সাটুরিয়ায় খামারির চোখে সাফল্যের আলো

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গরু-মহিষের খামার করে ভবিষ্যত সাফল্যের আলো দেখতে পাচ্ছেন খামারি মো. আবু তাহের। তিনি এবার কোরবানির ঈদের হাটের জন্য প্রস্তুত করেছেন ১৪ টি মহিষ ও ৮টি ষাঁড়। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রদ্ধতিতে পালিত এসব মহিষ ও ষাঁড় ঈদের বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে জানান স্থানীয়রা। খামারের মালিক আবু তাহের প্রতিটি মহিষের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছেন সাড়ে তিন লাখ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিটি ষাঁড় দুই থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করবেন বলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান। তবে লগডাউনের কারণে হাট-বাজার বন্ধ থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী তার খামারে গরু-মহিষ দেখতে আসছেন। অনেক ব্যবসায়ী খামারের এসব গরু-মহিষের বিভিন্ন রকম দাম হাঁকাচ্ছেন।

শুক্রবার (৯ জুলাই)দুপুরে উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের নাসুরপুর গ্রামে অবস্থিত আবু তাহের এর খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারের এক সারিতে শুধু মহিষের পাল এবং অন্য সারিতে শুধু ষাঁড় গরু। দুপুরের খাবার খেয়ে প্রায় সব মহিষ ও গরুগুলো শুয়ে আছে। তাদের মাথার উপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। বিদ্যুত না থাকায় জেনারেটর ব্যবহারের মাধ্যমে এসব পাখা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার চারদিক থেকে আসছে প্রাকৃতিক কোমল বাতাস। আরাম পেয়ে তাই ঘুমিয়ে পরেছে এসব গরু মহিষ। পাশেই দেখা যায় দুজন লোক খামারের ভেতর কাজ করছেন। একজন পানি দিচ্ছেন অন্যজন খামার পরিস্কার করছেন। এরা দুজন ২৪ ঘন্টায় খামারের কাজে নিয়োজিত থাকেন। এরাই সর্বক্ষণ খামারের এসব গরু মহিষের দেখাশুনা করেন। খামারী আবু তাহের বলেন, আমার বাপ দাদার পুরাতন ব্যবসায় হলো তাঁতের ব্যবসা। আমি আগে তাঁতের ব্যবসায় করতাম কিন্তু লহডাউনের কারণে আমার অনেক লোকসান হয়। সেজন্য আমি গরু মহিষের খামার করার পরিকল্পনা করে। প্রথমে ২০ টি মহিষ নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম কিন্তু তখন আমার বিশ লক্ষ টাকা লোকসান হয়। পরে ব্রাক ও এনজিও থেকে ঋন নিয়ে পুণরায় আবার খামার শুরু করি। দুই মাস পালন করার পর বর্তমানে আমার খামারের অবস্থা অনেক ভাল। আমি আশা করছি যদি দেশের বাহির থেকে কোন গরু মহিষ দেশে আমদানি করা না হয় তাহলে আমি আমার খামারের গরু মহিষ বিক্রি করে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভালই লাভবান হতে পারবো।

তিনি আরো বলেন, আমার খামার দেখাশুনার জন্য ১৩ হাজার টাকা করে মোট ২৬ হাজার টাকা বেতনে দুজন লোক রেখেছে। যারা সর্বক্ষণ আমার খামারের দেখাশুনা করেন। এছাড়াও গরু মহিষের কোন অসুখ বিসুখ সহ যাবতীয় সমস্যায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন স্যার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম স্যার সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন বলেন, খামারী আবু তাহের একজন আত্মনির্ভশীল ও ধৈর্যশীল কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি তার ভবিষ্যত সফলতা ফিরিয়ে আনতে আত্ম প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন। বর্তমানে তিনি তার খামারের গরু মহিষ বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। তার সফলতা দেখে দেশের অন্যন্য উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন।
এমএসএম / জামান

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ

জয়পুরহাটে ব্র্যাকের উদ্যোগে ১৩৯ জন গ্রাহকের মাঝে তেলাপিয়া মাছের পোনা বিতরণ
Link Copied