফিসার রুপক রোগীর শারিরীক অবস্থা খারাপ থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
এরপর সেখানে থাকা ক্লিনিকের দালাল শামছু রোগীর স্বজনদের কম টাকায় সিজার করানোর কথা বলে মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।
ক্লিনিকের সার্জারি চিকিৎসক ও ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এনামুল হক সোহেল ও অ্যানেস্থিসিয়ার চিকিৎসক আল মামুন অস্ত্রোপচার শুরু করেন। রাত ১০টার দিকে রোগী অপারেশন টেবিলেই মারা যান।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্বজনদের না জানিয়ে রোগীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে উঠিয়ে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেওয়ার সময় স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দেন। এসময় কৌশলে ক্লিনিক মালিক রফিকুল ইসলাম, কর্মরতত চিকিৎসক ও নার্সরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
এরপর ঘটনাটি নিয়ে যখন বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয় তখন বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরের দিকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। কমিটিকে ওইদিন থেকেই সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনের জমার নির্দেশনা দেন জেলা সিভিল সার্জন। পরে বিকালে মা ক্লিনিক এন্ড হাসপাতালটি সিলগালা করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এমএসএম / জামান
গোপালগঞ্জে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন
হানিওয়েল কারখানা বন্ধ ঘোষণা,শ্রমিকদের বিক্ষোভ
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত