ঢাকা বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫

অন্ধ সংগঠনের সম্পদ নয়-ছয়


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০-১০-২০২২ দুপুর ১২:৫১

জীবনের হিসাব মেলাতে গিয়ে কোথায় যেন তাল কেটে যায়, অনেক প্রাপ্তির মাঝে থাকে ব্যর্থতার রোদন। ঠিক তেমনিভাবে দেশজুড়ে সামাজিক সংগঠনগুলোতে চলে সরকার থেকে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকাশ। দুর্নীতির গন্ধ এলে সংগঠনগুলোতে হয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের তদন্ত। তদন্তে উল্লেখ করা হয়, সরকারি অনুদানে পরিচালিত সামাজিক সংগঠনে দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের থাকা সমীচীন নয়। হয় দেনদরবার। আবারো হয় অবৈধ কমিটি এবং চলতে থাকে দুর্নীতি।

এরকম এক সংগঠনের নাম ইসলামিক ব্লাইন্ড মিশন। রাজধানীর মিরপুর-১ থেকে ১৯৮২ সালে ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি নিয়ে অন্ধদের পুনর্বাসন করতে ভিশন-মিশন নিয়ে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি, যার রেজি নং ঢ-০১১৪৫। সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত হয় নুরুল ইসলাম খান, সেক্রেটারী হন তৌহিদুল আলম হুসাইনি।

মিরপুর-১-এর আল কামাল হাউজিং সোসাইটিতে ১৯৯০ সালে সরকারি অনুদানে অন্ধদের কল্যাণে সেক্রেটারি তৌহিদুল আলম হুসাইনি ৫ কাঠা জমি ক্রয় করেন, যার বর্তমান মূল্য ৩ কোটি টাকা। ১৯৯৩ সালে সংগঠনটিতে প্রথম অভিযোগ আসে সেক্রেটারি তৌহিদুল আলম হুসাইনি সরকারি চাকরিরত অবস্থায় তিনি সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব নিতে পারেন না। এর পরপরই  নয়-ছয় হয় সরকারি অনুদানে অন্ধদের জন্য কেনা ব্রেইল মেশিনের টাকা। তৈরি হয় ব্রেইল মেশিন আমদানির নকল কাগজপত্র, কেনা হয় নষ্ট ব্রেইল মেশিন।

নানা অভিযোগে তৌহিদুল আলম হুসাইনি পদত্যাগ করেন এবং স্বপদে নিয়ে আসেন নিজ স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে। পর্যায়ক্রমে ছেলেকেও অন্তর্ভুক্ত করেন সংগঠনে। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পরপর নতুন কমিটি হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৫ দেয়া হয় নতুন কমিটি। ২০১৫ সালের কমিটিতে সভাপতি পদে অন্তর্ভুক্ত হন ডক্টর এনাম এবং আবারো সেক্রেটারি  পদে আসেন তৌহিদুল আলম হুসাইনি।

সংগঠনের অর্থ আত্মসাতে বাধাপ্রাপ্ত হলে সাংগঠনিক বলে ডক্টর এনামসহ কিছু সদস্যের সদস্যপদ বাতিল করেন সেক্রেটারি তৌহিদুল আলম হুসাইনি। সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে  সরিয়ে নেন মোটা অংকের অর্থ এবং বদলে ফেলেন সংগঠনের নাম। নতুন নাম রাখা হয় সেন্টার ফর এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড ইকুয়্যাটি ফর ডিজএ্যবল্ড (সিড)। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয় সংগঠনের সকল কার্যক্রম। আবাসিক বস্তি বানিয়ে সংগঠনের নামে কেনা জমি থেকে আদায় করা হয় ভাড়া। দুর্নীতিবাজ তৌহিদুল আলমের ভাড়া আদায়ের সহযোগী হয় সংগঠনটির অফিস সহায়ক মোতালেব। মোতালেব পরিবারসহ সংগঠনের জমিতে বসবাস করে আসছে  ১৯৯৩ সাল থেকে।

অনুসন্ধানের শেষে তৌহিদুল আলম হুসাইননির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান, সংগঠনের আয়-ব্যয় সমান সমান। যা ভাড়া  আসে তা কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতায় খরচ হয় এবং সংগঠনের মামলা চলমান রাখতে খরচ হয়। আর এখন তো ১ টাকা অনুদান আনতে ৭৫ পয়সা ঘুষ দেয়া লাগে।

নানাবিধ কথাবার্তার একপর্যায়ে তৌহিদুল আলম হুসাইনি এবং অফিস সহকারী মোতালেব ম্যানেজ করতে চান অনুসন্ধানী টিমকে।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা সমাজসেবার উপ-পরিচালক রকনুল হক জানান, আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, যার পরিপ্রেক্ষিতে তসন্ত কার্যক্রম শুরু করব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। 

এমএসএম / জামান

তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা