ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪

খ্রিস্টভক্তদের জন্য ৪৮ ফুট উচ্চতার মা মারিয়ার মূর্তি নির্মাণ


হারুন অর রশিদ, নালিতাবাড়ী photo হারুন অর রশিদ, নালিতাবাড়ী
প্রকাশিত: ২০-৮-২০২২ দুপুর ৩:২১

দেশের রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের জন্য পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে স্থাপন করা হয়েছে ফাতেমা রানীর ধর্মীয় তীর্থস্থান। ধর্মীয় চেতনায় প্রতি বছর শান্তিপূর্ণভাবে তীর্থযাত্রা সুসম্পন্ন করায় প্রতি বছর এ তীর্থস্থানে দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। তীর্থস্থানটিকে আন্তর্জাতিক তীর্থস্থানে রূপান্তরিত করতে স্থাপন করা হয়েছে ৪৮ ফুট উঁচু মা মারিয়ার মূর্তি। এছাড়াও যীশু খ্রিস্টের দুটি বড় ভাস্কর্যও স্থাপন করা হয়েছে এখানে। 

জানা যায়, রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টভক্তদের দারির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৮ সালে পাহাড়ঘেরা মনোরম পরিবেশে তীর্থস্থানটি স্থাপন করা হয়। ময়মনসিংহ খ্রিস্টধর্ম প্রদেশের তৎকালীন বিশপ প্রয়াত ফ্রান্সিস এ. গোমেজ বারমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীকে ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান হিসেবে ঘোষণা করেন। 

এ তীর্থস্থানের ২ কি.মি পাহাড়ি টিলায় ক্রুশের পথ ও পাহাড়ের গুহায় স্থাপন করা হয়েছে মা মারিয়ার মূর্তি। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনব্যাপী বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়। এ সময় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিস্টভক্তরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। তীর্থ উৎসবে মহাখ্রিস্টযাগ, গীতি আলেখ্য, আলোর মিছিল, নিশিজাগরণ, নিরাময় অনুষ্ঠান, পাপ স্বীকার, জীবন্ত ক্রুশের পথসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

এদিন খ্রিস্টভক্তরা নিজেদের পাপ মোচনে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর মিছিলে অংশগ্রহণ করে প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি ক্রুশের পথ অতিক্রম শেষে মা মারিয়ার মূর্তির সামনের বিশাল প্যান্ডেলে সমবেত হয়ে নির্মল হৃদয়ের অধিকারিনী, ঈশ্বর জননী, খ্রিস্টভক্তের রানী, স্নেহময়ী মাতা ফাতেমা রানীর করকমলে ভক্তি-শ্রদ্বা জানান ও তার অকৃপণ সাহায্য প্রার্থনা করে থাকেন।

খ্রিস্টধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি মি. লুইস নেংমিনজা বলেন, ধর্মীয় চেতনায় দেশি-বিদেশি হাজার হাজার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে প্রতি বছর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হওয়ায় বর্তমানে এটি অন্তর্জাতিক মহাতীর্থস্থানের রূপ পেতে যাচ্ছে। প্রতি বছর ভিন্ নভিন্ন মূল সুরের ওপর ভিত্তি করে বাৎসরিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন, ভক্তদের আগমন বেড়ে যাওয়ায বর্তমানে এই তীর্থস্থানে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪৮ ফুট উচ্চতার ফাতেমা রানীর মা মারিয়ার মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বারমারী ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, এই তীর্থস্থানে ভিন্ন ভিন্ন মূল সুরে প্রতি বছর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এই স্থানটি খ্রিস্টানদের জন্য একটি পবিত্র ধর্মীয় স্থান। এখানে এসে খিস্টভক্তরা ধর্মীয় অনুভুতি জাগরিত করে বিভিন্ন প্রার্থনা করে থাকেন। এতে তাদের আত্মা প্রশান্তি পায়।

এমএসএম / জামান

শালিখায় তিলাওয়াতুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

বীজ কিনে প্রতারণার শিকার কৃষক শফিকুলের ১০ বিঘার ধানে চিটা

শিবচরে হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহাদাত গ্রেফতার

ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চার শ্রমিক নিহত

পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

শাজাহানপুরে বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত

পিরোজপুরে উদ্দীপনের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান

উলিপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু

মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ব্রহ্মপুত্র তীরের কাশফুলের খর: অর্থনৈতিক উৎসে পরিণত

ধামইরহাটে জর্ডানে নারী কর্মী পাঠাতে প্রশাসনের উদ্যোগে কর্মশালা ও জব ফেয়ার

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে ৭৮ লাখ চক্ষু পরীক্ষা ও ৪৫ লাখ লোকের চিকিৎসা করেছে অরবিস