সকালের সময় সেরা ১০ কর্পোরেট সংবাদ
১.ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি : বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
“আমরা ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি” জাকার্তায় এক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি অপশনগুলো আলোচনা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ৬-৭ সেপ্টেম্বর ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) কর্তৃক আয়োজিত ÔSOUTH SOUTH EXCHANGE: Integrating gender equality and social inclusion in climate budgeting and planning processes and innovative climate finance in the Asia-Pacific Region শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম Impact of Climate Change and Inclusive Financing : Perspective Bangladesh বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।দেশের বর্তমান জলবায়ু এবং বর্তমান বিশ্বমন্দা, জলবায়ু অর্থায়নের কার্যক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সাথে ইউরোপ-আমেরিকাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা থেকেই বোঝা যায় প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী। মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ড, জীবাশ্ম জ্বালানীর অত্যাধিক ব্যবহার, বন ধ্বংস, পানিসম্পদ বিনষ্টসহ নানাভাবে প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং প্রকৃতি এসব থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সপ্তম মোস্ট ভালনারেবল দেশ এবং বাংলাদেশকে বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্রে পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১৫ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন অথবা হওয়ার শঙ্কায় আছেন। মাটির লবণাক্ততা এবং পানির অভাবসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি এবং অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট পলিসি সমূহ যেমন ১৯৯৫ এর পরিবেশ রক্ষা আইন, ২০১০ এর জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বৈদেশিক এবং নিজস্ব অর্থ সহায়তায় সম্পাদিত কার্যক্রমগুলো এবং এর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাসমূহ ব্যাখ্যা করেন।
২.‘পুঁজিবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো প্রয়োজন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে নারীদের রয়েছে অনেক অবদান। কিন্তু শেয়ারবাজারে নারী বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ এখনও সীমিত। এজন্য শেয়ারবাজারে নারীদের সংশ্লিষ্টতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী নারী বিনিয়োগকারীদের জন্য বিনিয়োগ শিক্ষা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।শেখ শামসুদ্দিন বলেন, নারী বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার সম্পর্কে বিশেষায়িত ধ্যান-ধারণা ও প্রশিক্ষণ প্রদান প্রয়োজন। আমরা তাদের সহযোগিতা করতে চাই এবং শেয়ারবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের আগ্রহকে দৃঢ় ও নিরাপদ করতেই বিএসইসি’র প্রশিক্ষণ কর্মশালা এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি অংশগ্রহণকারী নারী বিনিয়োগকারীদের অভ্যর্থনা জানান এবং তারা যেন সফল্য অর্জন করতে পারেন সেই আশা ব্যক্ত করে কর্মশালার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি বিএসইসি’র কমিশনার মো. আব্দুল হালিম বলেন, নারীদেরকে বাদ দিয়ে জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। বাংলাদেশে সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে। নারী এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়ার মাধ্যমে বৈষম্য হ্রাস করতে হবে।
নারীদের কাছে থাকা সঞ্চয় এবং পুঁজির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট পলিসি নির্ধারণে নারীদের অগ্রাধিকারের কথাটি বিবেচনায় রাখা হবে।কর্মশালায় বিএসইসির পরিচালক ফারহানা ফারুকী ‘ঋঁহফধসবহঃধষ ড়ভ ঋরহধহপরধষ খরঃবৎধপু’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন।
৩.দাম বৃদ্ধির শীর্ষে ওরিয়ন ফার্মা
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার দাম বৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১০ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ। এদিন শেয়ারটি সর্বশেষ ১১৭ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, কোম্পানিটি ১৩ হাজার ১৭৮ বারে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩টি শেয়ার লেনদেন করে। দাম বৃদ্ধির তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেড। আজ কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা বা ৯.৮৬ শতাংশ। শেয়ারটি সর্বশেষ ১৯১ টাকা ৬০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। বৃদ্ধির তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাডভেন্ট ফার্মা লিমিটেড। বুধবার কোম্পানিটির ৩০ পয়সা বা ৯৯ শতাংশ কমেছে।দাম বৃদ্ধির তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ওরিয়ন ইনফিউশন, বিকন ফার্মা, ইবনে সিনা, বেক্সিমকো ফার্মা, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, কোহিনুর কেমিক্যাল ও সেন্ট্রাল ফার্মা লিমিটেড।
৪.রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর করা যাবে
নিজস্ব প্রতিবেদক
এক ব্যাংকের মাধ্যমে রপ্তানি আয়ের অর্থ এখন থেকে অন্য ব্যাংকেও স্থানান্তর করা যাবে। এ ধরনের অর্থে কেবল রপ্তানিকারকের আমদানি দায় পরিশোধ ও ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া রপ্তানি আয়ের স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণের সময় ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩০ দিন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, একজন ব্যবসায়ী একাধিক ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করে থাকেন। তাঁর হয়তো রপ্তানি হচ্ছে এক ব্যাংকের মাধ্যমে। তবে রপ্তানিতে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি করছেন হয়তো আরেক ব্যাংকের মাধ্যমে। আবার তিনি হয়তো কম সুদের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ নিয়ে আরেক ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি দায় পরিশোধ করেছেন। তবে এক ব্যাংকের রপ্তানি আয় অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের সুযোগ ছিল না। এখন এ সুযোগ দেওয়া হলো।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয়ের মূল্য সংযোজন অংশ ৩০ দিন পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত রপ্তানি আয়ে নিজ ব্যাংকের আমদানি দায় এবং বাল্ক্ক আকারে আমদানি দায় পরিশোধে ইডিএফ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
ডলার সংকটের কারণে গত ২৯ মে এক সার্কুলারের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন অংশ পরবর্তী কর্মদিবসে নগদায়নের জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর রপ্তানিকারকদের নিজের আয় ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজনের সময় আবার বাড়তি দরে ডলার কিনতে হচ্ছিল। এর ফলে বিনিময়জনিত লোকসানে পড়ছিলেন তাঁরা। দেখা যায়, রপ্তানি বিল নগদায়নের সময় হয়তো ১০০ টাকা পাচ্ছেন, কিন্তু কোনো পণ্য আমদানির জন্য হয়তো বাজার থেকে ১০৮ টাকায় কিনছেন। যে কারণে গত ৩ আগস্ট এক নির্দেশনার মাধ্যমে রপ্তানি আয়ের স্থানীয় মূল্য সংযোজন অংশ ১৫ দিন পর্যন্ত ধরে রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। এখন সে সুযোগ আরও বাড়ানো হলো। এতে রপ্তানিকারক নিজের আয়ে নিজের দায় পরিশোধের সুযোগের ফলে বিনিময়জনিত লোকসানে পড়তে হবে না।
৫.ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর রূপালী ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। জনতা ব্যাংকের পর ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে রূপালী ব্যাংকও। ইতোমধ্যে ব্যাংকটির চারজন ঋণখেলাপিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে জনতা ব্যাংকের পাঁচজন ঋণখেলাপি গ্রেফতার হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। বিশেষ করে ইচ্ছাকৃত ও প্রভাবশালী ঋণখেলাপি নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে ব্যাংকগুলো। তাদের মতে, ঋণখেলাপিদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ, তাদের ছাড় দিলে ভালো গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
জানা যায়, রূপালী ব্যাংকের টিসিবি ভবন করপোরেট শাখার দীর্ঘদিনের খেলাপি গ্রাহক এনডি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা জামানসহ চারজনকে সম্প্রতি গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এনডি গ্রুপের কাছে ৪৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা দীর্ঘদিন ধরে অনাদায়ি ছিল। ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ আদায়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো ধরনের সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করা হয়। অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩-এর ৩৪(১) ধারা মোতাবেক ৬ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ প্রদান করা হয়। এরপর দায়ীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৭৫ ধারায় অর্থজারি মামলা (৩০৬/২০২১)-এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ আগস্ট তুরাগ থানা পুলিশ এনডি গ্রুপের ঋণের জামিনদার আলমগীর হোসেন, মাহবুব আলম ও এইচএম শহীদুল আলমকে (মানিক) গ্রেফতার করে। এরপর ৩ সেপ্টেম্বর অপর আসামি মাহমুদা জামানকে তার নিজ বাসা ক্যান্টনম্যান্ট আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করে খিলক্ষেত থানা পুলিশ। মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদালত এনডি গ্রুপের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া যে কোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন আরও কয়েকজন খেলাপি। গ্রেফতার এড়াতে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, আছেন আত্মগোপনেও।
জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যে কোনো মূল্যে ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অঙ্ক কমিয়ে আনা হবে এবং ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নীতি অব্যাহত থাকবে।
ঋণের নথি পর্যালোচনায় জানা যায়, এনডি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাহমুদা জামান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আহাদুজ্জামান মূলত গার্মেন্ট ব্যবসায়ী। মেয়াদি ঋণ, সিসি (হা), এলটিআর, ফোর্সড লোন ও কার লোন বাবদ বিভিন্ন ঋণের বর্তমান স্থিতি প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গ্রুপটির অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এনডি প্রিন্টিং অ্যান্ড এমব্রয়ডারি লিমিটেড, এনডি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এনডি নিট কম্পোজিট লিমিটেড, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহাদুজ্জামানের নামে (কার লোন) এবং পরিচালক মাছুমুজ্জামানের নামে (কার লোন) রূপালী ব্যাংকে মোট ১০টি ঋণ হিসাব খোলা আছে। বিপুল অঙ্কের টাকা এসব হিসাবের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। বারবার ঋণ পুনঃতফশিল করেও টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ঋণের দুই দফা পুনঃতফশিল করা হয়। প্রথম পুনঃতফশিল করা হয় ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর। ২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর আবার ঋণ পুনঃতফশিল করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ ঋণগুলো খেলাপি হয়ে যায়। খেলাপির সময় ঋণের অঙ্ক দাঁড়ায় ৪৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বর্তমানে গ্রুপটির নামে খেলাপি ঋণ স্থিতি ৪৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ঋণের নথি পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ একটি মেয়াদি ঋণের স্থিতি ছিল ৭ কোটি ৬২ লাখ, একই সময়ে দ্বিতীয় মেয়াদি ঋণের স্থিতি ২৯ কোটি ৪৭ লাখ, ফোর্সড লোন স্থিতি ৩ কোটি ৫৪ লাখ, ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর একটি সিসি (হা) ঋণ স্থিতি ১ কোটি ৮৬ লাখ, একই সময়ে এলটিআর ঋণ স্থিতি ২ কোটি ৩৪ লাখ এবং ২০১৩ সালের ৩১ অক্টোবর গাড়ি ঋণ (কার লোন) স্থিতি ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।রূপালী ব্যাংক সূত্র জানায়, বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও যেসব গ্রাহক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ঋণের টাকা দীর্ঘদিন পরিশোধ করছেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
৬.চট্টগ্রামে ভারতের ট্রানজিট পণ্য, যাবে আসাম
চট্টগ্রাম ব্যুরো
বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) পরিবহনের জন্য সে দেশের ট্রানজিট কনটেইনারবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার ‘এম/ভি ট্রান্স সামুদেরা’ নামের জাহাজটি বন্দরে পৌঁছায়।এটি ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করার চুক্তি কার্যকরের ট্রায়ালের অংশ। এই ট্রায়াল কার্যক্রম চট্টগ্রাম-শেওলা-সুতারকান্দি রুটে টাটা স্টিল এবং সিজে ডার্কল লজিস্টিকস লিমিটেড কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে ।
চুক্তির অধীনে পণ্য পরিবহনের জন্য আটটি অনুমোদিত রুট রয়েছে। এগুলো হলো চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে আখাউড়া হয়ে আগরতলা,চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে তামাবিল হয়ে ডাউকি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে শেওলা হয়ে সুতারকান্দি, চট্টগ্রাম/মোংলা বন্দর থেকে বিবিরবাজার হয়ে শ্রীমন্তপুর এবং এর বিপরীতে চারটি রুটে।২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় চুক্তিটি কার্যকর করার জন্য একটি এসওপি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির অধীনে চট্টগ্রাম-আখাউড়া-আগরতলা রুটে প্রথম ট্রায়াল রান ২০২০ সালের জুলাই মাসে সফলভাবে পরিচালিত হয়। যেখানে চারটি কন্টেইনার, দুটি টিএমটি স্টিল এবং শস্যদানা, কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে আইসিপি আগরতলায় পাঠানো হয়েছিল।
এই চুক্তির অধীনে পণ্যের ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় উভয়ই কমিয়ে দেবে। এটি বাংলাদেশের লজিস্টিকস এবং সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির (বিমা, পরিবহন এবং ফিন্যান্স ইন্ডাস্ট্রি ইত্যাদি) জন্য অর্থনৈতিক লাভও সৃষ্টি করবে, কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য শুধু বাংলাদেশের ট্রাক ব্যবহার করা হবে।আগামী কিছুদিনের মধ্যে ডাউকি-তামাবিল-চট্টগ্রাম রুটে একটি ট্রায়াল রান পরিচালনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে চুক্তির অধীনে অনুমোদিত সমস্ত রুটে ট্রায়াল রান পরিচালনার সমাপ্তি হবে। এই বছরের শুরুর দিকে দুই সরকারের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, এই চুক্তির অধীনে পণ্যের পরিচালনা এবং নিয়মিত চলাচলের জন্য এই ট্রায়াল রানসমূহ পরিচালনা সমাপ্তির পরে বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় স্থায়ী আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
৭.দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
মূল্যবৃদ্ধির জাঁতাকল ও অর্থনীতির চরম সংকটেও আয় কমেনি বিত্তশালীদের। বাড়ছে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা। ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭টিতে। তিন মাস আগে ছিল এক লাখ ৩ হাজার ৫৯৭টি। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসেই দেশে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৪ হাজার ৮৬০ জন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২২ সালের জুন ভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটি ৯৫ লাখ ১৪ হাজার ৫১৩টি। যাদের হিসাবে জমা ছিল ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৭৩ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৩টি। তাদের হিসাবে জমা ছিল ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা। এদের মধ্যে এক লাখ ৮ হাজার ৪৫৭জন গ্রাহকের আমানতের পরিমাণ কোটি টাকার উপরে।
এছাড়া ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১২ কোটি ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৬টি। সে সময় তাদের হিসাবে জমা ছিল ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা।প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের শুরুতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে এর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে। আর এক বছর আগে ২০২১ সালের জুনে কোটি টাকার বেশি হিসাবের সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৯১৮টি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে ৮ হাজার ৫৩৯টি, ছয় মাসে বেড়েছে ৬ হাজার ৪৮১টি ও তিন মাসে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৬০টি।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আবার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কতটি ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবে, তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা নেই। ফলে এক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির একাধিক হিসাবও রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার কোটি টাকার হিসাবও রয়েছে।
২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার ৮৪১টি। যাদের হিসাবে জমা টাকার পরিমাণ এক লাখ ৭৬ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির মধ্যে রয়েছে ১১ হাজার ৮৬৫টি হিসাব। তাদের অ্যাকাউন্টে টাকার পরিমাণ ৮৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।এছাড়া ১০ কোটি এক টাকা থেকে ১৫ কোটির টাকার হিসাব রয়েছে তিন হাজার ৭৬৩টি, ১৫ কোটি এক টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৭১৯টি, ২০ কোটি এক টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ১৫১ টি, ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে হিসাব রয়েছে ৮৮৩ জনের, ৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে ৫০২টি এবং ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৩০৭ আমানতকারীর হিসাব। ৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ৬২১টি। আলোচিত সময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হিসাবের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৮০৫ টিতে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল ৫ জন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে ২ হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে ৫ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে ৮ হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালে ডিসেম্বর শেষে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টিতে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কোটিপতি হিসাবের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ এক হাজার ৯৭৬টিতে পৌঁছায়।
৮.এলপিজির দাম বাড়ল ১৬ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানো হয়েছে। ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ১৬ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ টাকা। বুধবার সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এলপিজির নতুন এ দাম ঘোষণা করে বিইআরসি। চলতি মাসের জন্য এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আজ বুধবার দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সৌদি আরামকো কোম্পানির নতুন দাম অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ব্যতীত প্রতি কেজি এলপিজির মূল্য ৯৬ টাকা ৪৩ পয়সা ও মূসকসহ ১০২ টাকা ৮৮ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির মূসকসহ দাম ১ হাজার ২৩৫ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে প্রতি মাসে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় গেল আগস্টে এলপিজির দাম কেজিতে প্রায় ৩ টাকা কমানো হয়েছিল। তবে আগস্টে কমলেও জুলাই মাসে এলপিজির দাম বেড়েছিল কেজিতে ১ টাকা। আরও আগে গত ৫ মে এলপিজির দাম কমিয়েছিল বিইআরসি। সেই সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ছিল এক হাজার ৩৩৫ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এলপিজি দাম সমন্বয় করা হলেও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম মানে না ব্যবসায়ীরা। খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয় প্রতিটি এলপিজি সিলিন্ডার। ফলে এলপিজি ব্যবহারে বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাকে আর মুনাফা লুটছে কোম্পানি, ডিলার আর খুচরা ব্যবসায়ীরা।
৯.আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুই মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম সিকদারের বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ’র আদালতে আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এই দুটি মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম মামলার বিষয় জানান। একটি মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর ৫ ও ৭ জুন আব্দুল্লাহ আল মামুন তিনটি মোটর সাইকেল ক্রয়ের অর্ডার দেন। কিন্তু পরবর্তীতে অর্ডারকৃত মোটর সাইকেল দিতে ব্যর্থ হয়ে আসামি বাদীকে ন্যাশনাল ব্যাক লিমিটেড গুলশান কর্পোরেট শাখার আলেশা মার্টের নামে থাকা চার লাখ ২৩ হাজার টাকার দুটি চেক প্রদান করেন।
সেই চেক নগদায়নের জন্য বিগত ২০ জুন বাদীর নিজ নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক ইব্রাহীমপুর শাখায় জমা দিলে তা ডিজঅনার হয়। এরপর গত ১৭ জুলাই আসামির প্রতি লিগ্যাল নোটিশ ইস্যু করা হলেও টাকা না পাওয়ায় এই মামলা করেন।
অপর মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর ২৪ জুন তিনটি মোটর বাইক ক্রয়ের অর্ডার দেন। অর্ডারকৃত মোটর সাইকেল দিতে ব্যর্থ হয়ে আসামি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আলেশা অ্যাগ্রো লিমিটেডের নামে ইসলামী ব্যাংক বনানী শাখার অ্যাকাউন্টের তিন লাখ ৫২ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন। চেকটি নগদায়নের জন্য গত ২৮ জুলাই বাদীর নিজ নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক ইব্রাহীমপুর শাখায় জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়।এরপর টাকা পরিশোধে গত ৩ সেপ্টেম্বর আসামির প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। এতেও ফল না পেয়ে বাদী আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
১০. বিদ্যুৎ-জ্বালানির সাশ্রয়ে স্প্রেডার গাইডলাইন পালনের নির্দেশ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
এবার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহারে সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্প্রেডা) গাইডলাইন প্রতিপালন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে।বিদ্যুৎ-জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহার প্রসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্পেডা) প্রণীত ‘সরকারি অফিস ভবনে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইন’ ও ‘অফিস ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র জ্বালানি সাশ্রয়ী ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিদর্শনের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্পেডার বিদ্যুৎ-জ্বালানির দক্ষ ব্যবহার সংক্রান্ত গাইডলাইনে লাইটিংয়ে ক্ষেত্রে দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের সেট তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপর রাখতে বলা হয়েছে। তাছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র প্রতি বছরে কমপক্ষে একবার সার্ভিস করা, ফ্যানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনে তা বন্ধ রাখা, ল্যাপটপ ডেস্কটপের ক্ষেত্রে পাওয়ার সেভিং মুডে রাখা, অপ্রয়োজনে যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখাসহ জ্বালানি সাশ্রয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা গাইডলাইনে দেওয়া হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার