ঢাকা শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

সাটুরিয়ায় খামারির চোখে সাফল্যের আলো


হৃদয় মাহমুদ রানা, মানিকগঞ্জ photo হৃদয় মাহমুদ রানা, মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ৯-৭-২০২১ দুপুর ৩:২৫
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গরু-মহিষের খামার করে ভবিষ্যত সাফল্যের আলো দেখতে পাচ্ছেন খামারি মো. আবু তাহের। তিনি এবার কোরবানির ঈদের হাটের জন্য প্রস্তুত করেছেন ১৪ টি মহিষ ও ৮টি ষাঁড়। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রদ্ধতিতে পালিত এসব মহিষ ও ষাঁড় ঈদের বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে বলে জানান স্থানীয়রা। খামারের মালিক আবু তাহের প্রতিটি মহিষের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করেছেন সাড়ে তিন লাখ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এছাড়া প্রতিটি ষাঁড় দুই থেকে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করবেন বলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে জানান। তবে লগডাউনের কারণে হাট-বাজার বন্ধ থাকায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। দূর-দূরান্ত থেকে ইতোমধ্যে অনেক ব্যবসায়ী তার খামারে গরু-মহিষ দেখতে আসছেন। অনেক ব্যবসায়ী খামারের এসব গরু-মহিষের বিভিন্ন রকম দাম হাঁকাচ্ছেন। 
 
 
শুক্রবার (৯ জুলাই)দুপুরে উপজেলার দিঘলীয়া ইউনিয়নের নাসুরপুর গ্রামে অবস্থিত আবু তাহের এর খামারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খামারের এক সারিতে শুধু মহিষের পাল এবং অন্য সারিতে শুধু ষাঁড় গরু। দুপুরের খাবার খেয়ে প্রায় সব মহিষ ও গরুগুলো শুয়ে আছে। তাদের মাথার উপর ঘুরছে বৈদ্যুতিক পাখা। বিদ্যুত না থাকায় জেনারেটর ব্যবহারের মাধ্যমে এসব পাখা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে আবার চারদিক থেকে আসছে প্রাকৃতিক কোমল বাতাস। আরাম পেয়ে তাই ঘুমিয়ে পরেছে এসব গরু মহিষ। পাশেই দেখা যায় দুজন লোক খামারের ভেতর কাজ করছেন। একজন পানি দিচ্ছেন অন্যজন খামার পরিস্কার করছেন। এরা দুজন ২৪ ঘন্টায় খামারের কাজে নিয়োজিত থাকেন। এরাই সর্বক্ষণ খামারের এসব  গরু মহিষের দেখাশুনা করেন। খামারী আবু তাহের বলেন, আমার বাপ দাদার পুরাতন ব্যবসায় হলো তাঁতের ব্যবসা। আমি আগে তাঁতের  ব্যবসায় করতাম কিন্তু লহডাউনের কারণে আমার অনেক  লোকসান হয়। সেজন্য আমি গরু মহিষের খামার করার পরিকল্পনা করে। প্রথমে ২০ টি মহিষ নিয়ে খামার শুরু করেছিলাম কিন্তু তখন আমার বিশ লক্ষ টাকা লোকসান হয়। পরে ব্রাক ও এনজিও থেকে ঋন নিয়ে পুণরায় আবার খামার শুরু করি।  দুই মাস পালন করার পর বর্তমানে আমার খামারের অবস্থা অনেক ভাল। আমি আশা করছি যদি দেশের বাহির থেকে কোন গরু মহিষ দেশে আমদানি করা না হয় তাহলে আমি আমার খামারের গরু মহিষ বিক্রি করে আগের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ভালই লাভবান হতে পারবো।
 
 
তিনি আরো বলেন, আমার খামার দেখাশুনার জন্য ১৩ হাজার টাকা করে মোট ২৬ হাজার টাকা বেতনে দুজন লোক রেখেছে। যারা সর্বক্ষণ আমার খামারের দেখাশুনা করেন। এছাড়াও গরু মহিষের কোন অসুখ বিসুখ সহ যাবতীয় সমস্যায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন স্যার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম স্যার সার্বিকভাবে সহযোগীতা করেছেন। 
 
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন বলেন, খামারী আবু তাহের একজন আত্মনির্ভশীল ও ধৈর্যশীল কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি তার ভবিষ্যত সফলতা ফিরিয়ে আনতে আত্ম প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন। বর্তমানে তিনি তার খামারের গরু মহিষ বিক্রি করে অনেক লাভবান হতে পারবেন। তার সফলতা দেখে দেশের অন্যন্য উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হবেন। 

এমএসএম / জামান

কেশবপুরে সাংবাদিক সোহেল পারভেজ কে সন্ত্রাসী কতৃক হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

ধামইরহাট পৌরসভার আয়োজনে জলবায়ু কঠিন বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা সভা

মামলা তদন্তকারী শ্রেষ্ঠ অফিসার হলেন এসআই আতাউল মাহমুদ

সিংগাইরে উত্তর বকচরে ডা: জামাল সুপার মার্কেটের যাত্রা শুরু

বড়লেখায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে: বাউবি উপাচার্য

ঘোড়াঘাটে ১৯২৫হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেঃটন

শেকৃবিতে আরও ৯ শিক্ষকের একাডেমিক দায়িত্ব সাময়িক স্থগিত

চিলমারীতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ১০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক কারবারি গ্রেফতার

রায়গঞ্জে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার

মানিকগঞ্জে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের দেয়ালের মাটি ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

রৌমারীতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই, তবুও সরকারি বই বিতরণ