ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ৫৬০ পরিবার বাস্তুহারা


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২-৭-২০২২ বিকাল ৫:৩৮

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আবারো বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে ফজলুপুর ইউনিয়নের কাউয়াবাঁধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া এবারের বন্যায় বাস্তুহারা হয়েছে ৫৬০টি পরিবার।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে বা বাড়তে থাকলে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম দফার বন্যায় ভাঙনের পর দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে ফজলুপুর ইউনিয়নের কাউয়াবাঁধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি গতকাল শুক্রবার বিকেলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া প্রতিদিনই বসতভিটাসহ ফসলি জমি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে।

উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের খাটিয়ামারী, কাউয়াবাঁধা, ফুলছড়ি ইউনিয়নের পিপুলিয়া, বাগবাড়ী, দেলুয়াবাড়ী, উড়িয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া, মধ্য উড়িয়া ও দক্ষিণ উড়িয়া গ্রামের ভাঙনের আঘাতটা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সরেজমিন দেখা যায়, উড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ উড়িয়া গ্রামের ২৬টি পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের বসতভিটা হারিয়েছেন। হুমকির মুখে রয়েছে শত শত পরিবার। বসতভিটা হারানো মানুষগুলো উড়িয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে গুনভরি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে বলে স্থানীয়দের ধারণা। ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

দক্ষিণ উড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোলায়মান হোসেন (৪২) বলেন, দিনমজুরি করে সংসার চালাতে হয়। ঘরে ১৪ বছর বয়সী একটা প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। বাড়িভিটা ছাড়া আর কোথাও জমিজমা নেই। যেভাবে নদী ভাঙছে, তাতে এবার বাড়িঘর থাকবে কি-না সন্দেহ আছে।

উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড মধ্য উড়িয়া গ্রামে কিছু অংশে কাজ করেছে। ফলে সেখানে আর নদীভাঙনে ক্ষয়ক্ষতি নেই। উত্তর উড়িয়া ও দক্ষিণ উড়িয়া গ্রামের ভাঙনকবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বিশাল জনগোষ্ঠী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, ফুলছড়ি একটি নদীবেষ্টিত উপজেলা। নদীভাঙনে এ উপজেলার মানুষকে দারিদ্র্যে পরিণত করছে। ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা কমে যাবে।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত