‘চরের রাস্তা ডুবি গেছে, আমাদের স্কুলত পানি উঠেছে’

’চরের রাস্তা ডুবি গেছে, আমাদের স্কুলত পানি উঠেছে, আমরা ক্লাস করতে পারছি না, পড়াশুনার ক্ষতি হচ্ছে।’ এভাবে কথাগুলো বলল গাইবান্ধার ফুলছড়ির পিপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর হোসেন। শুধু পিপুলিয়া স্কুল নয়, বন্যার কারণে এরকম ৬৪টি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
টানা বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতিদিনই ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীতীরবর্তী এলাকা ছাড়াও বিস্তীর্ণ জনপদে পানি ছড়িয়ে পড়ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এসব এলাকায় পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জিয়াডাঙ্গা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকাত আলী বলেন, চরাঞ্চলের রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। বিদ্যালয়েও পানি উঠেছে। একমাত্র নৌকা অথবা কলাগাছের ভেলা ছাড়া যাতায়াতের কোনো উপায় নেই। সে কারণে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে কয়দিন পাঠদান বন্ধ থাকবে, বিদ্যালয় খোলার সাথে সাথে বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে তা আমরা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, কঞ্চিপাড়া, উদাখালী, উড়িয়া ও গজারিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার পরিবারের ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শতাধিক ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বসতবাড়ি, ফসলি জমি, নলকূপ বন্যার পানিতে তলিয়ে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গোখাদ্যের তীব্র সংকট। বন্যার্তরা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন উঁচু বাঁধ, সেতু এবং সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার বেশিরভাগ জায়গায় স্থানীয় ও আঞ্চলিক সড়কে বন্যার পানি উঠে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধের বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম কারুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলায় ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কক্ষ ও আঙিনায় পানি উঠেছে। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর বিদ্যালয় খোলা হবে। তখন বিশেষ পাঠদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতিটা পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
ফুলছড়ি উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। আমরা বন্যাকবলিতদের কাছে জরুরি সেবা ও ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা
