চন্দনাইশে আখ চাষে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে আখ চাষে বাম্পার ফলন এবং ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাই এই উপজেলায় আখ চাষ করে ভাগ্যবদলের লক্ষ্যে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ফলে আখ চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ছেন প্রায় সব কৃষক। অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে আখের চাষ।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দোহাজারী দিয়াকুল, চাগাচর ও শঙ্খ নদের তীরবর্তী খাগরিয়া, বৈলতলী, সাতবাড়িয়ার মোহাম্মদ খালীর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ব্যাপক হারে আখের চাষাবাদ হচ্ছে। আখের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো হয়েছে।
উপজেলার দোহাজারীর দিয়াকুল এলাকার আখচাষি মো. আজগর আলী জানান, এবার তিনি ৮০ শতক জমিতে আখের চাষ করেন। এই ৮০ শতক জমিতে আখ রোপণ করতে তার খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা। যে ৮০ শতক জমিতে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে আখ চাষ করেন, তার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক বলে তিনি এই পেশায় ঝুঁকে পড়ছেন বলে জানান।
অপরদিকে খাগরিয়া এলাকার চাষি হারুন বলেন, এখন আখের ভরা মৌসুম। গরম কিংবা শীত যে কোনো ঋতুতেই পাওয়া যায় আখ। আর এই আখ বাংলাদেশে চিনি উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল। আখের রস হালকা থেকে গাঢ় সবুজ বর্ণের মিষ্টি তরল পানীয়। আখ বা আখের রস হলো প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার, যা আমাদের শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করে না; বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আখ চাষে ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে বাজারজাত করা যায় এবং ফলনও পাওয়া যায় বলে আখ চাষ করে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, আখ চাষে যেমন খরচ কম, তেমনি ভালো লাভবান হওয়া যায়। স্বল্প শ্রমে অধিক লাভের ফলে সে এখন আখ চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আখের চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়ে বেশ ভালো হয়েছে। তবে আখ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন, সেসব বিষয়ে মাঠপর্যায়ে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
এমএসএম / জামান