খুলনা জেলা পনিষদ নির্বাচন : জয়ের দ্বারপ্রান্তে শেখ হারুন

আগামী পরশু (১৭ অক্টোবর) খুলনা জেলা পরিষদের ভোট। শেষ মুহূর্তে তাই চলছে জোর প্রচার-প্রচারণা। ৯ উপজেলায় সিংগভাগ জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আলহাজ্ শেখ হারুনুর রশীদের পক্ষে। ফলে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী পাল্লা ভারী হচ্ছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ শেখ হারুনুর রশীদের। আর জনসংযোগ কমতে শুরু করেছে স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর। ৯ উপজেলায় পরিচিতি কম ও যাতায়াত না থাকায় এবং সিনিয়র নেতাদের নিয়ে নানা সমালোচনা করায় তৃণমূলের ভোটাররা শেষ মুহূর্তে তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। ৯ উপজেলা ঘুরে এবং তৃণমূলের একাধিক ভোটারের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় এমনটি আভাস পাওয়া গেছে।
আগামী ১৭ অক্টোবর খুলণা জেলা পনিষদের নির্বাচন। আজ (১৫ অক্টোবর) মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণার শেষদিন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ হারুনুর রশীদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন বিএমএর সভাপতি ডা. বাহারুল আলম এবং ক্রীড়া সংগঠক এসএম মোর্ত্তজা রশীদি দারা।
ডা. বাহার খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন । দলীয় সভানেত্রী এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করায় দল থেকে বহিস্কৃত হন। তিনি অত্যন্ত তাত্বিক কথা বলেন। তবে ৯ উপজেলায় ইতিপূর্বে তার কোন যোগাযোগ বা যাতায়াত ছিল না।
অপর স্বতন্ত্রী প্রার্থী প্রয়াত নেতা খুলনার সিংহপুরুষ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই। নিজের তেমন কোন কর্মকান্ডের কথা ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করতে না পারলেও ভাইয়ের পরিচয় দিয়ে ভোটারদের সহানুভূতির চেষ্টা করছেন। তবে তার আর এক সহদর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোজাফ্ফর রশীদি রেজা প্রকাশ্যে বিশেষ মতবিনিময় সভায় দলীয় প্রার্থী শেখ হারুনের পক্ষে ভোট দেয়ার অঙ্গীকার করায় এবং বিভিন্ন উপজেলায় প্রয়োজনে ভোট প্রার্থনা করতে যাবেন এমন বক্তব্য দেয়ায় দারার নির্বাচনী পালে ভাটা পড়েছে। তাছাড়া সুজার ছেলে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য খালেদীন রশীদি সুকর্ণও চাচার পক্ষে কোথাও কোনো ভোট প্রার্থনা করেনি। এদিকে ভোট চাইতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বেশ সমালোচনামুলক কথা বলছেন দারা।
এদিকে শেষ মুহুর্তে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী একাট্টা হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন শেখ হারুনের পক্ষে। এসব কারণে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলহাজ শেখ হারুনুর রশীদের বিজয়ের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
খুলনা মেম্বর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বটিয়াঘাটার সুরখালী ইউনিয়নের গাওঘরা’র ইউপি সদস্য এস এম ফরিদ রানা বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা খুলনার সকলের মুরব্বি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সে কারণে তিনি ভোট পাবেনই। তাছাড়া বিগত ৬০ বছর ধরে খুলনার ৯ উপজেলায় সকল সংকটে শেখ হারুন সকলের পাশে ছিলেন। যে কারণে তিনিই আবারও সিংহভাগ ভোট পেয়ে জেলা পরিষেদের চেয়ারম্যান হচ্ছেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মেম্বর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সরদার মাসুদ রানা বলেন, শেখ হারুনের বিকল্প এখনও খুলনায় নেই। তিনি বর্ষিয়ান আওয়ামী লীগ নেতা। তিনিই ১/১১ এর সময় বলেছিলেন নো হাসিনা নো ইলেকশন। নো হাসিনা নো ডায়লগ। বঙ্গবন্ধু ও দলের প্রতি অবিচল আস্তা নিয়ে আজীবন সংগ্রাম করে আজ তিনি জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। যে কারণে আমরা তাকেই পুনরায় নির্বাচিত করতে চাই।
ডুমুরিয়া উপজেলা মেম্বর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব আটলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম মুন্না বলেন, শেখ হারুন হচ্ছে আমাদের বটবৃক্ষ। যে কারণে আবারও তাকে আমার নির্বাচিত করতে চাই।
রূপসা উপজেলার ইউপি সদস্য বাদশা বাবু বলেন, ৯ উপজেলার সকল গ্রাম ও পাড়ায় বর্ষিয়ান এ নেতার পদচারণা রয়েছে। তাকেই আমার নির্বাচিত করতে চাই।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জামাল বলেন, ৯ উপজেলার সকল নেতাকর্মী এখণ একটাই ভোট চাচ্ছেণ মটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে। কারণ জেলা পরিষদকে সুন্দর রাখতে এবং ৯ উপজেলায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ষীয়ান নেতা খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদকে মনোনয়ন দিয়েছেন। পদ্মার এপারে আমাদের সকলের অভিভাবক শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি সকল নেতাকর্মীদের এক হয়ে হারুন ভাইকে বিজয়ী করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আস্তার প্রতীক শেখ হারুনকে বিজয়ী করতে আমরা হেলাল ভাইয়ের নির্দেশ সকল ভোটারদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে শেখ হারুনের কোন বিকল্প নেই। যে কারণে ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ভোটারা ততই হারুন ভাইয়ের দিকে ঝুকে পড়ছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৯৭৯ জন। দাকোপ উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে গঠিত ১ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৩৩ জন। কয়রা উপজেলায় ৯৪ ভোট, পাইকগাছা উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে মোট ১৪৬ ভোট, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৮৫ ভোট, ফুলতলা উপজেলায় ৫৫ ভোট, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৯৪ ভোট, দিঘলিয়া উপজেলায় ৮১ ভোট, তেরখাদা উপজেলায় ৮১ ভোট ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও রূপসা উপজেলায় ১১০ ভোট। মোট ১০ টি কেন্দ্রে এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট হবে ইভিএমে।
জামান / জামান

৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ জন্ম হবে না: শওকত হোসেন সরকার

পাটগ্রামে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস পালন

টাঙ্গাইলে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন, হাইজিন শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম কালভীর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

বাউফলে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে বাজারের ইজারা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সন্ত্রাসী হামলায় ৫ পুলিশসহ আহত ৬, গ্রেপ্তার ৩

নওগাঁয় মামলা তদন্তে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

টিএইচই র্যাঙ্কিংয়ে আবারও শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

আনোয়ারায় মোবাইল কোর্ট অভিযান,তিন মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা

ঠাকুরগাঁওয়ে টাইফয়েড টিকা দান ক্যাম্পেইন ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন

রাজশাহী সড়ক-জনপথে কর্মচারীদের জনসংযোগ
