ঢাকা শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

৩১ বছর পর হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার


হৃদয় মাহমুদ রানা, মানিকগঞ্জ photo হৃদয় মাহমুদ রানা, মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ২০-৬-২০২২ দুপুর ৪:২৭

দীর্ঘ ৩১ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে পলাতক থাকার পর অবশেষে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মানিকগঞ্জ সদর এলাকার আজাহার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. কাওছার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (১৯ জুন) রাতে র‌্যাব-৪-এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর গুলশানের বারিধারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাওছারকে গ্রেফতার করে।

সোমবার (২০ জুন) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত  কাওছার (৬৩) ও ভিকটিম আজাহারের (৪০) বাড়ি মানিকগঞ্জ  সদর উপজেলার চরহিজুলী এলাকায়। 

সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি মো. কাওছার এবং ভিকটিম আজাহার দুজনই মানিকগঞ্জ জেলার চরহিজুলী গ্রামের বাসিন্দা। তারা একই সাথে চাষাবাদ ও ধানের ক্ষেতে পানি সেচের ব্যবসা করতেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ভিকটিমের বিবাহিত বোন অবলার সাথে আসামি কাওছারের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয়।

তিনি আরো জানান, বিষয়টি জানাজানি হলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত অবলা, অবলার তৎকালীন স্বামী ফালান, জনৈক ওমর, রুহুল আমিন, আসমান এবং রফিজসহ আরো কয়েকজন আসামি মো. কাওছারের পক্ষ নিয়ে ভিকটিম আজাহারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এ সময় আসামি কাওছার ভিকটিমের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে ভিকটিমের মাথা ফেটে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে এবং ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আজাহারকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

ওই ঘটনায় নিহত আজাহারের আপন ছোট ভাই মো. আলী হোসেন (বর্তমানে মৃত) বাদী হয়ে কাওছারসহ ৭ জনকে আসামি করে একই দিন মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামি মো. কাওছারসহ এজাহারনামীয় বেশ কয়েকজন আসামিকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় আসামি কাওছার দুই মাস হাজত খেটে ১৯৯১ সালে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। অত্র মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারনামীয় আসামি মো. কাওছার, ওমর, রুহুল আমিন, আসমান এবং রফিজকে অভিযুক্ত করে আদালতে একই বছরের ডিসেম্বরে চার্জশীট দাখিল করেন এবং এজাহারনামীয় বাকি দুই আসামি অবলা ও তার তৎকালীন স্বামী ফালানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের চার্জশীট থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালত উক্ত মামলার বিচারকার্য পরিচালনা করে এবং পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ভিকটিম আজাহার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে ১৯৯২ সালের শেষের দিকে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ চার্জশীটে অভিযুক্ত আসামি মো. কাওছারকে মৃত্যুদ্ডে, অপর আসামি ওমর, রুহুল আমিন, আসমান ও রফিজকে যাবজ্জীবন প্রদান করেন। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিগণ ৫ বছর সাজাভোগের পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে বর্তমান আদালতের নির্দেশে জামিনে আছেন। পলাতক আসামি মো. কাওছার মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দুই মাস হাজতে থেকে জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই গত ৩১ বছর পলাতক ছিলেন।

 আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ায় এবং ওই মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে লোকচক্ষুর আড়ালে আত্মগোপন করেন। পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য ১৯৯১ সালের শেষের দিকে ঢাকায় চলে আসেন। গত ৩১ বছর ধরে আসামি মো. কাওছার নাম পরিবর্তন করে ইমরান মাহামুদ নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রথমে গাজীপুর, কালিয়াকৈর, পুবাইল, উত্তরা, টঙ্গীসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন।

 আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসামি নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে পেশা পরিবর্তন করেন। প্রথমদিকে তিনি রাজমিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিক, স্যানিটারী মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি ড্রাইভিং শিখে সিএনজি চালান এবং বর্তমানে প্রাইভেটকারের ড্রাইভার হিসেবে আত্মগোপনে থেকে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন।  

ঢাকায় আসার পর নিজেকে আড়াল করার জন্য কাওছার তার নাম পরিবর্তন করে মো. ইমরান মাহামুদ নাম ধারণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম শাহিন মাহামুদ ও বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে গ্রাম নান্দুয়াইন, থানা ও জেলা গাজীপুর ব্যবহার করে আসছিলেন। গ্রেফতারকৃত আসামিকে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

জামান / জামান

হেডম্যান পাড়া কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার উদ্যােগের মহা আচরিয়া গুরু পূজা অনুষ্ঠিত

ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদে সমাজসেবা অফিস সহায়কের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কাউনিয়ায় শোকাবহ পরিবেশে ওসমান হাদীর গাইবানা জানাজা সম্পন্ন

আব্দুল আলী ও হালিবন নেছা ফাউন্ডেশন কর্তৃক মুকসুদপুরের ৩১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হলো মেধা বৃত্তি পরীক্ষা

শেরপুরের নকলায় নিখোঁজের চার দিন পর শিশু রেশমীর লাশ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে শরীফ ওসমান হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

তানোর কোয়েল পূর্বপাড়া গ্রামের স্বপন আলী অবৈধ মটার স্হাপন জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনা

বড়লেখায় আধুনিক ও ইসলামী শিক্ষার সমন্বয়ে "দারুল হিকমাহ আইডিয়াল দাখিল মাদরাসা"র উদ্বোধন

রায়গঞ্জে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত

শেরপুরে ওসমান হাদীর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

নবীগঞ্জে বনগাঁও ‘তারুণ্যের আলো’ সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু

নেত্রকোণায় ভাষাসৈনিক এসকে চৌধুরী শিক্ষা বৃত্তি পেয়েছে ৩০ শিক্ষার্থী

শরীফ উসমান হাদী'র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান মুহসেনী