চা শ্রমিকদের দৃষ্টি এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করে আসছেন চা শ্রমিকরা। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেও সেটা মানেনি সাধারণ শ্রমিকরা। চা শ্রমিকরা সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘ ১৭ দিন যাবত। এ দিকে গত বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে খবর আসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৭ আগস্ট) চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে সভা করবেন। শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হবে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস। ফলে চলমান এ আন্দোলন নিরসনে শনিবারের সভায় কী সিদ্ধান্ত হবে সে দিকে চা শ্রমিকদের দৃষ্টি। এ দিকে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে চা শ্রমিকদের ধর্মঘটের ১৭তম দিনে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) চা বাগানগুলোর কাজ বন্ধ থাকলেও শ্রমিকদের সভা-সমাবেশ বা বিক্ষোভের মতো কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি। বাগান মালিকদের সঙ্গে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে বসার ঘোষণার পর এক ধরনের নীরব ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা। অপরদিকে এবার ভরা মৌসুমে মজুরি বৃদ্ধির টানা ১৭ দিনের শ্রমিক আন্দোলনের ফলে শত শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে চা শিল্পে। টানা শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম দিকে সবগুলো চা বাগানে উত্তোলনকৃত কাঁচা চায়ের পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে না পারায় পঁচে ও শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া চা প্লান্টেশন এলাকা থেকে কচি চা পাতা উত্তোলন করতে না পারায় এগুলোও এক থেকে দেড় ফুট লম্বা হয়ে গেছে। এ পাতা আর চায়ের জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চা বাগান ব্যবস্থাপক বলেন, টানা ১৭ দিনের কর্মবিরতিতে ১৬৭টি চা বাগানের প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত সময়ে সমস্যার সমাধান করে চা শ্রমিকরা কাজে না ফিরালে চা শিল্প ধ্বংসের মুখে চলে যেতে পারে।
অন্যদিকে চা শ্রমিকরা জানান, তারা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি তখনই পান, যখন বাগানের নির্ধারিত দৈনিক ন্যূনতম ২৪ কেজি পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। ২৪ কেজির নিচে হলে মজুরিও অনুপাতে কম আসে। তবে সাধারণত ভরা মৌসুমে একজন শ্রমিক ৫০ কেজি পর্যন্ত পাতা তুলতে পারেন। কারণ গাছে তখন কচি পাতা বেশি থাকে। এ সময় আয়ও তাদের বেশি হয়।
বাংলাদেশ চা ছাত্র যুব পরিষদের নেতা মোহন রবিদাস বলেন, আন্দোলনরত চা শ্রমিকেরা মজুরির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘোষণা শুনতে চান। বাগান মালিকদের সঙ্গে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বসবেন, তাই প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে সভা-সমাবেশ ছাড়াই শুক্রবার ও শনিবার ধর্মঘট পালন করবেন শ্রমিকরা। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নির্বাহী উপদেষ্টা রামভজন কৈরী বলেন, ‘আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সবকিছু বিবেচনা করে একটি মানসম্মত মজুরি নির্ধারণ করবেন। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সাধারণ চা শ্রমিকেরা সেটাই মেনে নেবেন। ’
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত
Link Copied