ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙন, বন্যার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

একের পর এক গ্রাম নদীভাঙনের কবলে পড়ে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রতিবারই এই মৌসুমে নদীতে পানি বাড়ার পাশাপাশি হঠাৎ করে পানি কমে যাওয়ায় তীব্র আকার ধারণ করে নদীভাঙন। আর এই নদীভাঙনের ফলে একেকটি পাড়া, মহল্লা, গ্রাম হারিয়ে যায় মানচিত্র থেকে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় নদীবেষ্টিত এলাকাগুলো মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।
এবারো উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে দেশের অনেক অঞ্চলের মতো গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীবেষ্টিত ১৬৫ চরের নিম্নাঞ্চলগুলো ইতোমধ্যে ডুবতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ছোট ছোট চরের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ফলে এসব এলাকার জমিতে পানি ঢুকে পড়ায় বাদাম, ভুট্টা, মিষ্টি কুমড়া, ধানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বৃদ্ধি পেয়ে এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শহর পয়েন্টে ঘাঘট নদীর পানি ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও করতোয়া নদীর পানিও বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে যেভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে, তাতে যে কোনো সময় পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এ ব্যাপারে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন চরের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে ডুবতে শুরু করেছে। এছাড়া উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, উত্তর উড়িয়া, কোটিয়ার ভিটা, ভূষির ভিটা ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারী, পূর্ব খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, তালতলা, ও নিশ্চিন্তপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনারচর ও জিয়া ভাঙ্গা এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ পরিবার নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
ফুলছড়ি উপজেলা ত্রাণ ও পুনবাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ১২৮৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র নদীভাঙনের কারণে ১১৬৫টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়েছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম বলেন, কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশকিছু চরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাইবান্ধা অংশের বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত যেসব স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া চরে নদীভাঙনের শিকার মানুষগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল মারুফ বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ছোট ছোট চরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেশকিছু মানুষ। কিন্তু পানি বাড়ার আগে নদীভাঙন থাকলেও বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন বন্ধ আছে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বেড়া, নলছিয়া, গোবিন্দপুর ও দক্ষিণ দিঘলকান্দি চরে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, আগামী ২-৩ দিন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আপাতত ব্রহ্মপুত্রের পানি কমার সম্ভাবনা নেই। তবে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশকিছু জায়গা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই সব জায়গা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে। এছাড়া জেলার অন্য বাঁধগুলোর অবস্থা ভালোই আছে। নদীর পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই।
এমএসএম / জামান

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন
Link Copied