অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন পাটচাষীরা

বাজার মন্দা আবহাওয়াও বিমুখ। মিলছে না কোন প্রকল্পের সহায়তা । এবার গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় মাথায় হাত পড়েছে পাট চাষিদের ।
পাট চাষ শুরুর দিকে অতিবৃষ্টি কারণে অনেক স্থানে পাটক্ষেত মরে যাচ্ছে। আর এখন অনাবৃষ্টির কারণে পাট জাগ দিতে পারছেন না এলাকার কৃষক। ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। অধিকাংশ খাল, বিল, ডোবা ও জলাশয়ে পানি নেই। যেটুকু পানি আছে তা পাট পচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। পাট চাষিরা বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে ফেলে রেখেছেন। পুকুর-নদীতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় সেচের মাধ্যমে জাগ দিচ্ছে অনেক পাট চাষীরা। আবার কেউ গাড়িতে করে নদী এলাকায় নিয়ে জাগ দেয়ার চেষ্টা করছেন। লোকসানের আশঙ্কায় মাথায় হাত কৃষকদের।
চলতি বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট ৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকরা ৪ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেন। কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ৫০হেক্টর জমির পাট নষ্ট হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা পুনরায় পাট রোপন করেছিলেন, কিন্তু অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন পাটচাষীরা।
এবার পাট চাষীরা ব্যতিক্রম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এখন পানির অভাবে দেখা দিয়েছে পাট জাগ নিয়ে। অনেক এলাকায় শ্যালো মেশিন সাহায্যে পানিন দিয়ে জাগ দেয়া হচ্ছে। এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক মতিন মিয়া জানান,এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। আমার মতো উপজেলার অধিকাংশ পাটচাষির একই অবস্থা।
গত বছর দাম বেশি পাওয়ায় চলতি বছর পাটের আবাদে ঝুঁকে পড়েন উপজেলার কৃষকরা। পাট আবাদ সুবিধার না হলে ও এখন পাট কাটা ও জাগ দেয়া নিয়ে মহাবিপদে পড়েছেন কৃষক।
মধ্য কঞ্চিপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, উপযুক্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দেয়া খুব সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তবে যে বৃষ্টি হয়েছে তা পাট পচানোর জন্য যথেষ্ট নয়। বেশ কিছু দিনের খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে পাটচাষিরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। নদী ও দলা অঞ্চলেও তমন পানি নেই। উঁচু অঞ্চলে পানির সংকট ভয়াবহ। পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে এ সমস্যা দূর হবে বলে তিনি আশা করছি।
বাংলাদেশের অর্থকরী ফসলের মধ্যে পাট অন্যতম। পাটের পণ্য ব্যবহারে সরকারি নানামুখী উদ্যোগ এবং দেশের আবহাওয়া পাট চাষের জন্য উপযোগী ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় পাট চাষে গদ কয়েক বছর কৃষকরা আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পাটের ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
তবে দাম নিয়ে চিন্তিত ফুলছড়ির পাট চাষিরা। প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকরা সরকারি দাম না পাওয়ায় আগামীতে পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে বলেও জানান একাধিক পাট চাষি। পাটের ভরা মৌসুমে পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়াকে দায়ী করছেন তারা।
অর্থকরী ফসল হিসেবে চাষিদের কাছে পাটের গুরুত্ব রয়েছে। তবে চাষিদের ঘরে থাকা পর্যন্ত পাটের দাম বৃদ্ধি পায় না। কৃষকরা তাদের পাটের ন্যায্যমূল্য পায় না। এর পরিবর্তে মধ্যসত্বভোগী ও পাটের অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক লাভবান হচ্ছে বলে অভিযোগ পাট চাষিদের।
পাশান আলী নামে এক পাট চাষী বলেন, পাট চাষে এবার খুব ক্ষতি হয়েছে আমাদের শুরুর দিকে অতিবৃষ্টি হয়েছে ফলে আশানুরূপ পাট ঘরে তুলতে পারিনি। অন্য দিকে পাটের দাম নেই। ঝড়-বৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হয়েছে। চাষের যেটা খরচ সেটাই আমরা তুলতে পারছি না।সরকারের কাছে অনুরোধ করছি যাতে আমাদের পাশে দাঁড়ায়। আমরা তোকোন প্রকল্পের সুবিধাও পাই না।
এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন
Link Copied