ঢাকা মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৫

জেলা আ‘লীগের সাবেক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ

এমপি ফারুক চৌধুরী আওয়ামীবিরোধী পাকিপন্থী ধারার মানুষ


শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান  photo শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
প্রকাশিত: ১৬-৭-২০২২ দুপুর ৩:৩

সম্প্রতি শিক্ষক পেটানোর অভিযোগে দেশব্যাপী আলোচিত রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগবিরোধী পাকিপন্থী ধারার মানুষ বলে অভিহিত করেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ের আওয়ামী লীগ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। 

শনিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় রাজশাহী নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে গত ১৪ জুলাই এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আজকের এই সংবাদ সম্মেলন বাধ্য হয়ে আয়োজন করতে হয়েছে। রাজাবাড়ী হাট ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে মারার বিষয় নিয়ে এমপি ফারুক চৌধুরীর মিথ্যাচারের প্রমাণসহ জবাব দেয়ার জন্যই এ সাংবাদিক সম্মেলন।

ওমর ফারুক চৌধুরীর বিভিন্ন অপকর্মের বর্ণনায় তিনি বলেন :

১) ২০২০ সালে ফারুক চৌধুরীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক তদন্ত শুরু করেন। অভিযোগ অর্থ আত্মসাৎ,খাসজমি ইজারায় দুর্নীতি, সার ডিলার নিয়োগ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি এবং জামায়ত বি.এন.পির ব্যক্তিদের নিয়োগ সহ প্রায় ২০ ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে।

২) শুধু রাজাবাড়ী হাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষকে নয়, তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তানোর থানা এল.জি.ই.ডি'র ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল্লা আল মামুন, ২০১৩ সালে তানোর আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান'কেও তার বাড়ীতে শাররীকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

৩) ২০১৫ সালে প্রেমতলি ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেতে রাজাকার পুত্র সাজেদুর রহমান সুজন এবং পিযারুল ইসলাম ফারুক চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে গোগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়েছিলেন।

৪) বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭০% জামায়াত বিএনপি ক্যাডারদের চাকুরি প্রদান করে। তার তথ্য প্রমাণ আমার কাছে, নামসহ আছে।

৫) ওমর ফারুক চৌধুরী তার নির্বাচনী এলাকায় নিজে ২০১৮ সালে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিএনপির গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বি.এন.পির সভাপতি ইসহাক আলীকে
আওয়ামী লীগে যোগদান করিয়ে মিষ্টি বিতরণ উৎসব করে।

৬) ২০১৮ সালে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে ওমর ফারুক চৌধুরী তানোর উপজেলার ডাঃ আবু বকর হাই স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিত থেকে আনন্দ র‍্যালী করেছিলেন।

৭) ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তিনি গোদাগাড়ীর মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন এবং পৃষ্টপোষকতা করেন। এই প্রতিবেদন যমুনা টিভি, ইনডিপিনডেন্ট টিভি, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তদন্তেও তাকে মাদকের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

৮) তানোর-গোদাগাড়ির স্কুল কলেজ সরকারিকরণ করার নাম করে কোটি কোটি টাকা সেসব স্কুল-কলেজের
শিক্ষকদের কাছ থেকে নিয়েছেন। এর-ই ধারাবাহিকতায় গোদাগাড়ি কলেজের অধ্যক্ষকে টাকার জন্য কলেজ গভর্নিং বডির সভায় ফারুক চৌধুরীর উপস্থিততে বর্তমান গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গোদাগাড়ী
পৌরসভার মেয়র অয়েজ উদ্দিন বিশ্বাস ও তার ছেলেকে মারধর করেছিলেন, যা জাতীয় পত্রিকাসহ স্থানীয় সকল পত্রিকায় খবরটি প্রকাশিত হয়।

৯) তিনি ২০১৩ সালে তানোর উপজেলা পিআইও জিয়াকে লাঞ্ছিত করেন।

১০) ২০১৮ সালে তানোর উপজেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি রবিন সরকারকে জুতা পেটা করেছিলেন এমপি নিজে। ১২ আগস্ট ২০১৮ সালে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাজী রুবেল রানাকে জুতাপেটা করে পুলিশের কাছে তুলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।

১১) ওমর ফারুক চৌধুরী নিজেকে এখন শহীদ পরিবারের সন্তান দাবী করছেন। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে
জাতীয় পত্রিকা দৈনিক কালের কণ্ঠে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা বিবৃতি দিয়েছে যে, তার বাবা রাজাকার ছিল। তার বাবা শান্তি কমিটি রাজশাহী জেলার সদস্য ছিল।

১২) ২০১৯ সালে ১৯ জানুয়ারী তানোরের সব স্কুলের ক্লাস বন্ধ করে সংবর্ধনা দিয়ে ছিল শিক্ষকরা।

১৩) তিনি ২০১৯ সালে মাটিকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে সভাপতি পদে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন নয়ন ওরফে নয়ন ডাক্তারকে মনোনিত করেন।

এই ধরনের আরও অনেক অভিযোগ আছে যা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।


ফারুক চৌধুরীর নিজ বাড়ী রাজশাহী শহরের ৩৪৫ সাগরপাড়া বাড়ীর ঠিকানায় ভোটার, ফারুক চৌধুরী ৩ বারের এম.পি থাকা অবস্থায় একবারও নৌকায় ভোট দেননি। তিনি আসলে চেতনায় আওয়ামী লীগ বিরোধী পাকিপন্থী
ধারার মানুষ।

সংবাদ সম্মেলনে আসাদ বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন তিনি ফ্রিডম পার্টি করেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২০২১ সালে সাংবাদিক ফারজানা রুপার উপস্থাপনায় বাংলাদেশ ফাইলস নামে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম

সদস্য প্রয়াত এ্যাড. আব্দুল মতিন খসরুর উপস্থিতিতে তাকে ফ্রিডম পার্টির নেতা হিসেবে প্রমাণ করেছেন এবং এই বিষয় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে আছে। তিনি ফ্রিডম পার্টি করতেন, তা রাজশাহীর রাজনীতি সচেতন অনেক মানুষ জানেন।

ফারুক চৌধুরী রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন ত্রিদলের মাধ্যমে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮০ সালের ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের মর্তুজা-জুয়েল প্যানেল থেকে ক্রীড়া সম্পাদক পদে প্রতিদন্দ্বিতা করে ছাত্রলীগের
শাহ আলমের কাছে পরাজিত হন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলামের পক্ষে সরাসরি ভোট করেন ৷

তিনি বলেন, ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উপস্থাপন করলাম, তা যদি এক চুল পরিমাণ মিথ্যা হয়, তাহলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বলব আমাকে বহিষ্কার করুন আর ফারুক চৌধুরীকে পদোন্নতি প্রদান করুন। 

লিখিত বক্তব্য দেয়ার পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং পুরনো পত্রিকার তথ্য ও শিক্ষক পেটানোর ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রাজাবাড়ী কলেজের অধ্যক্ষ সেলিম রেজার  অডিও রেকর্ড শোনান।

জামান / জামান

সিংগাইরে চাঞ্চল্যকর শারফিন মোল্লা হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

শিবচরে এক্সপ্রেসওয়েতে বাস–ট্রাক সংঘর্ষে তিন যাত্রী নিহত, আহত ১০–১৫ জন

কাপ্তাই নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, স্থগিত বার্ষিক পরীক্ষা

আমিন আমিন ধ্বনিতে কম্পিত টঙ্গী তুরাগ তীর

কোটালীপাড়া হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার করুন হাল

কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প

চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন এর দিনব্যাপী প্রশাসনিক কার্যক্রম

বাগেরহাট টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নব-নির্মিত ৫ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর

কুমিল্লা-৯ আসনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

কুমিল্লায় প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় শাড়ি জব্দ

নিসচার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জয়পুরহাটে র‍্যালি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষকদের পদসোপান আন্দোলন: দুই বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত