ঢাকা শুক্রবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৫

সাহায্য না পেলে ঠাকুরগাঁওয়ের রাহা-রোজাকে বাঁচানো যাবে না


কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও photo কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ৪-৭-২০২১ রাত ৮:১০

থেলাসামিয়া রোগে আক্রান্ত দুই বোন রাহা আক্তার মরিয়ম (৫) ও আরফিন রোজা (২)। জন্মের পর থেকে তারা এ রোগে ভুগছে।  প্রতি মাসে তাদের দুজনকে রক্ত দিতে হয়। বর্তমানে সেটাও জোগাড় হচ্ছে না। কারণ রক্ত বিনামূল্যে পাওয়া গেলেও রক্ত দিতে আনুষঙ্গিক খরচগুলো জোগাড় করতে পারছেন না রাহা-রোজার দিনমজুর বাবা।

এই প্রতিবেদক যখন রাহা-রোজার বাড়ির সামনে তখন তাদের দাদির আকুতি, আমার নাতনি দুইটাকে বাঁচাও বাবা। ওদের মুখের দিকে আর তাকানো যাচ্ছে না। রক্তশূন্য মেয়েগুলোকে দেখে আর নিজেদের বাঁচতে ইচ্ছা করছে না। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহম্মদপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজু ইসলামের দুই মেয়ে তারা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গ্রামের একটি রাইস মিলে কাজ করেন রাহা রোজার বাবা রাজু ইসলাম। সেখান থেকে মাসে যা আয় করে তা দিয়ে মাসে একবারও ভালো তরকারি কেনা সম্ভব হয় না। অনেক সন্ধ্যা না খেয়েও থাকতে হয় তাদের। একটি টিনের ঘর, তাতেই গদাগদি করে থাকে তারা। দুই নাতির চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে ভাঙা একটি ইজিবাইক নিয়ে ছোটেন রাহা-রোজার বৃদ্ধ দাদা। ইজিবাইকটি সর্বোচ্চ চলে ২৫ কিলোমিটার। তাতে কোনোদিন আয় হয়, কোনোদিন আবার মেরামত করতেই সব টাকা চলে যায়।

স্থানীয়রা আরো জানান, রাহা-রোজার চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক আগেই সর্বস্বান্ত হয়েছে পরিবারটি। এখন গ্রামের দু-চার, দশজনের ওপর ভরসা করেই জীবন প্রদীপ বেঁচে আছে দুই বোনের। কিন্তু তাও করোনাকাল থেকে ঝিমিয়ে পড়েছে। দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যখন নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে, রাহা-রোজাকে সাহায্য করা গুটিকয়েক গ্রামবাসী তখন তাদের করণীয়বা আর কী? স্থানীয়রা বলছেন, সরকার থেকে যদি রাহা-রোজাকে সাহায্য করা যেত তাহলে নিষ্পাপ ফুলের মতো শিশু দুটিকে বাঁচানো সম্ভব।

রাহা-রোজার বাবা জানান, আমার সহায়-সম্বল যা ছিল তার সবই শেষ। আমার মেয়ে দুটির চিকিৎসার খরচ চলে এলাকার কিছু ভাইয়ের টাকায়। কিন্তু করোনাকালে তাও বন্ধ হয়ে গেছে। আমার আয় দিয়ে কোনোদিন এক কেজি মাছ বা মাংস কিনে অসুস্থ্য সন্তানগুলোকে খাওয়াতে পারিনি। নাতনিদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে না পেরে আমার অসুস্থ বাবা  ইজিবাইক নিয়ে রাস্তায় বের হন। কিন্তু করোনাকালে তিনিও এখন বেকার। আমার মেয়ে দুটিকে বাঁচাতে পারে শুধুমাত্র হৃদয়বানরা। আমার অর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। সেটা সরকারি হোক কিংবা ব্যক্তি থেকে। যদি তা না পাই তাহলে আমাকে নিজের কিডনি বেঁচে হলেও আমার সন্তানদের চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ ডাক্তার বলেছেন, উন্নত চিকিৎসা করালে আমার সন্তানরা ভালো হবে।

১১নং মোহম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোহাগ বলেন, শিশুদ্বয়ের সমস্যার কথা আমি শুনেছি। পরিবারটি অনেক গরিব। আমি আহ্বান করব হৃদয়বানদের এগিয়ে আসতে। সেই সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে একটি আর্থিক সাহায্যের আবেদন করতে আমি সুপারিশও করেছি।

এমএসএম / জামান

আশুলিয়ার মামলাবাজ গাজী নাছরিন, উপরে টিকটকার, ভেতরে আওয়ামীলীগার

কাপাসিয়ার টোক বিএনপির দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ডাসকো ফাউন্ডেশন: তানোর-গোদাগাড়ীতে ৮০ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ

বারহাট্টায় বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ী ও থ্রি-পিস জব্দ

জয়পুরহাটে ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী

কর্ণফুলীতে জমি বিরোধে ব্যবসায়ীকে মারধর, থানায় মামলা

‎ধোপাজান নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে জলপাই ও বিস্কুট খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী

‎মিরসরাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো

মেহেরপুরে শ্বশুর হত্যার দায় জামাতা আলমগীর হোসেনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

ধামরাইয়ে বিএনপি'র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

উলিপুরে আব্দুল খালেকের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলমের কবর জিয়ারতে মাধ্যমে হাটহাজারীতে মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারনা শুরু