যমুনায় বসতভিটা হারিয়ে দিশাহারা জরিনা
জরিনা বেগম, বয়স ৭২। যমুনার ভয়াবহ কালো থাবায় কমপক্ষে পাঁচবারের মতো ভাঙনের শিকারে নিঃস্ব হয়েছেন। এখন তিনি সব হারিয়ে দিশাহারা। আগের বন্যায় বসতভিটা না ভাঙলেও চরাঞ্চলে বিঘাখানেক জমি ছিল, সেটা গেল বছর নদীর পেটে চলে গেছে।
জরিনা বেগম বলেন, এবার জমি হারানোর পর বসতভিটা হারানোর পথে বসেঠি। ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। বাড়িটাও এবার শেষ রক্ষা পাবে না। আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। বন্যার কারণে ঘরে চাল-ডালের সংকট। একবেলা কোনো রকম খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। সরকারি কোনো ত্রাণ পাইনি।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের কোনাবাড়ী গ্রামের চরাঞ্চল এলাকার বাসিন্দা করিম হোসেনের স্ত্রী ওই জরিনা বেগম। তিনি বলেন, এবার নিয়ে পাঁচবার ঘর সরাতে হচ্ছে। যমুনার কালো থাবায় জীবন এখন অতিষ্ঠ। বসতভিটা হারাতে হচ্ছে এ বন্যায়। এখন থাকব কোথায় এমন দুশ্চিন্তায় পড়েছি। বসতভিটা ভাঙনের মুখে। পানি উঠেছে বাড়িতে। রাস্তার পাশে পলিথিনের ছাউনিতে থাকতে হবে।
জরিনা বেগমের স্বামী করিম হোসেন বলেন, চরাঞ্চলের মধ্যে কয়েক শতাংশ মাত্র বসত-ভিটে। আর কিছু জমি-জমা রয়েছে। এনিয়ে ক্ষেত-খামারে কৃষি কাজ করে সংসারের হাল ধরে আছি বৃদ্ধ বয়সেও। পাঁচ ছেলে সন্তান ও দুই মেয়ে। সবাইকেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ ছেলে সন্তান থাকলেও তারা পৃথক। কয়েক বছরে বন্যায় বাড়িতে শুধু পানি উঠেছে। তখন উঁচু স্থানে গিয়ে আশ্রয় নেয়া হয়েছে এবং গত বছর জমিও ভেঙে গেছে যমুনায়।
তিনি বলেন, জমিগুলো ভাঙনেও শুকনো মৌসুমে বিভিন্ন ফসল চাষবাস করেছি। লালন-পালন করা হয়েছে গবাদিপশু। কিন্তু এ বছর বন্যার পানির স্রোতের তীব্রতা বেশি। নদী ভাঙতে ভাঙতে বসত-ভিটা ধরেছে। এবার বন্যায় আর রক্ষা পাবে না। তাই ঘরের আসবাপত্র পানিতে ভেসে যাওয়ার আগেই নৌকা যোগে গোবিন্দাসী উঁচু কোন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছি পরিবারকে নিয়ে। চরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানিরও তীব্র সংকট। গরু-ছাগল ও হাস-মুরগি নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছি।
শুধু জরিনা বেগম বা তার স্বামী করিম হোসেন নন, তার মতো রহিম হোসেন ও ফরিদা বেগমসহ অনেকেই বলেন, গতবারের তুলনায় এবার অনেক ভাঙন। নদী তীরবর্তীর চেয়ে চরাঞ্চলের ফসলি জমি বেশি ভাঙছে। চরে থাকা ঘরবাড়িগুলো ভাঙনের মুখে পড়ছে। বাড়িতে পানি উঠছে। যার কারণে আমরাও পরিবার ও গবাদিপশু নিয়ে উঁচু স্থানে চলে যাচ্ছি। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে বিশুদ্ধ পানিসহ খাবার সংকট দেখা দিলেও এখন পর্যস্ত কোন ধরণের ত্রাণ সহায়তা পাইনি। মানবেতর জীবনযাপন করে আসছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ইশরাত জাহান জানিয়েছেন, উপজেলায় এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিত পরিবারদের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাননি। তবে, ত্রাণ সহায়তার জন্য বরাদ্দ চেয়েছেন। বরাদ্দ পেলেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু করবেন। উপজেলা পরিষদের চেয়রাম্যান মোছা: নার্গিস আক্তার জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য এখনো ত্রাণ পাইনি। ত্রাণের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ত্রাণ পাওয়া যাবে।
এমএসএম / জামান
সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসী প্রতিবাদ, আটক -৪
গোপালগঞ্জে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসকের পরিদর্শন
হানিওয়েল কারখানা বন্ধ ঘোষণা,শ্রমিকদের বিক্ষোভ
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
Link Copied