ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

খুলনায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ৭ জন, কে হবেন বিজয়ী?


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ১-৯-২০২২ দুপুর ১১:১৫

দ্বিতীয় জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন খুলনার ৭ আওয়ামী লীগ নেতা। আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে আওয়ামী লীগই। দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যেও সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে জানতে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট ইসি সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ অক্টোবর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

২৩ অগাস্ট নির্বাচন কমিশন তিন পার্বত্য জেলা বাদ দিয়ে ৬১ জেলা পরিষদের ভোটের তফসিল ঘোষণা করে। এতে সারাদেশের ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত ৬৩ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি ভোট দেবেন।

১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতারা কেন্দ্রের পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে কারা প্রার্থী হচ্ছেন, তা নিয়ে এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা। যদিও আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দলের মধ্যে এ নিয়ে কোনো তৎপরতা নেই। বিএনপি আগেই এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ এবং খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত অধিকারী। বিগত নির্বাচনে শেখ হারুনুর রশীদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অজয় সরকার। এই নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তার কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে ছয়বার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছি। প্রার্থিতার বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত।

এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য ছয় নেতা হলেন- খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দেলওয়ারা বেগম।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত কুমার অধিকারী বলেন, দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অনুরোধ আসছে। আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা জানান, এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন তিনি।

অন্যদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান জানান, দল চাইলে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই এবং এ বিষয়ে তার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও খুলনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই কাজ করব।

অন্যদিকে, ২০১৬ সালের প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। এবার এই নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। একই কথা জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান।

তফসিল অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৮ সেপ্টেম্বর বাছাইয়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, এবারের নির্বাচন হবে জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০২২ অনুসারে। এতে প্রথমবারের সঙ্গে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের সংখ্যায় কিছু পার্থক্য হবে।আগে প্রতি জেলায় ১৫ জন সাধারণ সদস্য এবং পাঁচজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য থাকার বিধান ছিল। তা সংশোধন করে প্রত্যেক উপজেলায় (জেলার মোট উপজেলার সমান সংখ্যক) একজন করে সদস্য এবং চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠিত হবে।

তিনি আরো জানান, উপজেলার সংখ্যা যাই হোক, সংরক্ষিত নারী সদস্য দুজনের কম হতে পারবে না। ভোটাররা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট দেবেন। জেলা প্রশাসক এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা।

সংশোধিত আইন অনুযায়ী, এবার খুলনা জেলা পরিষদে ১৩ জন নির্বাচিত হবেন বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৭৮ জন। তাদের ভোটে একজন চেয়ারম্যান, নয়জন সাধারণ সদস্য এবং তিনজন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।

খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র, ৩১ কাউন্সিলর, ১০ সংরক্ষিত কাউন্সিলর, ৬৮ ইউপি চেয়ারম্যান, নয় উপজেলা চেয়ারম্যান, ১৮ ভাইস চেয়ারম্যান, সব সাধারণ ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ভোটার।

তথ্যমতে, জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার কেসিসির মেয়র, কাউন্সিলরসহ তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা। সে হিসাবে কেসিসি মেয়র, কেসিসির সাধারণ ওয়ার্ডের ৩১ জন কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের ১০ জন কাউন্সিলর, ৬৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৯ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ১৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ভোটার সংখ্যা ১৩৭। আর জেলা পরিষদের একজন চেয়ারম্যান এবং ১৫টি সদস্য পদে একটি কেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

এমএসএম / জামান

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত