বগুড়ার আন্দিকুমড়া গ্রামের সাড়ে ৫০০ পরিবার পানিবন্দি
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার শাহ বন্দেগি ইউনিয়নের আন্দিকুমড়া গ্রামে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামের প্রায় সাড়ে ৫০০ পরিবার।
সরেজমিন পরিদশনে গেলে অসহায় মানুষগুলো আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। পানির ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পায়ে ঘা হয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। মনে হচ্ছে ৮০’র দশকের বন্যায় ন্যায় পানিবন্দি হয়ে আছি। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গৃহবন্দি অবস্থা আমাদের। উঠানের ভেতরে পানি দরজা ছুঁইছুঁই করছে। পানির মধ্যে দিয়েই এঘর-ওঘর এবং টয়লেটে যাতায়াত করছি। মুরগির ঘরও তলিয়ে গেছে। পুরাতন বাঁশের খুঁটি আর উপরে নতুন টিন দিয়ে আবার মুরগির ঘর তৈরি করেছি। দুঃখভারে এসব কথা জানালেন গেন্দু প্রামাণিক নামের এক বৃদ্ধ। শুধু গেন্দু প্রমাণিকই নন, সাঁকোর মুখ বন্ধ থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে ৫০০ পরিবার।
জানা যায়, উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের আন্দিকুমড়া গ্রামের পানি নিষ্কশনের জন্য একটি সাকো ছিল। সেই সাকোর মুখ বন্ধ করে দিয়ে দুই পাশে শাহাবুদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন বাড়ি করে বসবাস করার কারণে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। ফলে সাকোর উজানের গ্রাম ফুলতলা একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই এলাকার প্রায় সাড়ে ৫০০ পরিবার।
এ প্রসঙ্গে এলাকাবাসী মামুন, বাদশা, মোজাম্মেলসহ অনেকেই জানান, ফুলতলা দক্ষিণপাড়া ও নওদাপাড়ার প্রধান সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। বছরের পর বছর বর্ষাকালে আমাদের এ সমস্যায় ভুগতে হয়। ইদানীং সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। চুলা জ্বালানোর মতো কোনো ব্যবস্থা নেই, চুলা ডুবে গেছে। গোসলখানায় পানি উঠেছে। বাধ্য হয়ে বাইরের উঠানের এক পাশে অস্থায়ী গোসলের জায়গা করা হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষায় এই এলাকায় পানি জমে। তবে এবারের মতো এমন ভয়াবহ অবস্থা আগে কখনো হয়নি।
এসব পরিবারের মতোই একই অবস্থা বৃষ্টির পানিবন্দি প্রায় প্রতিটি পরিবার। চলাফেরার সমস্যা তো আছেই; রান্না, গোসল নিয়ে দুর্ভোগ হচ্ছে প্রচণ্ড। অধিকাংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারে রান্না হয় চুলায়। সাধারণত উঠানের এক প্রান্তে থাকে এসব মেটে চুলা। পানিতে চুলা ডুবে গেছে। যাদের সামর্থ্য আছে, তারা গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। যাদের গ্যাসের সিলিন্ডার কেনার সামর্থ্য নেই, এমন পরিবারে রান্নার কষ্ট প্রচণ্ড।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সাইদার রহমান সাকিব বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে আন্দিকুমড়া সাকো দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছিল। ওই সাকোর মুখে বাড়ি হয়ে পানি নিষ্কাশনের জায়গা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এজন্যই ফুলতলা এলাকায় পানির নিচে পড়ে থাকে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
এমএসএম / জামান
মধুখালীতে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সৌরভ গ্রেফতার
রায়গঞ্জের চান্দাইকোনায় পূবালী ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন
বেনাপোল ঘিবা সীমান্ত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে বাড়ছে বসন্তের কোকিলের আনাগোনা
বড়লেখায় প্রাথমিকে পাঠদানের অনুমিত পেল শিশু শিক্ষা একাডেমি
জামালপুরে কার্ভাড ভ্যানের চাপায় নিহত ৫, আহত ৩
মাগুরায় ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত
কুড়িগ্রামে কচাকাটা থানাকে উপজেলা বাস্তবায়ন করার দাবীতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার
নওগাঁয় যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
তারুণ্যের উৎসব ২০২৫: সন্দ্বীপে অনুষ্ঠিত হলো সমৃদ্ধি কর্মসূচির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ
পটুয়াখালীর জনদুর্ভোগ নিয়ে ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সংবাদ সম্মেলন
সুবর্ণচরে বয়সের তথ্য গোপন করে গ্রাম পুলিশে চাকরি করছেন আওয়ামিলীগ নেতা
Link Copied