ঢাকা রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের লিচুর গ্রাম মুন্সিরহাটে বিক্রি জমজমাট


কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও photo কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ২৭-৫-২০২১ বিকাল ৫:৫২

ঠাকুরগাঁওয়ে লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার বাজারগুলোতে লিচু বিক্রি শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় লিচুর গ্রাম নামে পরিচিত পৌর শহরের মুন্সিরহাটে রাস্তার ধারে অস্থায়ীভিত্তিতে হাট বসেছে। হাটে ছোট নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সীরা লিচুর পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বিভিন্ন দামে বিক্রি করছেন লিচু। বৃহস্পতিবার (২৭ সে) সেখানে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের বিভিন্ন বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করে রাস্তার ধারে দোকান সাজিয়ে বসেছেন তারা। আর ক্রেতাও ভিড় করছেন প্রচুর।  

 


জানা গেছে, পৌর শহরের মুন্সিরহাট এলাকায় রাজা, বাদশাসহ বেশ কয়েকটি লিচুর বাগান রয়েছে। বাগানগুলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা চুক্তিভিত্তিক কিনেছেন। এরমধ্যে ব্যবসায়ী আজহারুল ইসলাম ১১টি বাগান কিনেছেন। বর্তমানে গোলাপী, চায়না-৩, মাদ্রাজি ও বোম্বে জাতের লিচু গাছ থেকে পাড়া শুরু হয়েছে। আর বাগানের চারপাশের এলাকার মানুষেরা বাগানে গিয়ে লিচু তুলে দিয়ে ও কুড়িয়ে ৫০০ থেকে -৭০০ লিচু সংগ্রহ করছেন প্রতিদিন। সেগুলো বাড়ির পাশেই মহাসড়কের এক ধারে বিক্রি করছেন বিভিন্ন দামে। এতে নারী, শিশু, যুবক, বৃদ্ধরা লিচুর মৌসুমি ব্যবসা করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।

লিচু বিক্রি করতে আসা মুন্সিরহাট গ্রামের ছোট শিশু হৃদয় বলে, বাগানে লিচু ভেঙে দিয়ে ৫০০ লিচু পেয়েছি। সেগুলো এখানে বিক্রি করছি। লিচু কিনতে আসা পৌর শহরের টিকাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা হুসনেয়ারা বলেন, এ সময়টাতে প্রতি বছর এখানে আসি। প্রতি ১০০ লিচু ১৫ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী খুব স্বল্পদামে ভালো লিচু পাওয়া যাওয়ায় এখানে কিনতে এসেছি।

 


এছাড়াও পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। এরমধ্যে পৌর শহরের কালীবাড়ী বাজার, বাসস্ট্যান্ড, ঠাকুরগাঁও রোড, মুন্সিরহাট, গোধুরী বাজারসহ জেলার অন্যান্য বাজারে গোলাপী, চায়না-৩, বোম্বে, মাদ্রাজি জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা যায়। প্রতি ১০০ গোলাপী জাতের লিচু বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে দেড়শ টাকায়। এক হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। এগুলোর মধ্যে  উৎপাদনকৃত চায়না-৩ জাতের লিচুর চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। এই লিচু খেতে যেমন স্বুস্বাদু তেমনি ছোট আঁটি ও মাংসে পরিপূর্ণ থাকায় বিক্রিও হয় প্রচুর।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় ৮৯৯ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর ফলন হয়েছে। এতে প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ০৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গোলাপী, মাদ্রাজি, চায়না-৩ জাতের লিচু বাজারে বিক্রি হতে শুরু করলেও আর কয়েকদিনের মধ্যেই অন্যান্য জাতের লিচুও বাজারে উঠবে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু হোসেন জানান, এ বছর লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। জেলার লিচু বাগান মালিকদের কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। লিচুতে এ বছর পোকামাকড় তেমন একটা নেই। করোনা পরিস্থিতির কারনে পরিবহনে কিছুটা সমস্যা থাকলেও ধীরে ধীরে তা স্বাভাকি হওয়ায় কৃষকরা লিচুর ভালো দাম পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমএসএম / জামান

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান

ভূরুঙ্গামারীতে নদীর বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

নরসিংদীতে সম্মানজনক বেতন ও এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ

দোহার-নবাবগঞ্জে পিসওয়ে হিউম্যান রাইটস্ সোসাইটির নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত