ঢাকা বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫

ঈদুল আজহা ব্যস্ততা বাড়িয়েছে ফটিকছড়ির কামারশিল্পীদের


ফটিকছড়ি প্রতিনিধি photo ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪-৭-২০২২ দুপুর ১২:৪০
দিন রাত টুং টাং শব্দ, তালে তাল মিলিয়ে চলছে। পবিত্র ঈদুল আজহাকে (কোরাবানি) সামনে রেখে ফটিকছড়িতে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারশিল্পীদের। কোরবাণির পশু জবাই ও মাংস টুকরা করার জন্য দা-ছুরি অপরিহার্য। আর এ দা-ছুরি তৈরি করেন কামারশিল্পীরা। ইতোমধ্যে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কামাররা। দম ফেলারও যেন ফুসরত নেই তাদের। দিন-রাত টুং টাং শব্দ আসছে কামার দোকান থেকে। যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়বে বলে জানান কামারশিল্পীরা।
 
লোহা একটি কঠিন পদার্থ । আর এ লোহাকে আগুনে পুড়িয় নরম বস্তুতে পরিণত করে মনের মতো ডিজাইনে দা, ছুরি, বঁটি বানিয়ে চলছেন কামারশিল্পীরা। কেউ আগুনে পোড়াচ্ছেন, কেউ হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছেন, কেউরা শান দিচ্ছেস। টুং টাং শব্দে মুখরিত আশপাশের এলাকা। আর এ দৃশ্য চোখে পড়ছে ফটিকছড়ির কামারশিল্পীদের দোকানে।
 
সরজমিনে দেখা যায় নাজিরহাট, বিবিরহাট, নানুপুর, হেঁয়াকো বাজার, কাজীর হাট বাজার, আজাদী বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, চাকু, বঁটি, ধামাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছেন কামাররা। এসব ব্যবহার্য জিনিস স্থানীয় চাহিদা মেমেনোর পাশাপাশি চট্টগ্রাম শহরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজার থেকে লোহা কিনে সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে দা, চাকু, বঁটি, ধামাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করছেন কামাররা। বর্তমান আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামারশিল্পের দুর্দিন চললেও পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে এ শিল্প। 
 
দা-ছুরিতে শান দিতে আসা অনেকে অভিযোগ করে বলেন, আগে কামাররা লবণ পানি দিয়ে হাতের মেশিন দিয়ে শান দিত। ফলে এ শান খুব ভালো হত। এখন কামাররা ইলেকট্রিক মেশিনে শান দেয়। ফলে অল্পদিনে শান চলে যায়।
 
দা-ছুরিতে শান দিতে আনা এয়াকুব বলেন, কদিন পর কামাররা আরো ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তাই দা-ছুরিতে শান দেয়ার জন্য আগে  নিয়ে এলাম। তবে দাম বেশি চাইছে। 
 
কামারশিল্পী মাধব বাবু বলেন, বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও মেশিনের মাধ্যমে শান দিচ্ছি। তবে যারা লবণ পানি দিয়ে হাতে করে দিতে বলেন তাদের তেমনিভাবেও করে দিচ্ছি।
 
কামারশিল্পী বৃদ্ধ যতীন্দ্র বলেন, এক সময় কামারদের যে কদর ছিল বর্তমানে তা আর নেই। মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রাদির প্রতি মানুষের আকৃষ্টতা হারাচ্ছে। হয়তোবা এক সময় এই পেশা আর থাকবে না। 
 
হেয়াকো বাজারের কামার গৌরাঙ্গ বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষরা এই কাজ করে আসছেন। সারাবছর তেমন কাজ হয় না। কোরবানি এলে আমাদের ভালো কাজ হয়, যা দিয়ে সারাবছর চলার জন্য কিছু আয় করে রাখি। 
 
নানুপুর বাজারের কামারশিল্পী সুনীল বলেন এই পেশায় আমরা যারা আছি তারা খুবই অবহেলিত। এই পেশায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। কোরবানির ঈদ এলে কিছু টাকা আয় করতে পারি আর সারাবছর কাটে আমাদের অভাবের তাড়নায়। তাই সরকারের কাছে আমরা অর্থসহ সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। 
 
সচেতন মহল মনে করেন, কামারদের সরকারিভাবে কিছু আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা দরকার।  তা না হলে হয়তো এ শিল্প একদিন হারিয়ে যাবে।

এমএসএম / জামান

রৌমারীতে বিয়ের প্রলোভনে তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

মান্দায় ছয় মাস ধরে এসিল্যান্ড শূন্য

পঞ্চগড়ে বিএনপির বিজয় র‌্যালি

প্রশাসনিক অনুমতিতে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক

পটুয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জেলা বিএনপির বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিজয় র‌্যালী

ঝিনাইদহে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে আনন্দ শোভাযাত্রা

ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তিতে ফটিকছড়িতে বিজয় মিছিল-আলোচনা সভা

আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম হতে দিবেনা বিএনপি

নোয়াখালী -৪ আসন থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

২৪ এর রঙে গ্রাফিতি ও চিত্রাঙ্কন’ প্রতিযোগিতায় দেশসেরা বড়লেখা সরকার ডিগ্রি কলেজ

কুড়িগ্রামে ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির বিজয় র‍্যালী